ঢাকার দুই মেয়রের কাছে নাগরিক চাওয়া

সাজিদ রাজু
Published : 10 Feb 2020, 06:45 PM
Updated : 10 Feb 2020, 06:45 PM

আলোচনা-সমালোচনা যাই হোক, ভোট তো হলো। নির্বাচিত হওয়ার পর শুরুতেই পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি  এসেছে মেয়রদের কাছ থেকে। অনেক জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হলেও, এখনও অনেক জায়গায় পোস্টার ঝুলছে। সব পোস্টার অচিরেই সরিয়ে নেওয়া শেষ করবে দুই সিটি করপোরেশন আশা করি।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের মূল অঙ্গীকার ছিলো বিজয়ী হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসীর মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। কী সেই মৌলিক অধিকার? একটু চোখ কান খোলা রাখলে যে কেউই বলবে নির্মল বায়ুতে শ্বাস নেওয়া অধিকার নাগরিকদের আছে। তিনি ইশতেহারে বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।

তাপস তার নির্বাচনী পরিকল্পনায় পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। বলেছেন ঐতিহ্যের ঢাকা, সচল ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকার কথা। বিশেষ করে জলাবদ্ধতা আর মশার উৎপীড়ন থেকে নগরবাসীকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি ছিল তার নির্বাচনী ইশতেহারে।

অন্যদিকে ৩৮ প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন উত্তরের নতুন মেয়র আতিকুল। তিনি বিশেষ করে এলাকাভিত্তিক সমস্যা শনাক্ত করে সেগুলোর স্থায়ী সমাধা‌ন ও উন্নয়নের কথা বলেছেন।

দুই মেয়রই বলেছেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, খেলার মাঠ হাঁটার উন্মুক্ত স্থান তৈরি করার কথা; যানজটে দুর্বিষহ হয়ে ওঠা নাগরিকদের একটু স্বস্তি দেওয়ার কথা। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানোর কথাও বলেছেন তারা। মাদক নির্মূলের কথা বলেছেন দুজনই। মশার অত্যাচার থেকে নগরবাসিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সিটি করপোরেশনের নিকট দায়বদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাপস।

মোটাদাগে আমাদের চাওয়াও খুব বেশি নয়। মশা দূর করার জন্য কার্যকর ওষুধ আনুন। জলজট দূর করুন, সরকারি হিসাবের ৫৪টি না হোক অন্তত ১০টি খাল উদ্ধার করে দেখান। ময়লা আবর্জনার ভাগাড় নয়, শহরকে পরিচ্ছন্ন দেখতে চাই। প্রয়োজনে লোকবল  নিয়োগ দিন, যন্ত্রপাতি আনুন। মানুষের প্রয়োজনের আনুপাতিক হারে যৌক্তিক পর্যায়ে রিক্সার সংখ্যা নির্ধারণ করুন। গণপরিবহনের সংকট দূর করুন। পার্কিং করার ব্যবস্থা করুন। রাস্তার পাশের ফুটপাতে হাঁটতে চাই, ফুটপাত ফিরিয়ে দিন। পার্ক-খেলার মাঠ যেগুলো আছে সেসব উদ্ধার করে আমাদের একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিন।

কয়েক দিনের মধ্যে নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট আকারে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র হিসেবে আপনাদের নাম প্রকাশ করা হবে। শপথ পাঠ করানো হবে। ঢাকার দুই সিটি মেয়রের কাছে অনুরোধ, দায়িত্ব নিয়ে কথা নয় আগে কাজ শুরু করুন।