কাশ্মীর: ভূস্বর্গে নরকবাস

সাজ্জাদুল হাসান
Published : 5 Jan 2012, 06:20 PM
Updated : 13 Jan 2020, 09:11 AM

মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর কাশ্মীরের সৌন্দর্য্যে অভিভূত হয়ে বলেছিলেন, 'পৃথিবীতে যদি স্বর্গ থেকে থাকে তবে তা এখানেই আছে।' নয়নাভিরাম কাশ্মীরের প্রকৃতি তাকে এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে, তিনি মন্তব্য করেছিলেন, কেউ যদি এই সুন্দর স্বর্গে না গিয়ে থাকেন তবে তারা নিশ্চিতভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। মহাকবি কালিদাসের অভিব্যক্তি আরও হৃদয়গ্রাহী, "জায়গাটি স্বর্গের চেয়েও সুন্দর; পরম আনন্দ ও সুখের আধার। মনে হচ্ছে, আমি যেন অমৃতের হ্রদে অবগাহিত হচ্ছি।" প্রকৃতি এখানে অকৃপণ, ভীষণ উদার। অথচ মনুষ্য সৃষ্ট সংকট এই ভূস্বর্গকে পরিণত করেছে নির্মম এক বন্দিশালায়। এটি এখন এক মৃত্যু উপত্যকা। অসহায়, নিরীহ মানুষের আহাজারিতে ভারী এর বাতাস।

হিমালয় রাজ্য কাশ্মীর আজ তিন ভাগে বিভক্ত। প্রায় ৮৭,০০০ বর্গমাইল অধ্যুষিত এই উপত্যকার ৪৫ ভাগ রয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণে, পাকিস্তানের অধীনে আছে প্রায় ৩৮ ভাগ আর চীন দখল করে আছে বাকি ১৭ ভাগ ভূমি। পক্ষান্তরে, জনসংখ্যার প্রায় ৭৬ শতাংশ বসবাস করে ভারত নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড জম্মু ও কাশ্মীরে আর বাকি ২৪ শতাংশের বসবাস পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, কেন এই বিভক্তি? আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার থেকে কাশ্মীরিরা কেন বঞ্চিত?

কাশ্মীর সংকটের মূলে যেতে হলে আমাদের তাকাতে হবে একটু পেছন ফিরে। প্রত্নতাত্বিকদের মতানুসারে, প্রায় তিন হাজার বছর আগে এখানে মানব বসতি শুরু হয়। প্রথম এক শতক এই অঞ্চলে হিন্দু ধর্মের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে প্রসার লাভ করে বৌদ্ধ ধর্ম। বিশেষ করে সম্রাট অশোকের শাসনামলে বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক বিস্তৃতি হয় কাশ্মীরে। চৌদ্দ শতকের শুরুর দিকে মধ্য এশিয়া ও পারস্যের সুফী এবং পীরদের হাত ধরে ইসলাম ধর্মের আগমন ঘটে অত্র অঞ্চলে। পরবর্তীতে প্রায় পাঁচশত বছর মুসলমানরা কাশ্মীর শাসন করে।

বর্তমানে কাশ্মীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৮ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হিন্দু ধর্মানুসারী যাদের সংখ্যা প্রায় ২৮ শতাংশ। প্রায় ২ শতাংশ মানুষ শিখ ধর্মাবলম্বী। এছাড়াও এ অঞ্চলে রয়েছে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন ধর্মাবলম্বী যাদের সংখ্যা প্রায় ২ শতাংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ৯৯ শতাংশ মানুষ মুসলমান।

কাশ্মীরি জনগণের উপর ঔপনিবেশিক শোষণ, নিপীড়ন ও বঞ্চনার শুরু ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তির অনেক আগে। মুঘলরা ১৫৮৯ সালে কাশ্মীর দখলের পর থেকে অদ্যাবধি কাশ্মীর কখনো কাশ্মীরিদের দ্বারা স্বাধীনভাবে শাসিত হয়নি। মুঘলদের পরে ১৭৫৩ থেকে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত আফগানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল কাশ্মীর। ১৮১৯ থেকে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত শিখরা শাসন করে এ অঞ্চল। ১৮৪৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শিখদের পরাজিত করে কাশ্মীরের দখল নেয়। ইংরেজরা নাম মাত্র ৭৫ লক্ষ রুপির বিনিময়ে কাশ্মীর বিক্রি করে দেয় জম্মুর রাজা গুলাব সিং এর কাছে। শুরু হয় ডোগরা রাজবংশের শাসন।

