চাঁদাবাজি সমাজের অনেকটা সাধারণ একটা বিষয়। সর্বত্রই চাঁদাবাজি চলে। এটা পুরোপুরি খারাপ তা কিন্তু বলা যায় না। ছোট থাকতে চাঁদা তুলে পিকনিক করতাম, গ্রামের মসজিদের কাজ হচ্ছে চাঁদা তুলতাম, হিন্দু বন্ধুরা পুজার সময় তুলতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী অসুস্থ তার জন্যও চাঁদা তুলি অর্থাৎ চাঁদাবাজি করি। এইসব দিক দিয়ে চাঁদাবাজি ভালো একটি কাজ। সমাজসেবামুলক কাজও বলা চলে।
যাই হোক উপরোক্ত ভাবে অথবা একইরকম বিষয়গুলো সমাজের কোন ক্ষতি করছে না, সুতরাং ওই দিকে না তাকালেও চলে। যে সব চাঁদাবাজি সমাজের ক্ষতির কারন ওইগুলোকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায় ১। তাৎক্ষণিক চাঁদাবাজি ২। সিস্টেমিক চাঁদাবাজি।
এলাকায় নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে। এলাকার ছেলেপেলের দিকে না তাকালে হয়! এলাকার ভালোমন্দতো ওরাই দেখে, আপনার পেশিবল না থাকলে চাঁদা দিতেই হবে। রাস্তা দিয়ে কোন এলাকার উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার উন্নয়নে আপনার পকেট থেকে কিছু খসাতেই হবে। এই টাইপের চাঁদাবাজি গুলোকে তাৎক্ষনিক হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়। এইসব ক্ষেত্রে আপনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সাহায্য অথবা কোর্টে মামলা করতে পারেন।
এবার আসা যাক সিস্টেমিক!! এই চাঁদাবাজিটা অস্থির রকম সুন্দর। রাস্তায় বিভিন্ন পয়েন্টে দেখবেন সিএনজি, বাস জাতীয় প্রত্যেকটি পরিবহনকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়। কোন রকম লুকোচুরির সুযোগই নেই। টিকেটের ব্যাবস্থা আছে। আর রাস্থায় ট্রাফিকের চোখে পরেছেন কাম সারছে। এইটা নিয়ম তাকে খুশি করতেই হবে। এটাকে কি চাঁদাবাজি বলা চলে? ও আপনি ফুটপাতে দোকানদারি করেন। আরে ভাই এইটাতো অবৈধ কাজ। বৈধ করতে হবে না। দেন চাঁদা।
যাই হোক চোখে দেখা অনেকগুলো চাঁদাবাজি নিয়ে বললাম। তবে এতগুলো চাঁদা দিয়েও যদি ভালোভাবে চলাফেরা করা যেত!! হাইওয়ে গুলোতে চলাচল করা কাভার্ড ভ্যান, ট্রাকগুলোর ড্রাইভারা সবসময় চিন্তায় মগ্ন থাকে। কখন না যানি গাড়ি থামিয়ে দেয়। কোরবানি ঈদের পশু নিয়ে আশা ট্রাকগুলোরও একই রকম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।