শ্রীনগর গার্লস স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ছোঁয়ার বাড়ী দয়াহাটা গ্রামে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে এক সন্ত্রাসী, বখাটে রিগেল ও তার সঙ্গীরা ছোঁয়াকে প্রতিদিন উত্ত্যক্ত করে আসছিল । জানা গেছে বখাটে রিগেল সায়েম নামক এক যুব নেতার আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে লালিত। বোনকে ঐ বখাটের হাত থেকে বাঁচাতে ছোঁয়ার ভাই সনেট প্রতিবাদ করলে রিগেল ও তার সঙ্গীরা গত শুক্রবার সনেটের মাথা ফাটিয়ে দেয়। ছোঁয়ার আরেক ভাই এ বিষয়ে জানতে গেলে রিগেল তাকেও মারধোর করে আটক করে রাখে।
গতকাল বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ছোঁয়ার চাচাতো ভাই আখতার, সাগর সন্ত্রাসী সায়েমের সাথে সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় উভয়পক্ষের বাকবিতণ্ডা শুরু হলে সায়েম ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই ভাইকেই এলোপাথাড়ি কোপায়। এসময় মারাত্মক ভাবে জখম হওয়া আখতারকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। রক্ত ক্ষরণে নিস্তেজ আখতারকে মিটফোর্ড ভর্তি করার আগেই মৃত্যুর কলে ঢলে পড়ে।
আখতারের অপর ভাইয়ের অবস্থাও আশংকাজনক। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গোটা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অপরাধ দমনে শ্রীনগর থানা পুলিশের ব্যর্থতার দায় সরকারের, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। জানতে ইচ্ছে করে নির্বাচিত সাংসদ সুকুমার রঞ্জন ঘোষ কি বলেন!!
আমি নিজে ইতিপূর্বে দুইটি সন্ত্রাসী ঘটনার চিত্র ব্লগে দিয়েছি। লিংক দেখুন –
আশ্চর্য হলাম! এত কিছুর পরও অকর্মণ্য শ্রীনগর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হচ্ছেনা!
মুন্সীগঞ্জে ইভ-টিজিং দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশি! ইভ-টিজিং প্রতিরোধে অনেকবার-ই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, মৌন-মিছিল হয়েছে। প্রতিবারই অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে!
সন্ত্রাসী সায়েমদের হাত থেকে নিজের বোনকে বাঁচাতে আর কত ভাইকে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হবে? ইভ-টিজারদের বিরুদ্ধে আমার লড়াই অনেকদিনের। আসুন এদের প্রতিহত করি।
ছবি: ইন্টারনেট