সেনা বাহীনির ব্রিফিং এবং চুন খেয়ে মুখ পোড়া বাঙালি

ম, সাহিদ
Published : 19 Jan 2012, 03:34 PM
Updated : 19 Jan 2012, 03:34 PM

সিদুঁর পোড়া গরু আকাশের লাল রঙ্গের আভা দেখেই ভয়ে লাফালাফি করে আর চুন খেয়ে মুখ পোড়া মানুষ দই দেখলেও সন্দেহের চোখে দেখবে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের অতীত ইতিহাস আমাদের বাংলাদেশের সেনাবাহীনিকে আস্থা-বিস্বাস আর কর্মদক্ষতার সফল বাহীনি হিসাবে দেখিয়েছে তেমনি অন্য দিকে এই সেনাবাহিনির কতিপয় ক্ষমতা লিস্পু উচ্চভিলাসি সেনা অফিসারের জন্য পুরো বাহীনিকে বদনামের কালিমা যুক্ত করে বাংলাদেশের আকাশে কালো মেঘ জমতে দেখেছি।

সেই সব ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন সেনা কর্মকর্তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহনের পিছনের কথা আজ আমাদের কারো অজানা নয়। তাদের কে ক্ষমতাধরের তকমায় বিভ্রান্ত আর ধর্মের মায়াজালে বন্দি করে তাদের ঘারে সওয়ার হয়ে ৭১'র পরাজিত শক্তি নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার প্রয়াস কতটা চতুরতার সহিত তারা তাদের মনস্কামনা পুরনে ধীরে সুস্থে এগিয়ে গেছে তা আজ দিবালোকের মত স্পষ্ট বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে।

আজ প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্রিঃ জেঃ মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক সেনাবাহিনীর পরিচালক (পিএস পরিদপ্তর) এর সেনা ব্রিফিংটি যখন প্রচার করা হচ্ছিল,তখন আবারো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মাঝে অজানা আশংকার কালো মেঘের উকি ঝুকি দেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হল আজ ৪০ বছর পরে যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ৭১'র মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচার চলছে তখনও তারা কতটা সুপরিকণ্পিত ভাবে নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনির মুষ্টিমেয় কিছু সদস্যকে আবারো বিভ্রান্ত করে জনগনের ভোটে নির্বচিত একটি গনতান্ত্রীক সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত করার ইন্ধন দিয়ে আবরো প্রমান করল তারা কখনও বাংলাদেশের ভাল চায়নি এবং তা কখনও চাইবেনা।

ধর্মান্ধ,জঙ্গী,উগ্র পন্থি কিছু লোকের সাথে দেশপ্রেমের লেবাস ধারী কিছু রাজনৈতিক দল/উচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতার মসনদের ভাগিদার হওয়ায় উদগ্রিব কিছু নেতা-নেত্রীর পরোক্ষ সমর্থনই এই হীন চক্রান্ত করতে সাহস যোগীয়েছে এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার কোন কারন নেই। সেই সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যারা দেশের মানুষ এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ক্ষমতার লোভে এক নিমিষে ভুলে গিয়ে এ সব কুচক্রী মহলের সাথে ইন্ধন দিয়েছে তার কিছুটা প্রমান আমরা পেয়েছি আর বাকিটাও পেয়ে যাব খুব শিগ্রই এমন ইঙ্গিতই ছিল আজকের সেনা ব্রিফিংটিতে।

এখন আমরা নির্দ্ধিধায় বলতে পারি,আমরা আমাদের এই লক্ষ ভাইয়ের রক্তে আর হাজারো বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদি ৭১'র পরাজিত শক্তির রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে এতোদিনের প্রশ্ন এবার জনমনে আবারো দানা বেধে না ওঠার কোন কারন আছে বলে মনে করছি না। পরবর্তিতে সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে তারাই দেশ পরিচালনার দায়ীত্ব নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু দেশ বিরোধী কোন অশুভ কালো শক্তির প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে আমাদের উপর আস্থা রেখে দেশের কল্যানে কাজ করে গেলে পর্যায়ক্রমে আমরাই আপনাদের মুল্যায়ীত করবো। তবে যে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এইসব চক্রান্ত কারীদের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমান মিললে তার উপযুক্ত জবাব দিতে বাংলার শান্তিপ্রিয় জনগন তাদের ঘৃনাভরা প্রতিদান দিতে পিছপা হবে না একচুলও সাথে স্মরন রাখার আহ্বান টুকুও রাখছি সবিনয়ে।

আজ আবরো এই সংবাদ যেমন আমাদের সাময়িক আতংকিত করেছে ঠিক তেমনি আমাদের সুপ্ত মনের গভিরে একটি প্রশ্ন রেখে দিয়েছে অনায়াসেই। আর তা হল আর কত দিন আমরা ঘুমিয়ে থাকবো আর বর্গীরা হানা দেবে আমাদের শান্তীর নীড়ে।