গুণীজনদের দৃষ্টিতে ৭ই মার্চের ভাষণ

Published : 8 Jan 2012, 01:32 PM
Updated : 7 March 2020, 08:34 AM

লেখালেখির ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত আমি সাতৈ মার্চকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল এই বিষয়ের উপর একটা পূর্ণাঙ্গ গবেষণা করা। আমার সে ইচ্ছা দীর্ঘ অধ্যবসায়ের পর পূরণ হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর শুধু সাতই মার্চের ভাষণের উপর ৩৭৯ পৃষ্ঠার একটা গ্রন্থ জাতিকে আনুষ্ঠানিক উপহার দিয়েছি। এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বুদ্ধিজীবী তারা হলেন: বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি-অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও অন্যান্যরা।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, "আমাদের এই রাষ্ট্রে যারা বিশ্বাস করেন, এই রাষ্ট্রের যারা নাগরিক তিনটি দলিলকে তাদের মান্য করে চলতে হবে। এই তিনটি দলিলকে অস্বীকার করা মারাত্মক রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই তিনটি দলিল হল: ১. বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ, ২. মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ৩. আমাদের সংবিধান। এই তিনটা জিনিস রাষ্ট্রের সঙ্গে একাত্বিত সুতরাং এই তিন বিষয়ের প্রশ্নে কোনরকম সমঝোতা করার সুযোগ নেই।"

সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহেবের ধ্যান ধারণার সাথে অনেক আগেই আমি একাত্মতা প্রকাশ করেছি বিধায় আমি সাতই মার্চকে গবেষণার বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম, মোটকথা অন্য যে কোন জাতীয় দিবসের চেয়ে বেশি। কোন বিয়ের অনুষ্ঠান দেখলে সেটাই মনে রেখাপাত করে। কারণ সেদিন সাজ-গোঁজ, গান-বাজনায় ভরপুর থাকে। আর সকল আনুষ্ঠানিকতা মানুষের চোখে পড়ে। কিন্তু একটা বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে যে কত কর্মযজ্ঞ থাকে তা কেউ অনুধাবন করতে পারে না বা তা নিয়ে ভাবতে চান না। অতএব বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন পঁচিশে মার্চ রাতে ২৬ তারিখের শুরুতে, সেটার আগে দীর্ঘ ২৪ বছর তাকে অনেক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়েছে। এক যুগের উপরে জেল খাটতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, ছয় দফা তারপর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়। এরপর আসে বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ, বাস্তবিক অর্থে সেদিনই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। একারণে সাতই মার্চের গুরুত্ব আমাদের জীবনে অপরিসীম। সাতই মার্চ এসেছিল বলেই বঙ্গবন্ধু ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পেরেছেন। তবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সাতই মার্চেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন। এই নিবন্ধে ক্ষুদ্র পরিসরে সে কথা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। তবে এর ব্যাখ্যা আমি '৭ই মার্চের ভাষণ: জানা অজানা তথ্য' গ্রন্থে বিস্তারিত দিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পরিষ্কার করা হয়েছে, কেন সাতই মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে এত বেশি গুরুত্ব বহন করে। এবং কেন সাতই মার্চের জাতীয় দিবসের মর্যাদা পাওয়া উচিত।

সাতই মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবী সেদিন অনেক বক্তাই রেখেছেন। পরদিন বেশ কয়েকটা পত্রিকায়ও সে খবর এসেছে। আর আমার গ্রন্থেও আমি দৃঢ়ভাবে সাতই মার্চকে জাতীয় দিবস হিসাবে পালনের দাবী রেখেছি। কিন্তু সরকার সে ব্যাপারে আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তবে সেদিন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছিলেন, 'সরকার মানেই ছারখার, সরকার সবকিছু ছারখার করে দেয়।' তবে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি করে রুলসহ আদেশ দেন, "১৯৭১ সালের ৭ই মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি-দ্বয়। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদকে যে তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিট আবেদন করেছিলেন।''

অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, "আমি ৭ই মার্চের ভাষণ এর উপর কিছু লেখালেখি করেছিলাম। আমার লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৫ কী ৯৬ সালে। আমি সেখানে এই ৭ই মার্চের ভাষণের একটা বিশ্লেষণ উত্থাপন করেছিলাম।"

