সেদিন একটা নিউজে পড়লাম শুক্রবারের এক খোতবায় সরকারি ২৬ কোটি টাকা খরচ, টিএডি মিলালে সেটা নাকি ৩০ কোটিতে পৌঁছবে! এটা কি সত্যিই ঘটেছে ঘটে থাকলে ইসলামি ফাউন্ডেশান এর ওই সব মাথাওয়ালা লোকগুলোর তো পোয়াবারো, প্রতি শুক্রবার ইমাম সাহেবদের কাছে দু'পৃষ্ঠার খোতবা পাঠানোর জন্য বাজেট ২৬ কোটি ভাবা যায়!
বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব সহ ইসলামি ফাউন্ডেশান এর কর্তাদের বলছি ওটা আমার কাছে মেইল করে দিয়েন আমি নিজের পয়সায় সব ইমাম সাহের যাতে পায় তার ব্যাবস্হা করবো। দেশের প্রতিটি ইউনিয়েনর তথ্য সেবা কেন্দ্র আছে সেখানকার মেইল নাম্বার গুলোতে খোতবার কপি পাঠিয়ে দিলে আর ষদি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সাহেবরা সেটা স্হানীয় মেম্বার দের মাধ্যমে প্রিন্ট আউট কপি ইমাম সাহেবদের কাছে পাঠান তো কত টাকা বাজেট লাগবে? সময় কি খুব বেশী লাগবে? বরং কেবলমাত্র ইসলামী ফাউন্ডেশন এর তালিকা ভুক্ত মসজিদ নয় বরং সকল মসজিদে পৌচবে আর ও দ্রুত।
আরে দৈনিক পত্রিকায় এড এর মাধ্যমে প্রচার করলেও তো কয় টাকা খরচ হবে?যেখানে সর্বোচ্ছ প্রতি কলাম ইনৃচি তিন হাজার টাকা করে বিল দিলে ও চোরদের কমিশন থাকবে তিরিশ পারচেন্ট, আর সরকারী এড এর মুল্য তো আর ও কম। এড দিলেও মুসল্লীরাই হাতে করে নিউজপেপারটা ইমাম সাহেবদের কাছে পৌঁছে দেবেন,দেশের এমন কটা এলাকা আছে যেখানে পত্রিকা যায় না।
তাহলে এত কোটি কোটি টাকার খরচ কেনো হলো? কারা করলো দোখা দরকার নয় কি?
সরকারি সব কাজেই আসলে গরুর থেকে দডির দাম বেশী পডে যায়, একসেট ক্যামেরা কিনতে তিন জন প্রি ইনস্পেকশন করতে জার্মান যায়,এরকম অহরহ ঘটনা ঘটছে আর লুট করে খাচ্ছে সুবিধাবাদী কিছু লোক। বাংলাদেশ ডিডিটাল হয়ে গেছে বলে যারা শোর তুলি মাঝে মধ্যে তাদের বলবো,কচু হয়েছে ডিজিটাল না ওল কচু ছেনেন ওটার কথাই বলছি, একটা ন্যাশনাল ডাটাবেজ নাই আবার ডিজিটাল! আগে প্লিজ এনালগ এবং ডিজিটাল এর ফারাকটা শিখুন নিজেরা শিখে আমজনতাকে শেখান,তবে যে পক্রিয়া অব্যাহত আছে বেশী দিন লাগবে না।
এক খোতবায় তিরিশ কোটি নাই আর আমরা চাপাবাজি করি আমরা ডিজিটাল হয়ে গেছি,বায়োমেট্রিক রেজিষ্টশান ছাডা যেখানে সিম ব্যাবহার করতে পারার কথা না সেখানে এক লাখ সিম এক সাথে পাওয়া যায় নিবন্ধিত এবং বায়ুমেট্রিক পাশ করা। সত্যিই সেলুকাস। কবি প্রকৃতই বলে গেছন- 'উদ্ভট উটের পিঠে ছড়ছে স্বদেশ আমার।'