গ্রামে বেড়ে ওঠার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই ফুলটির সাথে পরিচিত।আমাদের গ্রামে বাড়ির চারপাশে বেড়া দেয়ার জন্য ঢোল কলমি গাছ লাগানো হতো। দ্রুত বেড়ে উঠে এবং পানিতে মরে যায় না বলে এর কদর ছিল বেশ। গরু-ছাগল ও অপরিচিত মানুষ ঢোল কলমির ঝাপালো বেড়া ঠেলে সহজে ভিতরে প্রবেশ করতে পারতো না। আমাদের বাড়িতেও বেড়া হিসেবে ঢোল কলমি গাছ ছিল। গাছগুলিতে প্রায় সব সময় ফুল ধরেই থাকতো। আমরা ছোটরা সেই ফুল তুলে খেলা করতাম। তবে ফুল তুলতে বা পাতা ছিঁড়লে সেখান থেকে সাদা কষ/ আঠা বের হত বলে বড়রা নিরুৎসাহিত করতো। আজকাল আর আমাদের এলাকায় খুব একটা দেখা যায় না। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে নেত্রোকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানকার তেলিগাতি ইউনিয়নের এক পথের পাশে সকালের বাতাসে দোল খাচ্ছিল একগাদা ঢোল কলমি ফুল ।