১২ মার্চ ঢাকা শহরে সরকারি ছুটি ঘোষনা করা হোক

ম, সাহিদ
Published : 11 March 2012, 05:34 AM
Updated : 11 March 2012, 05:34 AM

পুব আকাশে কালবৈশাখী ঝড়ের লক্ষন দেখা দিলে গ্রামের মানুষ অজানা শংকায় নানা পদক্ষেপ গ্রহন করে। এর মধ্যে ধান,চাল মহ নানা রবি শষ্য যে সব পাত্রে রাখা হয় তা পলিথিন কাগজে মুড়িয়ে বৃষ্টির পানি হতে রক্ষার চেষ্টা এমন কি কাথা,বালিশ,লেপ তোষক প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র,টাকা পয়সা যা সম্ভব নব কিছুই রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।কখনও জরুরী কাগজ পত্র,টাকা পয়সা,গহনাগাটি পলিথিন কাগজে মুড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থানে মাটির গর্ত করে পুতে রাখা হয়। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হল আগাম সতর্কতা এবং জান মালের সুরক্ষার চেষ্টা।

১২ ই মার্চ নিয়ে যত কথা পেপার পত্রিকা,ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এমনকি ভার্চুয়ালি নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ব্লগ,ফেইসবুকে যত ধরনের শংকার কথা দেখছি আদতে কি ঘটবে আর না ঘটবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে সরকার এবং বিরোধী দলের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটলেও ঘটতে পারে।যাই হোক যাহাই ঘটুক না কেন আমাদের বাঙ্গালী জনগনের অনেক কিছু সহ্য করার ক্ষমতা যে আছে তা আমরা অতীতে অনেক দেখেছি এবং আমার মনে হয় এটাও গা সওয়া হয়ে যাবে। তবে বোনাস হিসাবে সাথে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলির মুখোশটি অনেক আগেই যা আবছা ভাবে খসে ঝুলে আছে তা হয়ত এবার উন্মোচিত হয়ে যেতে পারে তাদের কর্মকাণ্ডে।

এখন ১২ ই মার্চ সমাবেশের কারনে ঢাকার আবস্থা দুইদিন আগ থেকেই লোক সমাগমের কারনে পরিপুর্ন হয়ে ওঠছে। এখন টিভি নিউজ এবং কিছু ব্লগ-ফেইসবুকের ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানতে পারলাম ঢাকা শহরের হোটেল রেস্তরা গুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সরকারের নির্দেশনায় প্রসাশনের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে। এমনকি অনেকে্ রুটের বাস,লঞ্চ বা ট্রেন চলাচলে বাধার কথা শুনা যাচ্ছে এই সমাবেশকে সামনে রেখে।অবশ্য সরকারের পক্ষ খেকে এ ব্যাপারে সঠিক উত্তর না পাওয়া গেলেও তাদের বক্তব্য শুনে যা বুঝলাম তাতে এ টুকুই বলতে পারি সব কিছুই জনগনের জান মাল রক্ষা এবং শান্তি শৃংখালা বজায় রাখার স্বার্থেই করা হচ্ছে।

এখন জনগনের শান্তি বজায় রাখার জন্য এতো কিছু করার মধ্যে আরো একটি সিদ্ধান্ত সরকার নিলে ঢাকা শহরের বসবাসরত লাখ লাখ মানুষ যারা সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে এ দিন সরকারী ছুটি ঘোষনা করা হোক।কারন অফিসে যাওয়া আসার সময় ঐ সব চাকুরিজীবীরা যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হয়রানি বা বিশৃংখল অবস্থার তৈরি হলে তাতে পড়ে হতাহতের হাত হতে বাচতে হলে এ দিন বাসা হতে বের না হওয়াই হবে সব চাইতে নিরাপদ। অবশ্য সরকার মনে করতে পারেন সরকারী চাকুরীজিবীরা ছুটি পেলে কেউ কেউ সমাবেশে অংশ গ্রহন করতে পারে এখানে একটি কথা সবাই জানেন যে সরকারী বেসরকারী প্রতিটি ক্ষেত্রেই যে কোন দলের সমর্থক আছে আর ঐ সমাবেশে যোগ দিলেও থাকবেন এবং না দিলেও থাকবেন। এ ছাড়া সরকার ব্রিফিং দিয়ে বলতে পারেন আর যাই হোক আমরা কোন মানুষের জীবন বা মান সম্মান নিয়ে খেলা করি না,আমরা জনগনের সরকার আর তাই জনগনের নিরাপত্তাটাই আমাদের কাছে মুল লক্ষ্য।

আর এই সব বিষয়গুলি সদয় বিবেচনা করে আমার মনে হয় সরকার ঐ দিন অন্তত ঢাকা শহরে সরকারী ভাবে ছুটি ঘোষনা করলে লাখ লাখ ঢাকায় কর্মরত চাকুরীজিবী তাদের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়ার কারনে আর যাই হোক তাদের আন্তরিক অভিনন্দনে অভিনন্দিত হয়ে তাদের কাছে আরও আস্থাশীল হয়ে ওঠবেন। যে যাই বলুক জনগনের ভোটে নির্বচিত একটি সরকার জনগনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যে কোন আইন সঙ্গত এবং যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন,আর তাই জনগনের সরকার জনগনের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটাবে এটাই প্রত্যশিত।