অনেক দিন আগে আমার ছেলেটার পায়ে ব্যাথা শুরু হলো ঊরুসন্ধি,কখনও বলে হাঁটুতে ,তারপর ময়মনসিংহ মেডিকেলের অর্থোপেডিকস এর ডাক্তার দেখলেন সব রকমের এক্সরে ,এম,আর,আই ,টিবি এমন কি থাইরয়েড় টেষ্ট করার পর এক সপ্তাহ পায়ে টানা দিয়ে পূর্ন বিশ্রাম ,ছেলেটা পঙ্গুর মতো এক সপ্তাহ কাটালো বিছানায় যথারীতি কিছু ওষুধ সেবনের পর আবার পরীক্ষা কিন্তু একই সমস্যা রয়ে গেলো ,বলে রাখা ভালো সব গুলো পরীক্ষা করালাম পপুলার থেকে ,,কোন রোগ ধরতে না পেরে ডাক্তার রেফার করলেন ঢাকার একজন ডাক্তার ——- এর কাছে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সিনেমার টিকেট নেয়ার মতো করে কাউন্টার খোলার অপেক্ষা করার পরও সিরিয়াল পেলাম না কারন উনি প্রতিদিন আট জনের বেশী নতুন রোগী দেখেন না ,বললাম ওনার কাছে রেফার করেছে অন্য ডাক্তার তারপর ,কাগজটা নিলো এটেন্ডেন্ড বললো উনি আসলে কাগজটা দেবো ওনি দেখলে দেখবে না দেখরে কিছু করার নেই ,অগত্যা অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের মতো আমজনতার আর কিছুই করার থাকেনা ,যাক এক সময়তিনি এলেন আমাদের রোগী অথাৎ 05 বছরের ছেলেটাকে দেখবেন বললেন ,রাত তখন 11 টা আমাদের যখন ডাক পড়লো চেম্বারে ঢুকলাম তিনি অন্য রোগী দেখছেন ওনার সহকারী ডাক্তার গ্রামের ভাষায় যাদের আমরা কম্পাউন্ডার বললে সহজে চিনি ,হাত পা নেড়ে দেখলেন তারপর বড় ডাক্তার — (কৈ মাছের মতো কানে হেটে) টেবিলের সামনে দাড়িয়ে অনেকটা রোবটের মতো সবোর্চ্চ 05 থেকে 10 সেকেন্ডের মধ্যে একটা এক্সরে করতে লিখে দিয়ে বললেন রিপোর্ট নিয়ে আসেন তখন আপনার ছেলেকে দেখে দেবো ,আমি বললাম টেস্টগুলো করা আছে সেদিকে কর্ণপাত না করেই তিনি চলে গিয়ে সামনে বসে থাকা এম ,আর দের নিয়ে বসলেন ,ব্যাস্ত তা যে ওনার অনেক বেশী ———-