তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
তাঁর সাথে আমার প্রথম পরিচয় এক বৃষ্টি ভেজা বিকেলে । সিলেট থেকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় বেড়াতে গিয়ে অলস অবসরে হাতের কাছে পাই 'বোতল ভূত' । এক গ্রাসে শেষ করি বইটি । এরপর আর তাকে ভুলতে পারি নি । নন্দিত নরকে, কালো জাদুকর, হোটেল গ্রেভার ইন, বিপদ, রোদন ভরা এই বসন্ত, অন্ধকারের গান, জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল, ময়ূরাক্ষী, দরজার ওপাশে, হিমু, এবং হিমু, হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম, হিমুর দ্বিতীয় পহর, দ্বিতীয় মানব, হলুদ হিমু কালো রবে, হিমু রিমান্ডে, সে আসে ধীরে, তোমাদের এই নগরে,আজ হিমুর বিয়ে, হিমু এবং কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা ………… এগুলো আমার রক্তের সাথে মিশে আছে । স্যার বলেছিলেন, 'ভয় হয় যদি হিমুকেও আমার সাথে কবরে যেতে হয় '। স্যার, লক্ষ লক্ষ হিমু-মিসির আলী হয়ে আমরা আপনার জন্য দোয়া করব "আল্লাহ হূমায়ূন আহমেদ স্যারকে বেহেস্তে নসিব করুন ।"