অতিরিক্ত ফি’র কারণে রাবির সমাবর্তন বিমুখ সাবেক শিক্ষার্থীরা

সজীব হোসাইন
Published : 7 Nov 2016, 01:16 AM
Updated : 7 Nov 2016, 01:16 AM

সমাবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষা সব পরীক্ষার্থী তথা ছাত্রছাত্রীরই থাকে। ব্যতিক্রম নয় দেশের উচ্চশিক্ষার দ্বিতীয় বৃহত্তম পাদপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রেও। তবে অতিরিক্ত ফি'র কারণে দশম সমাবর্তনে বিমুখ হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। ফি কামানোর জন্য মানবিক আবেদন জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক বলেন, 'আমরা কাউকে জোর করছি না। কেউ না পারলে আসবে না।'

যেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে।

লোকপ্রশাসন বিভাগে সাবেক শিক্ষার্থী নুরে আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দেখছি আবার আন্দলন করে প্রশাসন ভবনে তালা লাগাতে হবে। আমরা তো প্রতিমাসে ২০ টাকা বেতন দেওয়া ছাত্র এ কথা কি তাদের মনে নেই। আমারা এখন প্রাক্তন ছাত্র তাই বলে কি আমাদের দাবির গুরুত্ব নেই।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ রহমান সেতু জানান, শুধুমাত্র সমাবর্তনে গাউন দেওয়ায় নিবন্ধন ফি ৩ হাজার ৫৭০ করা অযুক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনায় এনে ফি অবশ্যই কমানো দরকার। কারণ শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র গাউন পাওয়ার জন্যই সমাবর্তনে আসেন না।

তিনি আরও জানান, দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ফি এত বেশি নয়। তবে কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমাবর্তনে অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফির কারণে নিরুসাহিত করছেন। আমরা গাউন চাই না, সবাই একসাথে সমাবর্তনে অংশ নিতে চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্ততে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । যার ইতোমধ্যে রেজিট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৩ নভেম্বর। নিবন্ধন চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্র জানায়,  ২০১১-১৪ সময়কালে পিএইচডি, এমফিল ও স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরা এ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন।

তবে এই সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। আচার্যের পরিবর্তে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বলেও জানান উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।