মুঘলরা কাশ্মীরের দুর্ভিক্ষ পীড়িত, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আদৌ কিছু করেনি। তারা বরং ব্যস্ত ছিল এর বাহ্যিক সৌন্দর্য বর্ধনে। শত শত ফুলের বাগান তৈরি করা হয়। কাশ্মীর পরিণত হয় ধনীদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন কেন্দ্র হিসাবে। আফগানদের শাসনামলে সাধারণ মানুষের উপর শোষণ আর নির্যাতনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। বিপুল সংখ্যক কাশ্মীরিকে ক্রীতদাস হিসাবে আফগানিস্তানে পাঠানো হয়। কাশ্মীরের তাঁতি গোষ্ঠী যারা ঐতিহ্যবাহী শাল তৈরি করতো তাদের উপর আরোপ করা হয় মাত্রাতিরিক্ত কর যার ফলে অনেকেই এই পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। শিখদের শাসনামল ছিল আরও ভয়াবহ। বিখ্যাত ব্রিটিশ পর্যটক উইলিয়াম মুরক্রফ্ট এর ভাষ্যমতে, ঐ সময়ে সাধারণ মানুষদের সাথে গবাদি পশুর মতো আচরণ করা হতো।

ইংরেজদের কাছ থেকে কাশ্মীরের মালিকানা লাভ করার পর গুলাব সিং এবং পরবর্তী ডোগরা মহারাজারা কাশ্মীরিদের উপর আরোপ করে অযৌক্তিক ও অসহনীয় করের বোঝা। কাশ্মীরিদের বাধ্য করা হয় ব্রিটিশদের পক্ষ হয়ে দু'দুটি বিশ্বযুদ্ধসহ আরও বেশ কিছু যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে। অধিকাংশ স্থানীয় কৃষক ছিল ভূমিহীন কারণ কাশ্মীরিদের জমির মালিকানা লাভের উপর নিষেধাক্ষা আরোপ করা হয়। উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম অর্ধেক, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়াংশ দিয়ে দিতে হতো শাসক গোষ্ঠীকে। চালু করা হয় বাধ্যতামূলক শ্রম প্রথা, যার মাধ্যমে একজন শ্রমিককে বিনা অথবা ন্যূনতম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজে লাগানো হতো।

দৃশ্যত সব পেশাকে করের আওতায় আনা হয়। শুধুমাত্র মুসলমানদের উপর আরোপ করা হয় 'বিবাহ কর' যা ছিল তাদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা। সাধারণ মানুষ, যাদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান, চরম বৈষম্য আর অবহেলার শিকার হয় এই সময়কালে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তাদের এই করুণ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি দেশবিভাগ পরবর্তী সময়েও।

১৯৪৭ সালে "ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যাক্ট" এর ভিত্তিতে ব্রিটিশশাসিত উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তান নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। মূলত এই বিভক্তি হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ ভারতে প্রায় ৬৫০টির মতো দেশীয় রাজ্য (প্রিন্সলি স্টেটস) ছিল। এই রাজ্যগুলোর রাজারা ব্রিটিশ সরকারকে একটি নির্দিষ্ট হারে কর প্রদান করে নিজ নিজ রাজ্যসমূহ স্বাধীনভাবে শাসন করতেন। "ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যাক্ট" এ সুস্পষ্টভাবে বলা হয়, দেশীয় রাজ্যগুলো তাদের ইচ্ছামতো ভারত অথবা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবে অথবা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করতে পারবে। কাশ্মীরের তৎকালীন রাজা হরি সিং স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যদিও সাধারণ কাশ্মীরদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, যারা মূলত মুসলমান ছিলেন, তারা চাইছিলেন কাশ্মীর পাকিস্তানে যোগ দিক।

এরকম এক পরিস্থিতিতে ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পাকিস্তানের পশতুন উপজাতীয় বাহিনী কাশ্মীর আক্রমণ করে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকায় হরি সিং ভারত সরকারের কাছে সামরিক সাহায্য চান। ২৬ অক্টোবর হরি সিং, কাশ্মীর ভারতে যোগ দেবে, এই মর্মে এক চুক্তিতে (ইনস্ট্রুমেন্ট অব একসেশন) স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির প্রেক্ষিতে ভারত সরকার কাশ্মীরে সেনা প্রেরণ করেন। একই সময়ে, পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনীও প্রবেশ করে কাশ্মীরে। ফলে শুরু হয় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত জাতিসংঘে অভিযোগ করে, পাকিস্তান বলপূর্বক কাশ্মীর দখল করে আছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয় যাতে বলা হয়: পাকিস্তান অনতিবিলম্বে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করবে, একই সাথে ভারত তাদের সামরিক উপস্থিতি ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনবে এবং পরিস্থিতি শান্ত হলে একটি গণভোটের আয়োজন হবে যার মাধ্যমে কাশ্মীরি জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে তারা কোন দিকে যাবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিবাদমান কোনো পক্ষই জাতিসংঘ ঘোষিত শর্তসমূহ প্রতিপালন করেনি। ফলে যুদ্ধ অব্যাহত থাকে। এমতাবস্থায়, ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়। একটি নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অফ কন্ট্রোল) টানা হয় যার একপাশ ছিল ভারতের নিয়ন্ত্রণে আর অন্যপাশ পাকিস্তানের। এর ফলে কাশ্মীর কার্যত ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।

কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তান এ পর্যন্ত তিন বার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়– ১৯৪৮, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে একই ইস্যুতে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে এই দুই দেশ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এই সব যুদ্ধে। ১৯৬২ সালে ভারত আর চীন কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে যায়। চীন এই যুদ্ধে কাশ্মীরের আকসাই-চিন অংশ দখল করে নেয়। ১৯৬৩ সালে শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ পাকিস্তান কাশ্মীরের ট্রান্স-কারাকোরাম অংশটি চীনকে উপহার হিসাবে প্রদান করে!

১৯৫০ সালে প্রণীত ভারতীয় সংবিধানে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে গণ্য করা হয় এবং ৩৭০ ধারায় এই রাজ্যকে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়। এই ধারা অনুসারে, তিনটি বিষয়: প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও যোগাযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের এখতিয়ারে রাখা হয়, বাকি সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার দেয়া হয় রাজ্য সরকারকে। এছাড়াও, এই ধারা মতে, ভারতের অন্য রাজ্যের অধিবাসীরা কাশ্মীরে জমি ক্রয় করতে পারেন না, এমনকি রাজ্যের চাকুরির জন্যও বিবেচিত হয় না। কাশ্মীরের কোনো নারী নিজ রাজ্যের বাইরে কাউকে বিয়ে করলে তিনি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন।

ভারত সরকার ধীরে ধীরে তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন ইস্যুতে নানা ছুঁতোয় হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখে। নির্বাচনে অযাচিত প্রভাব বিস্তার, দিল্লির আজ্ঞাবাহী পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় বসানো, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ইত্যাদি নানা বিতর্কিত ভূমিকার কারণে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে। শুরু হয় প্রতিবাদ, কোথাও কোথাও সহিংসতা। নব্বুই দশকের শেষের দিকে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) নামক সংগঠনের নেতৃত্বে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এরপর থেকে এ অঞ্চলে সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করে। বিচ্ছিন্নতা আন্দোলন দমনের নামে রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ সামরিক হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা জম্মু এন্ড কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৮৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রায় ৪৭,০০০ প্রাণ ঝরে গেছে এই অঞ্চলে। ২০০৮ থেকে ২০১৮ এই দশ বছরে নিহত হয়েছে আরো প্রায় ৪০৫৯ জন মানুষ।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরেও মানবাধিকার নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা আছে। এটি আসলে পাকিস্তানের অধীন আরেকটি প্রদেশ বৈ আর কিছুই নয়। ইসলামাবাদ এবং পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনী (আইএসআই) নেপথ্যে নিয়ন্ত্রণ করে আজাদ কাশ্মীরের যাবতীয় সবকিছু। সেখানে স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ একেবারেই নিষিদ্ধ। আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফারাবাদের জনৈক বাসিন্দা সেখানকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে যেয়ে বলেন, "পাকিস্তান বলে তারা আমাদের বন্ধু আর ভারত আমাদের শত্রু। আমি স্বীকার করি ভারত আমাদের শত্রু, কিন্তু এরকম বন্ধু যদি কারো থাকে, তবে তার শত্রুর কি দরকার?"

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের গুরুতর অভিযোগ, দেশটি বিদ্রোহীদের উস্কানি ও মদদ দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, লস্কর-ই-তৈয়বার মতো কাশ্মীরে সক্রিয় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছে তার দেশ। যদিও পরবর্তীতে দেশটি কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের অর্থায়ন বন্ধ করার অঙ্গীকার করে।

২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ভারত সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে এই সমস্যা সমাধানের শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা কার্যত বন্ধুর করে তুলেছে। ফলে, বিগত সাত দশক ধরে চলা অশান্ত পরিস্থিতি আরও অস্থির হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে সেখানে। বিশ্ব সম্প্রদায় যদি এখনই এ ব্যাপারে জোরালো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তবে এক দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার দিকে ধাবিত হতে পারে কাশ্মীর যা কারোর জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘে পাস হওয়া ৪৭ নম্বর প্রস্তাবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বাতলে দেয়া হয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্বের উচিৎ হবে, ভারত ও পাকিস্তানকে ৪৭ নম্বর প্রস্তাব বাস্তবায়নে বাধ্য করা। শান্তি ফিরে আসুক ভূস্বর্গ কাশ্মীরে। ঝিলাম নদীর অববাহিকা, ডাল হ্রদের পার, শ্রীনগর আর লাদাখ আবার মুখরিত হোক সন্তুরের মিষ্টি সুরের মূর্ছনায়।