
কিছুদিন আগে সাস্ট ক্যাম্পাসে আমরা একটা বইমেলা করেছিলাম। সেই বই মেলায় যে বইগুলোর সবগুলো কপি সবার আগে শেষ হয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটা ছিল “জীববিবর্তন সাধারণ পাঠ”। অনুবাদক প্রাক্তন সাস্টিয়ান অনন্ত বিজয় দা। এটা ছিলো আমাদের কাছে একটা ম্যাসেজ, যে, আমাদের ক্যাম্পাসের পোলাপাইন বিবর্তনের উপর লেখা বই পড়তে বেশ আগ্রহি। বুঝলাম আমার আশেপাশের মানুষজন চিন্তাশীলতার দিকে ঝুঁকছে, বিজ্ঞানমনষ্কতার দিকে ঝুঁকছে।

আজ সেই অনন্ত বিজয়দা-ই আক্রান্ত হলেন চাপাতির দ্বারা। অত্যন্ত বীভৎসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হল তাঁকে। এটাও একটা ম্যাসেজ। এই ম্যাসেজ বলছে যে, আপনি চুপ থাকুন। আপনি যদি মুখ খোলেন, যদি চিন্তার কথা বলেন, বিজ্ঞানের কথা বলেন, মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বলেন, তবে আপনাকেও এই পরিণতি বরণ করতে হবে।
আমি জানি, আপনি গাছ না, ইট-কংক্রিট না, মাটির মূর্তি না। জানি মানুষ কথা বলবেই। জানি একটা মৃত্যু আরও একশো জনকে প্রতিবাদি করে তুলবে। একশোটা গাছ, একশোটা পুতুল বা একশোটা ভূ-খণ্ডকে কন্ঠস্বর দান করবে। কিন্তু তবু আপনাকে চুপ থাকতে হবে। যদি বাঁচতে চান, চুপ থাকুন। দরকার হলে নিজের টুঁটি নিজেই চেপে ধরে চুপ থাকুন। এই দেশে কোনো কথা বলা প্রাণির স্থান নেই!
ফারদিন ফেরদৌস বলেছেনঃ
অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি…
রাসেল আল মাসুদ বলেছেনঃ
একদিন এই ভূখন্ডে কোনো মানুষ থাকবে না, যেদিন ভিন্ন মত পোষনের জন্য পুত্র হত্যা করবে পিতাকে। এবং মনে হয় সেই দিন ঘনিয়ে আসছে 🙁 @ফারদিন ফেরদৌস
শফিক বলেছেনঃ
হ্যাঁ,চুপ করে থাকাই মনে হচ্ছে ঠিক। কিন্তু থাকতে পারিনা। এ আরেক মানসিক যন্ত্রণা।
রাসেল আল মাসুদ বলেছেনঃ
মানুষ চুপ থাকতে পারে না। মানুষ চুপ থাকবে না। এই সত্য যদি ওই মগজহীনেরা বুঝতো!
সাইদ বলেছেনঃ
হায়রে স্বাধীনতা । স্বাধীনতা অর্থ যদি চুপ থাকা বা শব্দহীনতা হয়, তবে এ স্বাধীনতা আমরা চাই না। আমরা কথা বলতে চাই। লেখতে চাই। মন খুলে। যদি তা না পারি তাহলে……আবার ১৯৭১ এ ফিরে যাবো। যেতে পারবো তো ?
রাসেল আল মাসুদ বলেছেনঃ
প্রতিটা অন্ধকার সময়ের একটা শেষ থাকে @সাইদ ভাই। কিন্তু দেখার বিষয় আমাদের এই অন্ধকার সময়ের কিনারা আরও কতদূর বাকি। 🙁
ফারুক বিবাড়িয়া বলেছেনঃ
চুপ থাকাটাও কি অপরাধ নয়?