এটিএন নিউজ বন্ধ নয়- মাহফুজুর রহমানসহ দোষীদের বিচার চাই

ম, সাহিদ
Published : 27 June 2012, 06:06 PM
Updated : 27 June 2012, 06:06 PM

গত কয়েকদিন যাবৎ দেশের বিভিন্নস্থানে এটিএন নিউজ সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরাও চ্যানেলটি দেখতে পাচ্ছিনা। এই চ্যানেলটি না দেখতে পাওয়ায় আমি মর্মাহত নই। তবে আমি আশংকিত অন্য যায়গাতে। এটার মাধ্যমে না আবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বাংলা চ্যানেল গুলির বিরুদ্ধে আবার কোন চক্রান্ত শুরু হতে যাচ্ছে। নাকি সেই অপশক্তির কাছে আমরাই আবার আমাদের ঘায়েল করার ইস্যু তুলে দিয়ে পক্ষান্তরে নিজেদেরই পাঠার বলি বানাচ্ছি এটাই এখন ভাবনার বিষয়।

সাম্প্রতিক সময়ের সব চাইতে আলোচিত-সমালোচিত বিষয় হচ্ছে এটিএন নিউজের কর্ণধার মাহফুজুর রহামন। আর এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক সমাজে নানা অঘটন সহ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে আছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। যদিও একজন মাহফুজুর রহমান কিংবা এটিএন পরিবারের কিছু সাংবাদিক মানেই আমাদের ‍পুরো মিডিয়া জগৎ বিব্রত বা বিতর্কিত তা কিন্তু নয়। তবে যেমন করে একজন পুলিশ সদস্যের অপকর্মের দায় পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের উপর এসে পরে ঠিক তেমনি সাধারন মানুষের কাছে সংবাদ মাধ্যম নিয়েও চলছে আলোচনা সমালোচনা। তাই এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সাংবাদিক সমাজের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

এটিএন নিউজের মান সম্পর্কে আলোচনা সমালোচনা করে ভাল মন্দ দুটি দিকই তুলে ধরা যায়। তবে আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া এবং এই বিষয়ে নানা তথ্য সাধারন মানুষের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে চ্যানেলটি সাহসী ভুমিকা রেখেছে। আর এই কারনে চ্যানেলটির উপর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের সমর্থনকারী দলের একটি বিশেষ ক্ষোভ আছে। অন্য দিকে ডেসটিনি সম্পর্কিত বেশ কিছু নিউজের কারনে ডেসটিনি সাথে সম্পৃক্ত উপর থেকে নিচ পর্যন্ত মানুষ গুলির কাছে অঘোষিত শত্রুকে পরিনত হয়েছে। আর তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা আগুনে ঘি ঢালার মত করে নানা অপকৌশলে চ্যানেলটি বন্ধ কিংবা বিতর্কিত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যা নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায়।

মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন এবং তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে যারা সমর্থন জানাতে গিয়ে অপরাধ করেছেন তাদের সবারই উচিৎ বিচার হওয়া প্রয়োজন। তবে তা অবশ্যই আইনানুগ ভাবেই। কিন্তু ঐ অপরাধের কারনে একটি চ্যানেলকে বন্ধ বা অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হবে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। কারন এখন যদি ঐ চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায় তবে পক্ষান্তরে তৃতীয় পক্ষ জয়ী হয়ে অন্যান্য চ্যানেল গুলির বিরুদ্ধেও একই রকম ভাবে চক্রান্ত শুরু করায় উৎসাহী হয়ে ওঠবে।

তাই আমার ব্যাক্তিগত মতামত হল-এটিএন নিউজ বন্ধ নয়- মাহফুজুর রহমান সহ দোষীদের আইন সম্মত বিচার করা হোক।

ছবি-ইন্টারনেট।