লোডশেডিং এ বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের অবদান

নাদিম সুলতান রুপক
Published : 29 Oct 2012, 07:22 AM
Updated : 29 Oct 2012, 07:22 AM

বাংলাদেশে বর্তমান ৩৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮ টি মেডিকেল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়, দুই শতাধিক সরকারি কলেজ যেখানে অনার্রস/মাস্টার্স রয়েছে।

আমি ধরে নিচ্ছি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ টি ,মেডিকেল কলেজে ৪ টি, সরকারি কলেজে ২ টি করে হল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে প্রত্যেক হলে ১২০ টি রুম, যেখানে গড়ে প্রত্যেক রুমে ২টি হিটার। মেডিকেল কলেজ/বিশ্বঃ গুলোতে গড়ে ৪ টি হল, প্রত্যেক হলে ধরি ৮০ টি রুম , গড়ে প্রত্যেক রুমে ২টি হিটার রয়েছে। এবার ধরি প্রত্যেক সরকারি কলেজে ২ টি হল এবং প্রত্যেক হলে গড়ে ৪০ টি রুম এবং প্রত্যেক রুমে একটি করে হিটার রয়েছে। সাধারণত প্রত্যেকটি হিটার ১৫০০ ভোল্ট এর হয়ে থাকে এবং হিটারগুলো গড়ে প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে চলে। হিসাব করে দেখা যায় প্রতিদিন মোট ৭৬৪৮০ ঘণ্টা হিটার চলে। প্রতিটি হিটার গড়ে ১ ঘন্টায় ২৫ এম্পিয়ার বিদ্যুৎ শক্তি ব্যয় করে। হিসাব করে দেখা যায় প্রতিদিন গড়ে ছাত্র/ছাত্রীরা হিটার ব্যবহার করেই ২০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করেন। যা দিয়ে কম চাহিদার চারটি জেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা সম্ভব। ছাত্রছাত্রীরা শীতকালে প্রায় প্রতি রুমে সারারাত হিটার জ্বালিয়ে রাখেন।

সেক্ষেত্রে এ বিদ্যুৎ ব্যবহার ৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে। হলগুলোতে খাবারের মান ভাল করলে আমরা গড়ে প্রতিদিন এই পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারতাম। ছাত্র/ছাত্রীরা আমাদের জাতির বিবেক, আমি জাতির বিবেকদের কাছে দায়িত্বশীলতা আশা করি।