"জোয়ার্দার তার গ্রন্থে ভাষণের স্থিতিকাল নিয়ে আলোচনায় উল্লেখ করেছে যে, কতক্ষণ  ভাষণটা চলেছিল। অনেক রকমের তথ্যের মধ্য দিয়ে সে সর্বশেষ বলেছে যে, ওটা হল ১৮ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড। আর আমার লেখাতে উল্লেখ আছে ১৮/১৯ মিনিট। পরিসংখ্যানের আঠার উনিশ মিনিটের গড় হচ্ছে ১৮মিনিট ৩০ সেকেন্ড। সেক্ষেত্রে আমি তাঁর থেকে ৯ সেকেন্ড দূরে অবস্থান করছি। কিন্তু ৯ সেকেন্ড যিনি আবিষ্কার করেছেন তিনি হচ্ছেন এ সময়য়ের মানুষ, আর আমি হচ্ছি বিগত কালের মানুষ। তো ৯ সেকেন্ডের কথাটা একটু গুছিয়ে নিয়ে মনে করি যে, আমার কথা হয়তো গ্রহণযোগ্য ছিল। তার বইয়ে ২৭টা অধ্যায় আছে, ছোটখাটো জিনিস বর্ণনা করেছে, এত জিনিসের অবতারণা করেছে আমি গভীর অনুসন্ধিৎসা নিয়ে এটা পাঠ করেছি।"

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, "বাংলাদেশে প্রশ্ন আছে বঙ্গবন্ধুকে কজন ভালোবাসেন? তা নিয়ে আমারও প্রশ্ন আছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রাজনীতি হয় ব্যবসা হয়। সরকারের মাননীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে যখন টেলিভিশনে আলোচনায় বসি তখন দেখি, তারা বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে কোন তথ্যই জানেন না।

"সবচেয়ে যে বড় যে কারণটিতে অভিনন্দন জানাবো এই তরুণকে (মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দার) তিনি ৭ মার্চের ভাষণটি অবিকল আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। সরকারিভাবে হয়নি, সংবিধানে ভুল আছে। আমি কিছুক্ষণ আগে বলছিলাম যে, সংবিধানের বাংলা ইংরাজি শিরোনামেই ভুল আছে। কাজেই ভুল দিয়ে যার সূচনা সেখানে ভুল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। এবং আরও একটা কথা বলি সরকারিভাবে যা আসবে আমাদের হাতে তাকে আমি কখনো প্রশ্নাতীতভাবে গ্রহণ করি না।"

"বাঙালির তিনটি বৈশিষ্ট্য হল তারা ইতিহাস ভুলে যাই, ইতিহাস গুলিয়ে খাই আর ইতিহাস বিকৃত করে। বাঙালী ইতিহাস নিষ্ঠ নয়।"

তিনি আরও বলেন, "আমি তখন উপস্থিত টিএসসির পাশের দেওয়ালের উপর বসে ভাষণ শুনছি। সাহস হয়নি ভিতরে যেতে। কারণ জানি একটা গণ্ডগোল লাগবে তখন পালাবো কী করে? সত্যি কথা বলছি। আমি ইতিহাসের শিক্ষক হয়েছি তখন। আমি জানি এ ভাষণ ইতিহাস তৈরি করবে। সেইজন্য আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম বঙ্গবন্ধু ও দীর্ঘ বক্তৃতা করবেন। আমার ঘড়ি অনুযায়ী ১৮ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে বক্তৃতা শেষ হয়েছে। যে যা বলুক আমি বিশ্বাস করিনা। আমি আমার ঘড়িকে বিশ্বাস করি। আর পরবর্তী সময়ে আমি হিসাব করে দেখেছি ১১০৮টি শব্দ।"

৭ই মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদে প্রস্তাব পাস হয় ১৪ নভেম্বর ২০১৭। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, "৭ই মার্চের ভাষণের সঙ্গে জাতির অস্তিত্ব, ইতিহাস জড়িত। তিনি আরও বলেন, "এটা ছিল একটা উপস্থিত বক্ততা। ভাষণটি ২৩ মিনিটের ছিল, ১৮-১৯ মিনিটের মতো রেকর্ড হয়।"

উপরে উল্লেখিত তথ্য থেকে আমরা বিভ্রান্তিতে থেকে যাচ্ছি। এককথায় কেউ যদি বলে ভাষণটা ১৯ মিনিটের সেটা ভুল না। বঙ্গবন্ধু যে সময় ভাষণটা দিয়েছিলেন তখন টেপ শুনে মিনিট সেকেন্ড নিখুঁতভাবে বলা সম্ভব ছিল না। এখন আমরা কোন ভিডিও বা অডিও ক্লিপ থেকে মুহূর্তে সেটা দেখতে পাচ্ছি বা পরিমাপ করতে পারছি। মোটকথা আমি যে অডিওটা পেয়েছি বাংলাদেশ বেতার থেকে তার আলোকেই শুধু বলতে পারি এর বাইরে না। আর যারা আমরা বইটা পড়বেন তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে এর বাইরে আমার লেখার সুযোগও নেই। জনাব নাসার আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ বেতারের পক্ষ থেকে ভাষণটা রেকর্ড করেছিলেন। তিনি আমাকে জানিয়েছেন পুরো ভাষণটা তিনি রেকর্ড করেছেন। শুধু টেপ পরিবর্তন করতে কয়েক সেকেন্ড বাদ গেছে। সেটা কত সময় সব কিছু আমি আমার গ্রন্থে উল্লেখ করেছি। এবং সে অংশটা আবার ভিডিও থেকে উদ্ধার করেছি। সব মিলিয়ে নিশ্চিতভাবেই আমি বলতে পারি ভাষণটা ১৮ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের। আগে যে পদ্ধতিতে ভাষণটা ধারণ করা হয়েছিল সেখান থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্থানান্তরে তারতম্য হতে পারে। তবে সেটা আধা সেকেন্ড বা এক সেকেন্ড এর বেশি কোন অবস্থায়ই না। আমাকে এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ জনাব মীর সামসুল আলম বাবু সে রকমই জানিয়েছেন।

