সময়,স্রোত আর নদীর ভাঙ্গন এগুলি তাদের ইচ্ছামত স্বাভাবিক নিয়েমই চলে,আর ইতিহাসকে যদি কেউ বিকৃত করার চেষ্টা কখনও করেও থাকে তা ঠিকই সময় সুযোগ বুঝে স্বরুপে আভির্বুত হতে কখনও ভুল করে না। মার্চ মাসের ৭ তারিখ এলে আওয়ামীলীগ এই দিনটি বিশেষগুরুত্ব দিয়েই মাইক বাজিয়ে স্বরণ করিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর রেকর্ডকৃত ভাষনটি উপজেলা,জেলা শহর বন্দর পাড়য় অবস্থিত আওয়মীলীগ ও এর অঙ্গ সংঘঠনের অফিস কার্য্যালয় গুলিতে। কিন্তু অবাক করে ঐ যায়গাতে যখন ২১শে'ফেব্রোয়ারী এলে সকল বাংলাদেশের জনগন একদিনের জন্য বাঙ্গালী বনে যায় কিংবা স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ই ডিসেম্বর সারা দেশ আবার আর একটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য নিমিষেই শপথ নিয়ে নেয় অবলিলায়,ঠিক সে রকম করে একিদনের জন্য আওয়ামীলীগকে ৭ই'মার্চকে পালন করতে দেখে।৭ই'মার্চ ক্যালেন্ডারের পাতায় অংকে লিখা একটি সংখ্যা কিংবা একটি তারিখ নয়,পক্ষান্তরে বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম দিন। আর এই বাংলাদেশের জন্ম দিনটি পালন শুধু আওয়ামীলীগ নয় দল মত নির্বিশেষে দেশের প্রতিট মানুষ স্বপ্রনোদিত হয়ে ৭ই'মার্চের চেতনা লালন করাতে বাধ্য ইতিহাস ঠিকই তার সময় সুযোগ বুঝে স্বরুপে আভির্বুত হবেই হবে।জন্ম দিনের সঠিক মুল্যায়ন দিয়ে যেমন একটি মানুষের জীবনের প্রতিটি খেত্রে সফলতা বয়ে আনে ঠিক তেমনই একটি দেশের জন্মলগ্নের দিকনির্দেশনার মেহন্দ্রখনের অঙ্গীকার শুখি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার প্রতিটি সিদ্ধান্তের পুর্বশর্ত হওয়া উচিৎ।