“Charlie Hebdo” রম্য ম্যাগাজিনে মোহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কটুক্তি, ব্যঙ্গ কার্টুন চিত্র প্রকাশ…অতঃপর..

সাইফ ভূঁইয়া
Published : 2 Nov 2011, 05:18 PM
Updated : 2 Nov 2011, 05:18 PM

তিউনিসিয়ার মধ্যপন্থী ইসলামী দল হিজব আল-নাহদা দেশটির প্রথম নির্বাচনে জয়ের আনন্দে যখন ভাসছে ঠিক তখন প্যারিস হতে প্রকাশিত সাপ্তাহিক "Charlie Hebdo" রম্য ম্যাগাজিন গতকাল দ্বিতীয়বারের মত মুসলিমদের অপমান এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মহানবী সা: এর একটি ব্যঙ্গ কার্টুন চিত্র প্রকাশ করে। কার্টুন চিত্রে ক্যাপশন দেয়া হয়, " ১০০ দোররা মারা হবে যদি হাসতে হাসতে না মরো!"

মোহাম্মদ সা: কে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পরবর্তী সংখ্যার জন্য "এডিটর-ইন-চীফ" পদে আহবান করা হয়। বলা হয়, "আমরা জানি আপনি ইসলামের নবী এবং আপনাকে দ্বিতীয়বার বলতে হবেনা!"

এই ব্যঙ্গ কার্টুন চিত্র প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই সামাজিক সাইট ফেসবুক এবং টুইটারে তাদের সতর্ক করা হয়। আজ স্থানীয় সময় ভোর ১টায় মলোটভ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পত্রিকা অফিসটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পত্রিকা অফিসের ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়ে গিয়েছে। হ্যাকাররা একটি মন্তব্য দিয়েছে, " সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে তোমরা ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ সা: কে নিয়ে নোংরা, অসম্মানজনক অপ-প্রচার করছ, কার্টুন ছাপছ। আল্লাহ তোমাদের উপর সহায় হওন।"

ইসলাম ধর্ম, মহানবী সা: কে নিয়ে কটূক্তি/ ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ এবারই নতুন নয়। ২০০৭ সালে ডেনিশ কার্টুনিস্ট কূট ওয়েষ্টারগারডের ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশের পর বিশ্ব ব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। অনেক মুসলিম দেশ তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং ডেনিশ পণ্য বর্জন করেছিল। বিশ্ব ব্যাপি নিন্দার কারণে পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক সবাইকে প্রকাশে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।
আর সে সময় Charlie Hebdo ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষকে সেই কার্টুনটি পুনঃ প্রকাশের দায়ে আদালতে যেতে হয়েছিল।

এই ঘটনার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবিসি সংবাদ দাতা ডেভিড চাযান বলেন, " Charlie Hebdo সব সময়ই ইন্ধন-দাতা, তাদের কাজ-ই হল উস্কে দেয়া"

সারা বিশ্ব যখন ধর্মীয় সন্ত্রাস, ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন Charlie Hebdo মুসলমানদেরকে বিনা কারণে কেন উস্কে দিচ্ছে?
কত সহজে পশ্চিমা বিশ্ব মুসলমানদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করছে। অথচ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেশ বাংলাদেশে কোন মুসলমান হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কখনোই এমন সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়নি।

ছবি ও তথ্য : আন্তঃজাল