অতএব আমি, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন কাছাকাছি অবস্থানেই আছি ভাষণের স্থায়িত্ব নিয়ে। এই ভাষণ নিয়ে আমি যাদের সাথে কথা বলেছি দু'জন ব্যতিক্রম ছাড়া কেউ আমাকে বলেননি যে তাঁরা ঘড়ি দেখেছেন। এদের একজন হলেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আরেকজন হলে জার্মান প্রবাসী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম। অধ্যাপক ইসলাম জানিয়েছেন ১৯ মিনিট। ১৮ মিনিট আর ১৯ মিনিট যারা বলছেন এটা খুব ভুল কিছু না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন জাতীয় সংসদে তা কোন ভাবেই গ্রহণ করতে পারছি না। কেন যদি সেটাকে সঠিক তথ্য হিসেবে মেনে নেন, তাহলে আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে। এক. ২৩ মিনিটের ১৮/১৯ মিনিট যদি রেকর্ড করা হয়ে থাকে তাহলে কেন সে রেকর্ড সরকারিভাবে উন্মুক্ত করা হচ্ছে না? দুই. কেন সংবিধানে ১০ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের সংক্ষিপ্ত অংশ সংযোজন করা হল? তিন. আর যে অংশটুকু সংযোজন করা হয়েছে কেন সেখানে ভুলে ভরা?

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সবচেয়ে বড় যে কারণটিতে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তা হল, ৭ই মার্চের ভাষণটি অবিকল উপহার দিয়েছি। এখন আমার কথা হল যে লিখিতরূপ আমি উপহার দিয়েছি তার শব্দ সংখ্যা কোন ভাবেই ১১০৮টি নয় বরং ১৮২১টি শব্দ। আর সংবিধানে লিখিত ভাষণের শব্দ সংখ্যা ১০৬৪টি। আমাদের একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে ১০/১১মিনিটের অডিও লিপিবদ্ধ করলেই ১১০০ শব্দের মত হয়ে যাবে। আর আমি যে অডিওটা লিপিবদ্ধ করেছি সেটা ১৮ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের অতএব সেটা কোনভাবেই আর ১১০৮ শব্দে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। আমরা যারা এমএসওয়ার্ডে-এ লিখি তাদের একটা একটা করে শব্দ গোনার কোন দরকার নেই। কত শব্দ লেখা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সেটা প্রতি নতুন শব্দ লেখার পর দেখাতে থাকে। প্রথমত আমরা বিষয় ছিল পুরো ভাষণটা উন্মুক্ত না। এবং আমি ভাষণের পূর্ণাঙ্গ লিখিত রূপ কোথাও পাইনি। এই কারণেই ভাষণের পূর্ণাঙ্গ অডিও বা ভিডিও পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। আমি যখন পূর্নাঙ্গ ভাষণটা থেকে লিপিবদ্ধ করেছি ভাষণটাকে তখন তো এটা আর ১১০৮টি শব্দে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। আমি যেভাবে ভাষণটির লিখিত রূপ দিয়েছি সেটা একশ ভাগ সঠিক সে নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি না। কেন সে ব্যাখ্যা আমি আমার গ্রন্থে দিয়েছি।

সাতই মার্চের ভাষণের উপর আমি এ পর্যন্ত বেশকিছু নিবন্ধ লিখেছি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ কয়েকটি পত্রিকায়। আগে আমি উল্লেখ করেছি কারও একার পক্ষে এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব না। বিগত বছরগুলোতে আমি যত নিবন্ধ লিখেছি এবং সেখানে যে সকল প্রস্তাবনা রেখেছি সে ব্যাপারে সরকার কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত নেয়নি। হয়তো সরকারের কোন কর্তা ব্যক্তির সেগুলো নজরেই আসেনি।

সরকারের উচিৎ হবে কাল বিলম্ব না করে একটা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে ভাষণটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এ দলে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের রাখা যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী হাজী গোলাম মোর্শেদ, নাসার আহমেদ চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, খন্দকার আমজাদ আলী, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী ও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।