আধুনিক অনুকাব্যের জনক জগলুল হায়দার

রফিকুল ইসলাম সাগর
Published : 12 August 2012, 06:08 PM
Updated : 12 August 2012, 06:08 PM

ছড়া পড়ার প্রতি ছোট বেলা থেকেই আমার চরম আগ্রহ। পত্রিকার পাতায় নিয়মিত ছড়া পড়তাম,এখনো পড়ি। ছড়া পড়তে পড়তে আমার প্রিয় একজন ছড়াকার হয়ে গিয়েছে জগলুল হায়দার। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টাতেই দেখতে পাই তার ছড়া। এই মানুষটাকে নিয়ে সব সময় মনের মধ্যে একটা কৌতুহল কাজ করত তিনি দেখতে কেমন,তার স্বভাব কেমন,মানুষ হিসেবে তিনি কেমন। তার সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে জানলাম তিনি একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ। মজার একজন মানুষ,সব সময় অনেক মজা করেন, সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলেন। সমাজের অনিয়ম,অন্যায় ও অত্যাচার তার ছড়াতে প্রকাশ পায়। বলা যায় তার ছড়াতে প্রতিবাদ মিশ্রিত আছে। তার ছড়া প্রতিবাদ স্বরূপ পাঠকের কাছে প্রকাশ পায়। অন্যায়,অত্যাচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তার কলম চলছেই।

১৯৯৩ সালে জগলুল হায়দারের প্রথম বারোভাজা তথা অনুকাব্যের বই প্রকাশিত হয়। বইটির নাম ছিল 'চুম্বক'। পরবর্তীতে এই বইটিকে অনেক আলোচক বাংলা ভাষায় প্রথম অনুকাব্যের বই হিসেবে চিন্হিত করেন। আর সেই কারণেই জগলুল হায়দারকে কেউ কেউ আধুনিক অনুকাব্যের জনক হিসেবে মনে করেন। এই পর্যন্ত তার ২৩/২৪ টি ছড়ার বই প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে বারোভাজা (অনুকাব্য) সিরিজের চারটা বই, একটা জাপানি অনুকবিতা হাইকু এর বই, একটা ইরিশ 'লিমেরিকের' বই উল্লেখ যোগ্য। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ২০০০ সাল থেকে তার ছড়া লিখা শুরু। ১৯৯৮ সালে জাতীয় সাপ্তাহিক 'চলতিপত্রে' তার প্রথম ছড়া প্রকাশিত হয়। ছড়াটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অলংকরণ সহ পুরো এক পৃষ্ঠা জুড়ে ছাপানো হয়। সেই থেকে তার লাগামহীন ছড়া লেখা চলছে। আগে যেগুলোকে বলা হতো কিশোর কবিতা জগলুল হায়দার সেগুলোর নাম দিয়েছেন কাব্য ছড়া। এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সবাই সমর্থন করেছেন।

জগলুল হায়দার অতি জনপ্রিয় একজন ছড়াকার। তার নিজ গুনে তিনি এই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রতিটি জাতীয় পত্রিকায় নিয়মিত বারোভাজা,ছড়া,অনুকাব্য লিখে যাচ্ছেন।