ক্রমের মাঝে ব্যতিক্রম, বিখ্যাত হওয়ার ধরন-ধারন!

ম, সাহিদ
Published : 6 May 2012, 04:05 AM
Updated : 6 May 2012, 04:05 AM

স্কুল জীবনের শুরুতে যখন প্রথম স্কুলে যেতাম তখন উপরের ক্লাসের ছাত্রদের দেখলে মনে মনে ভাবতাম আহ আমি কবে তাদের মত বড় ক্লাসে পরব। কখন আমি তাদের মত করে অনেক গুলি বই নিয়ে ভাব নিয়ে স্কুলে আসবো। কখন আমি স্যারের নির্দেশ মোতাবেক মাঠের পাতা কুড়ানোর জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের নেতৃত্ব দেব। সময় তার সমাধান দিয়েছে আমিও সেইসব সময় পার করে এসেছি। তার পরও এখনও মনে মনে ভাবি আমি যদি এটা হতে পারতাম কিংবা আর কারও মত ক্ষমতাধর হতে পারতাম। হয়ত কোন কোন জায়গাতে আমার বর্তমান অবস্থানে অন্য কেউ আসার মনবাসনা পোষন করে আবার হয়ত কেউ না কেউ প্রতিনিয়ত আশা করে আমি যেন আরও ভাল অবস্থানে যেতে পারি আর নিজের চাওয়ার কথা নাইবা বললাম।

ভার্চুয়ালি এখন হিরো হয়ে যাওয়া বা রাতারাতি ব্যাপক পরিচিতি লাভের একটা দৃশ্যমান প্রতিযোগিতা ফেইসবুক বা ব্লগে দেখতে পাওয়া যায় একটু খেয়াল করলেই। আর এ জন্য কেউ বেছে নেয়, নাস্তিকতা, আস্তিকতা, পর্নোগ্রাফি, রাজনীতি, পুঁজিবাদ, নিরপেক্ষতা, স্পষ্টবাদিতা বা এই রকম আরো অনেক বিষয়। আর এতে হয়ত অনেকেই বেশ সফলও হচ্ছেন তাতে তার নিজের কতটা লাভ হচ্ছে এই বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে তবে এরা অনেকেরই আবার বেশ স্বল্প সময়ের ব্যাবধানে ছিটকে পড়া দেখে সত্যি বড় করুনা হয়। তবে সত্যিকারেই যারা যে বিষয় নিয়ে লিখেন এবং উদ্দেশ্য ও নিজ অবস্থানে অনঢ় থাকার কারনে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে তাদের কথা আলাদা।

ছোট বেলায় বড়রা প্রায়ই উপদেশ দেবার সময় একটি কথা বলতেন,আর তা হল ছিচকে চোর না হয়ে প্রয়োজনে ডাকাত হও আর শিয়ালের মত শত বছর না বেচে থেকে বাঘের মত একদিন বাচ। উদ্দেশ্য যদি সৎ হয় জয় তোমার নিশ্চিত আর মনের জোর যথার্থ থাকলে সময় তোমার সব সময় ছায়ার মত সাথী হয়ে থাকবে এমন উপদেশ শুধুই কথার কথা নয় যথেষ্ট ভিত্তি আছে যার প্রমান ভুড়ি ভুড়ি পেয়েছি এই জীবনে। আমার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ এই ক্ষুদ্র জীবনে পেয়েছি যাদের সান্নিধ্যে এসে শিখেছি অনেক কিছু,জানতে পেরেছি অনেক অজানা তথ্য কিন্তু তারই সাথে তাদের কারও কাছ হতে আবার স্পষ্ট আভাস পেয়েছি কি ভাবে ভণ্ডের মুখোশ পরে নিজেকে স্বনাম ধন্য করে তুলতে হয়।

ইদানিং বেশ কিছুদিন ধরে ব্লগে দু-একটি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বেশ কিছু পোষ্ট দেখছি এবং সম্ভবত সব গুলিই পড়া হয়েছে, ঘুরে ফিরে এ দল নয়ত ঐ দলের মনোভাবেরই স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ মাত্র। মাঝে থেকে অবশ্য দু-একটা নিরেপেক্ষ লেখা যে পড়িনি তা অস্বীকার করব না তবে কিছু নিরপেক্ষতা আবার চোখে বেশ খচ খচ করে ঠেকেছে। সব মিলিয়ে সিটিজেন জার্নালিজম ভিত্তিক এই ব্লগটির জন্মলগ্ন থেকেই দেখে এসেছি নানা বৈচিত্রময় বিষয় ভিত্তিক লেখার কথামালা, আর তাই বর্তমান সময়ের এই গৎবাঁধা এক ইস্যু ভিত্তিক লেখালেখির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের প্রতি ব্লগাররা মনোনিবেশ করলে পাঠকরা পাবে কাঙ্খিত স্বাদ সাথে ব্লগের স্বতন্ত্রতা থাকবে অক্ষুন্ন। শুধুমাত্র পরিচিত মুখ হয়ে ওঠার প্রত্যাশা না করে আসুন নিজের মত নয় অন্য আরও দশজন যারা আমাদের এই লেখা গুলি পড়েন তাদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন বিষয়ে সত্যিকার সিটিজেন জার্নালিজম চর্চা করি।

বিঃদ্রঃ লেখাটি কারও মনো কষ্টের কারন হয়ে থাকলে আমি আন্তরিক ভাবেই দুখঃ প্রকাশ করছি তবে কারও মাঝে লেখার ভাল বা মন্দের প্রভাবটুকু নিজ দায়িত্বেই খুজে নিলে উপকারটি বেশীরভাগই আপনার।