কিছুদিন আগের ঘটনা: কুটনৈতিক পাড়া খ্যাত দেশের ক্যান্টনমেন্ট গুলি ব্যতিত সবচেয়ে নিরাপদ এবং সেনসেটিভ জায়গা গুলশান। আর এমন একটা জায়গায় বন্দুক গোলাবারুদ নিয়ে বিদেশী নাগরিক জিম্মী করার সাহস দেখানোর মতো গুলিতে পুলিশের ওসি এসিকে হত্যা, সত্যি ভয়াভয়। সত্যিকার অর্থে এটাই প্রথম স্বশস্র আত্ন প্রকাশ! কঠিন এক দুঃসময়ের মুখে প্রিয় স্বদেশ আমার।
সরকার বিরোধী আন্দোলন আর জঙ্গী বাদ এক সাথে তালগোল পাকিয়ে আমরা একম এক জগাখিচুড়ি অখাদ্য বানিয়ে ফেলেছি এটা খেয়ে হজম করাটা সত্যিই অকল্পনীয় হয়ে উঠেছিলো, জংগীদের এই ভয়াভহতার মধ্যেও আমরা সরকার এবং সরকার বিরোধী উপাদান খুজেছি।
আত্নগাতী হামলা যে ভয়াভহতা আমরা পাকিস্থান,অাফগানিস্থান সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেখে অাতংকিত হই কোথায় বাস করছে তারা,আর সেই একই চিত্র যদি আমাদের দেশে ফুটে উঠে তাহলে তার জন্য দায়ী আপনাদের এই জংগী জংগী খেলা এরকম টা বলতেও পিছপা হইনি আমরা।
ওখানে সত্যি সত্যি জংগীরাই হামলা করেছেতো, নাকি করানো হয়েছে,এই জাতীয় কনফিউশন সত্যি কষ্টকর সোশাল মিডিয়াতে দেখা যচ্ছে, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন এটা সত্যিতো? সাজানো না তো! চরম দুর্ভাগ এটা আসলে এটা অান্তজাতিক জংঙ্গী বাদের একটা অংশ,আই এস বা যে নামেই দায় স্বীকার করুকনা কেন আমাদের উচিত কঠিন এ সময়ে সবাই এক হয়ে একযোগে কাজ করা।
গুলশানের পর কল্যানপুর পুরের কুইক এ্যাকশান এ পুলিশের ভুমিকা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, কিন্তু নিহত জংগীদের পরিচয় যখন পাওয়া যায় তখন এটা পরিস্কার হয়ে যায় এটা প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্ত ছিলোনা, গোয়েন্দা সুত্র ব্যার্থ হয়নি এখানে, আসলে গুলশানের ব্যাপারেও হয়তো ইনফরমেশন কিছুটা হলেও ছিলো কিন্তু এরকম সহিংসতার সাথে আমাদের পরিচয় ছিলোনা,তাই হয়তো তখন অগ্রিম সুত্রের ভিত্তিতে গুলশানে কল্যানপুরের মতো একশানে গিয়ে পুলিশ যদি এদের সবাইকে মেরে ফেলতো আমরা কিছুতেই পুলিশের বক্তব্য গ্রহন করতাম না, ছেলে গুলোর ষ্টাটাস বয়স আর অতীত বিবেচনায় আমরা উল্টো পুলিশকে দাড় করাতাম কাঠগড়ায়!
কিন্তু গুলশান অামদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছে এই বাচ্ছা ছেলেগুলোকে ব্রেন থেরাপী দিয়ে তাদের নেতা নামক কুলাঙ্গার গুলো কোন জায়গায় ঠেলে দিয়েছে,তাই কল্যান পুরে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন, সে রকম জিরো টলারেন্স ই প্রয়োজন।
জংগীবাদের বিরুদ্ধে যে জনসচতেনতা মুলক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন, তাহলে নতুন করে ব্রেন থেরাপী কিংবা ড্রাগের আছর সহজে আমাদের নতুন প্রজন্মকে টানতে পারবেনা।দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তিই কেবল নতুন করে কাউকে এ ধারার সাথে যোগ হতে নিরুতসাহিত করবে।
যে যতো রকম প্রশ্নই তুলুক অভিযান রাতে হলো না কেন, কেন ভোরের আলোয় করা হলো,সেনাবাহিনী কেন আসলে, কিংবা এত দেরী করলো কেন? জংগীরা রাতে কি এই পোষাক পরে গুমায়, কোন কিছুই আমলে না নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে গেলে প্রশংসা করুক না ককরুক কেউ দেশ ও জাতি উপকৃত হবে,তবে সাধারন কাউকে কিংবা দলীয় বিবেচনায় কাউকে জংগী বানিয়ে দেয়ার কোন অপচেষ্ঠা যদি সুযোগ সন্ধানী কেউ নেয় সেটা পুরো সরকরের সমস্ত অর্জনকে ম্লান করে দেবে।এ ব্যাপারে সত্যিকার অর্থে আন্তরিক ও সতর্ক থাকতে হবে।
আমাদের সাধারন মানুষ ও যত বেশী সচেতন হবে তত বেশী জংগীদের সংগঠিত হওয়া, প্রশিক্ষন নেয়ার স্থান এগুলো কমে যাবে,কোথাও কোন সন্দেহ জনক কিছু দেখলেই মানুষ সহজে বুঝতে পারবে কি ঘটছে, তাই এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে দেশের মানুষ এর স্বার্থেই,এন্টি টেরোরিজম সেল গঠন করে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করা জরুরী।