আবারো-১-১১, খালেদা যখন বঙ্গভবনে, গু-আজম তখন জেলে

ম, সাহিদ
Published : 11 Jan 2012, 09:02 AM
Updated : 11 Jan 2012, 09:02 AM

আমাদের সমকালিন রাজনৈতিক পেক্ষাপট গুলি যেন একটি আর একটির সাথে এক অদৃশ্য সুতায় গাঁথা। ২০০৭ সালের এগারই জানুয়ারি নানা কারনে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে থাকবে অনেক বহু দিন। সেই ১-১১ র' জরুরী অবস্থা ঘোষনা দিয়ে সময়িক সময়ের জন্য হলেও বাংলার মেঘলা আকাশে এক টুকরো রোদের হাসি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল।

আজ ২০০৭ সাল না হলেও ২০১২ সালের ১-১১ আবারও কুখ্যাত আলবদর,আল শামস্ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষবলম্বন কারী জমায়েতের সাবেক আমির এবং রাজাকার-মানবতা বিরোধী অপরাধের কথা উঠলে যার নাম সবার আগে উচ্চারিত হয় সেই গোলাম আজমকে গ্রফতার অন্যদিকে সরকারের প্রধান অভিবাবক মহামন্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সাথে আমাদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী সহ তার দলের অন্যতম নিতি র্নিধারক সহ সংলাপে অংশ গ্রহন যেন আবারো বাংলার আকাশে বাতাসে কোন এক সু-বাতাস প্রবাহীত করে ১-১১ কে আবারো আলোচনায় নিয়ে আসলো।

১৯৭১'র সালের মুক্তি যুদ্ধে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেলেও এর অল্প দিনের মধ্যেই সেই পরাজিত শক্তি সেই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সাবভাবিক পথচলায় কাটা হয়ে দাড়াতে খুব একটা বেশী সময় নেয়নি। এরই ধারাবহিকতা রক্ষায় দেশের কিছু উচ্চ বিলাশী সেনা কর্মকর্তাকে সুযোগ বুঝে কাজে লাগিয়ে আজকের এই চল্লিশ বছর পর্যন্ত সেই কু-চক্রি মহলটি তাদের গা বাচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বিগত সংসদ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাশিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইসতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয় ব্যাপক ভাবে।

সরকারের তিন বছরের মাথায় এসে যুদ্ধাপরাধের বিচার (মানবতা বিরোধী) ট্রইবুন্যাল গঠন করা থেকে শুরু করে বিচার কার্যের প্রাথমিক ধাপে পৌছতে এবং দেশ-বিদেশে এর নিরেপেক্ষতা প্রমান করে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষত্রে অনেকেই দীর্ঘ সুত্রিতার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা আমার কাছে কোন ভাবেই যুক্তি সঙ্গত মনে হয়নি। কারন একেতো চল্লিশটি বছর পার হয়ে যাওয়া তার পরে যারা এই মামলা গুলির স্বাক্ষী সেইসব মুক্তি যোদ্ধা এবং নিপিরিত মানুষ গুলির বেশীরভাগই মৃত‌্যু হওয়া,এই দির্ঘ সময়ে জামাত তাদের সংঘটিত করার পাশাপাশি সরকারের অংশ হয়ে ব্যাপক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠা,অর্থনৈতিক ভাবে একটি শক্ত ভিত্তি দাড় করানোর পাশাপাশি বিদেশে ব্যাপক সখ্যতা তৈরি করা,সু-সংঘঠিত মাদ্রাসা-কলেজের ছাত্রদের সমন্বয়ে ক্যডার ভিত্তিক ছাত্র সংঘটন তৈরি করা সহ দেশের বৃহত্তম দুই দলের একটির কাধে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া একটি দলের শির্ষ নেতৃবৃন্দকে আটক করে এর বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সরকারকে কতটা বেগ পেতে হয়েছে তা একটু চোখ বন্ধ করে চিন্তা করলেই অনেকটা পরিস্কার হয়ে যাবে বলে আমার ধারনা।

যাই হোক,যতই অপ্রতিকুলতা আর বাধা আসুকনা কেনো এই বিচার বাংলার আপমার স্বাধীনতা কামি প্রতিটি জনগনের প্রনের দাবী। এটাকে নিয়ে সরকারী দল আওয়ামীলীগকে টালবাহানার বা সুযোগ সন্ধানের যতই অপবাদ দেয়া হোকনা কেন প্রতিটি বাঙালি মাত্রই জানে এই বিচার করতে পারে এই একটি দলই।

সারা বাংলায় আজকের এই দিনে যে আলোর প্রস্ফুটন হয়েছ তা যেন ক্ষনিকের জন্য জ্বলে ওঠে নিভে না যায়,এই আলো আমদের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিক শান্ত সু-শিতল লাল-সবুজের পতাকার সোদা গন্ধের মরমী বাণী-আমার সোনার বাংলা-আমি তোমায় ভালবাসি………………।

ছবি-অন্তর্জাল