ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের রাষ্ট্র প্রধানদ্বয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যদি বাংলাদেশকে আপনারা সাহায্যেই করতে চান, তাহলে আপনাদের আর্থিক সহায়তার পরিবর্তে, বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দিয়ে, বাংলাদেশ থেকে আপনাদের দেশে নিয়ে যান এবং মায়ানমারের আরকান রাজ্যে থাকা প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপত্তার জন্য- সেখানে আপনাদের সৈন্য পাঠান। সেখানে আপনাদের সৈন্যদের জন্য যত ত্রাণ/ অর্থ লাগবে, তা আমরা দেব।
.
আপনারা (তুরস্ক + ইন্দোনেশিয়া) হয়তোবা রোহিঙ্গাদের সাহায্যর্থে প্রথম ৩ মাস অথবা ৬ মাস খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিত্সার ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু, বাংলাদেশের মতো গরিব রাষ্ট্র এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য এত চাহিদা পরবর্তীতে কীভাবে পূরণ করবে? পরবর্তী সময়ে রোহিঙ্গা পুরুষরা জীবন বাঁচানোর তাগিদে, চট্টগ্রামের অলিগলিতে ছিনতাই করবে, শিশুরা মাদকের ব্যবসা এবং নারীরা কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে যৌন ব্যবসা করবে। তারা যে পেটের ক্ষুধার জন্য- কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে না, তারও তো গ্যারান্টি নেই!
.
এসব কিছু মিলিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরবে বাংলাদেশ, তখন আপনারাই তো বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার জন্য- জাতিসংঘ আবেদন জানাবেন। অনেকে বলছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়া হোক। ঠিক আছে, খুলে দিলাম। তার আগে একবার ভাবুন তো- আপনাকে যদি দুপুরে খাবার না দেয়া হয়, রাতের খাবারও বন্ধ করে দেয়া হয়- সকালের বেলা ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে, আপনাকে যা করতে বলা হবে তাই আপনি করবেন, একমুঠো ভাতের জন্য। তাহলে রোহিঙ্গারা কেন পারবে না, তিনদিনের ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে- বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে?
.
এই প্রশ্নটার যুক্তিসঙ্গত সঠিক উত্তর দিতে পারলেই, মেনে নেবো, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরবে না।