জামাতের হঠাৎ শক্তিশালী হয়ে ওঠার নেপথ্যে!

ম, সাহিদ
Published : 20 Sept 2011, 04:47 AM
Updated : 20 Sept 2011, 04:47 AM

গতকাল ঢাকা সহ সারাদেশে জামাতের তান্ডবে কিংকর্তব্য বিমুঢ় দেশবাসীর মনে একটি প্রশ্ন যেন স্বাভাবিক ভাবেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। আর এই প্রশ্নের তৈরি যে খোদ আওয়ামীলীগ নিজেই তৈরি করেছে সে ব্যাপারে আর কারো সন্দেহ থাকলেও আমার অন্তত নেই। কারন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার অঙ্গীকার নিয়ে সাধারন জনগনের ব্যাপক সর্মথন নিয়ে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকার মনে প্রানে এক প্রকার লোভের বর্শবর্তী হওয়াই যে বর্তমান পরিস্থিতি মুল কারন এ ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত। যেমন আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মত একটি বড় ইস্যু দিয়ে এত বড় বিজয় পাওয়ার পর তাদের আর একবার আগামী নির্বাচনে সেই ইস্যুটি ব্যাবহার করে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছে। আর তাই যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াটিও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা অত্যান্ত মন্থরগতিতে।

সবশেষ রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের নারকীয় তান্ডবের পর জামাতের প্রায় সকল শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার পরবর্তি সময়েও যে সাহস করতে পারেনি কিন্তু হঠাৎ করে আজকের এই পরিকল্পিত আক্রমনটি আমার কাছে অনেকটাই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। কারন সরকার জামাতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের পর তাদের শক্ত প্রতিরোধ বা সন্ত্রসী হামলার শিকার না হওয়ায় এক প্রকার ভেবেই নিয়েছিল যে জামাত-শিবিরকে তারা কোন ঠাসা করতে পেরেছে। কিন্তু আজকের এই খেসারত দেওয়ার পেছনে সরকারের অতি লোভ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার রাজনৈতিক ফায়দা লোটার আশা আর জামাত শিবিরের বেশ কিছুটা সময় নিরবতাকে তাদের জয় হিসাবে নেওয়াই এর পিছনে মুল কারন। ইদানিংকালে ভারতের প্রধান মন্ত্রি মনমোহন শিং এর ২৫% বাংলাদেশী জমাত শিবির সমর্থক এ মন্তব্য জমাত শিবিরকে প্রতিরোধে সক্ষম শক্তি প্রেরনায় যথেষ্ট বড় একটি ভুমিকা রেখেছে।

৭১'র মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামাত নেতাদের পক্ষে আসা বিদেশী আইনজিবীদের বিমান বন্দর থেকে ফেরত পাঠানো বিশ্বের কোন কোন দেশের সরকারী আচরনের নেতিবাচক প্রভাব। সরকারের বেশ কিছু মন্ত্রনালয়ের মানণীয় মন্ত্রী মহোদয়দের ব্যর্থতা এর পিছনে একটি বিশেষ কারন। বামপন্থি বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের কয়েকটি সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধীতা জমাতকে আন্দোলন মুখি করতে আরো আত্মবিশ্বাসী করেছে। অতি মাত্রায় ভারত প্রিতি আর ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা জাতিকে দেওয়া আশ্বাস পুরনে ব্যর্থতাও একটি কারন। চিরয়িত বাংলাদেশের রাজনিতির ধারাবাহিকতায় একটি সরকারের শেষের দিকের সময়গুলিতে বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসুচীর শক্তিমত্তায় নিজেদের উপাস্থপনের এখনই সময় ভেবে জমাতের শেষ আশ্রয়স্থল এবং সর্ববৃহত শুভাকাংখি বিএনপির আস্থা অর্জনে আজকের এই পরিকল্পনা যে এক দিনের নয় তা সকলের কাছেই স্পষ্ট। কিন্তু ২৫ টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ,বেপরোয়া হামলা আর দেশব্যাপি জমাত-শিবিরের এই আরজকতা থেকে সরকারী দল কি কোন শিক্ষা নিতে পারবে ? যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক রাজাকার আলবদরদের মুক্তির দাবী করার সাহস কোথা হতে পেল এর মুলে কি পৌছতে সক্ষম হবে দলের নিতি নিধারকরা ? নাকি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের বিচারতো দুরের কথা জমাতের ভাষ্য অনুযায়ী তথাকথিত গন জোয়ারে ভেসে যাবে আমাদের সকল প্রত্যশা।