নাগরিক সাংবাদিকতায় আগ্রহীদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ

ম, সাহিদ
Published : 15 Feb 2012, 05:06 PM
Updated : 15 Feb 2012, 05:06 PM

আপনার আমার চার পাশে প্রতিদিন ঘটে যাচ্ছে হাজার ঘটনা। এর মাঝে কিছু ঘটনা ওঠে আসে সংবাদ পত্র এবং নানা মিডিয়ায়। আর অন্য সব ঘটনাগুলি সব সময় ঘটনা হয়েই থাকে তা সংবাদ হয়ে ওঠেনা কখনো। পত্রিকা বা মিডিয়ায় আসা ঘটনাগুলি যারা আমাদের সামনে নিয়ে আসেন তাদের আমরা সাংবাদিক বা সংবাদ কর্মি হিসাবে জানি। কিন্তু আমরা যারা পেশাদার সাংবাদিকতার কোন অভিজ্ঞতা নেই,নেই কোন সাংবাদিকতায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সেই সব সাধারন এবং নানা পেশার মানুষগুলি স্থানিয়,জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তুলে ধরা সহ বিভিন্ন সংবাদের পর্যালোচনাকেই সাধারনত নাগরিক সাংবাদিকতা বা সিটিজেন জার্নালিজম বলা হয়। সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতা একটি সময় পত্রিকার চিঠি পত্র বিভাগের মধ্যেই সিমাবদ্ধ ছিল। পরে তা আরো একটু বিস্তৃত হয়ে প্রথমে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এবং পরে ফেসবুকের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করতে থাকে। আর এরই ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সমাজের নানা ত্রটি বিচ্যুতি সহ জাতীয় আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ের সাথে গল্প,কবিতা এবং সাহিত্য চর্চা হতে থাকে। কিন্তু শুধু মাত্র সিটিজেন জার্নালিজম ভিত্তিক কোন ব্লগের ধারনা নিয়েই মুলত "বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর.কম ব্লগ"নামে বাংলায় প্রথম নাগরিক সাংবাদিকতার দ্বার উন্মেচন করে।

এখন আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার চারি পাশে আপনার চোখে ধরা পরা সমাজের নানা ত্রটি বিচ্যুতি অনিয়ম সহজেই তুলে ধরতে পারেন এবং আপনার চোখে যা ত্রটি মনে হচ্ছে তা কতটা যৌক্তিক সে ব্যাপারটি অন্যান্য পাঠকের মতামত দেখে সহজেই মিলিয়ে নিতে পারেন। তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটে যাওয়া আলোচিত যে কোন ঘটনায় আপনার প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি আপনার অভিমত ব্যাক্ত করতে কম্পিউটারের কি-বোর্ডে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার ক্ষুব্ধ বা উচ্ছাসিত মনোভাব। আমরা আমাদের যে কোন নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া বা কারো দ্বারা লঙ্ঘিত হলে এর প্রতিবাদ স্বরুপ এই মাধ্যমটিকে বেছে নিতে পারি অনায়াসেই। আমার সামনে যা দেখে আমি বিচলিত বা আনন্দ অনুভব করি তা প্রকাশ করে আরো সবার সাথে শেয়ার করে নিতে পারি এবং তা মোবাইলে তুলা ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিংও হতে পারে। এ ছারা আপনার নিজের আশেপাশের অসহায় রোগাক্রান্ত যে কোন মানুষের জন্য কিংবা দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানবিকতার দৃষ্টিকোন থেকে জানাতে পারেন মানবিক আবেদন বা সহযোগিতার হাত বড়িয়ে দিতে।

ব্লগে নিবন্ধন করে আমাদের যারা ভার্চুয়ালে বাংলা লেখায় অভ্যস্থ নই তারা সর্ব প্রথমেই বাংলা টাইপিং করতে গিয়ে খাই ধাক্কা।আর এই ধাক্কা থেকে পরিত্রানের জন্য ইন্টারনেট ঘাটলেই পাবেন সহজেই ইউনিজয়,ইউনিকোড ফর্মেটে লেখার নানা সহজ মাধ্যম। বেশ কিছুদিন পুর্বে আমাদের এই ব্লগের সম্মানিত ব্লগার কৌশিক আহমেদ বিজয় ফর্মেট থেকে সহজে ইউনিজয় বা ইউনিকোড ফর্মেটে রুপান্তরের একটি সুন্দর সহজ লিংক দিয়েছিলেন যা আবারো আপনাদের সমনে তুলে ধরলাম যারা বাংলায় লিখা নিয়ে সমস্যায় আছেন তারা এটি ব্যাবহার করতে পারেন।

এছাড়া, ব্লগে দেওয়া কোন পোষ্ট প্রকাশ হওয়ার সাথেই আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল না। আপনি লেখাটির লিংকটি ফেসবুক নিজ প্রোফাইল এবং আপনি সদস্য আছেন এমন গ্রুপ গুলি সহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে আপনার বক্তব্যটি আরো বেশী মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারেন। আপনি যখন পাঠক তখন একটি লেখা পড়ার পর তাতে মন্তব্য করে লেখককে আরো উৎসাহিত করতে পারেন নতুন কিছু লিখার ব্যাপারে এবং আপনার লেখায় কেউ মন্তব্য করলে তার প্রতিউত্তর দিয়ে মন্তব্য কারিকে আবারো আপনার লেখা পড়ার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে পারেন।

মনে রাখতে হবে,বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর.কম ব্লগ আমাদের নাগরিক সাংবাদিকতার যে সুযোগ করে দিয়েছে তার মাধ্যমে আমার আপনার লেখাটিকে আরো হাজারো মানুষের দৃষ্টিতে নিয়ে আসতে হলে আমাদের আরো সক্রিয় হতে হবে। আমাদের আশে পাশের অনেকেই শুধুমাত্র ফেসবুক সহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। তাদের মাঝে নাগরিক সাংবাদিকতা তথা ব্লগিং বিষয়টি পরিস্কার করে আগ্রহী করে তুলার মাধ্যমে পক্ষান্তরে আপনি আপনার লেখার পাঠক তৈরি করতে পারেন। আর এভাবেই আমরা নাগরিক সাংবাদিকতার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ এক একেকজন হয়ে ওঠতে পারি প্রতিবাদি এবং নাগরিক অধিকার তথা সমাজ সচেতন মানুষ। আর এই শক্তির সাথে পাশাপাশি পেয়ে যাবেন একটি বড় বন্ধুত্বপুর্ন একটি অদৃশ্য শক্তি যা, যে কোন সময় আপনার দুঃসময়ে তারা একতাবদ্ধ হয়ে দাড়াবে আপনার পাশে।

এ ছাড়া আপনার যে কোন সমস্যার জন্য ব্লগের সম্মানিত মডারেটরের কাছে আপনার প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য যে কোন পোষ্টে মন্তব্য করে দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেন।