ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম জয়ন্তীতে কিছু কথা-

সেলিম আহমেদ
Published : 3 July 2012, 06:02 AM
Updated : 3 July 2012, 06:02 AM

এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারাটা ছিলো খুবই গৌরবজনক, রাস্তা,ঘাটে, অফিস,আদালতে এক কথায় সমাজের সর্বক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া এবং একই সাথে পড়তে পারাটা ছিলো খুব সম্মানজনক,সমাজের প্রতিটি অবস্থান থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের অত্যন্ত শ্রদ্দ্বা এবং সমীহের চোখে দেখা হতো।এই বেশী দিন আগের কথা নয়,১৯৮৫-৮৬-৮৭-৮৮ সালেও আমি যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম,তখন বাস্তবে নিজের জীবনে দেখেছি, যেখানে,যে অবস্থায়, কিংবা যে কাজের জন্য যেখানে গিয়েছি,ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের এই পরিচয় টুকু-ই যথেষ্ট ছিলো।কি রাস্তা-ঘাটে,হাটে-বাজারে,সরকারি-বেসরকারি কোন প্রতিষ্টানে,ট্রেনে,লঞ্চে,মোটর গাড়ীতে,উড়োজাহাজে সর্বত্র লোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের বড় সমীহ করতো,আদব,মান্য করতো, আর মান্য করা,ইজ্জত করাটা ছিলো একেবারে অন্তর থেকে,মানুষের ভালোবাসার মনোজগত থেকে।এখানে ছিলোনা কোন বাড়াবাড়ি,ছিলোনা অতিরঞ্জিত কোনকিছু।

১৯২১ সালের ১লা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টালগ্ন থেকে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা, জাতির চাওয়া-পাওয়া,আন্দোলন-সংগ্রামের সাথে সব সময় একাত্নতা পোষণ করে চলেছে,দিয়েছে দেশ ও জাতিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা,দেশ ও জাতির সকল ক্রান্তি-লগ্নে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে সঠিক নের্তৃত্ব,১৯৫২ ভাষা আন্দোলন,৬২ শিক্ষা আন্দোলন,৬৬-ছয় দফা আন্দোলন,৬৯-র গণ-অভ্যূত্থান,৭০-র সাধারণ নির্বাচন,সর্বোপরি ১৯৭১-র আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্দ্বে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আপামর ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ ছিলেন জাতির অগ্রভাগে।১৯৭১ সালের ২রা মার্চ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে তখনকার ডাকসুর ভিপি এবং স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে ছাত্র নেতা আ স ম আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতম পতাকা উত্তোলন করার বিরল সৌভাগ্য পেয়েছিলেন।অনেক প্রথিত যশা ও ক্ষণজন্মা বরেন্য রাজনীতিবিদ,সাহিত্যিক,শিল্পী,বুদ্দ্বিজীবী,সাংবাদিক,নাট্যকার,স্থপতি,সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী সহ আজকের দেশবরেন্য অনেক ব্যাক্তিত্ত্বের জন্ম এই বিশ্ববিদ্যালয়-ই দিয়েছে,এখানে তাদের নাম নিয়ে আর কলেবর বাড়ানোর কোন ইচ্ছা নেই।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক বৃন্দ শত প্রতিকূলতা স্বত্তেও দেশ জাতির কল্যাণে সর্বাগ্রে ভূমিকা পালন করেছিলেন।এরশাদের সামরিক শাসন যখন জাতির কাধে জগদ্দল পাথরের মতো ছড়ি গোরাচ্ছিলো,তখন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলনে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করে দীর্ঘ নয় বছরের আপোষহীন সংগ্রাম আর আন্দোলনের ফলে এরশাদের সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলো।

আন্দোলন,সংগ্রামে যেমন ছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে,একইভাবে শিক্ষা-দীক্ষা,গবেষণায়,প্রকাশনা তথা জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনায় ও খেলা-ধুলায় এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো গৌরবোজ্জল ভূমিকা।১৯২১ সালে প্রতিষ্টার পর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় তার জ্ঞান অন্বেষণ ও শিক্ষা-দীক্ষায় বহু যুগান্তকারী সাফল্য দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ছিলো বিদেশ পর্যন্ত অনেক সুখ্যাতি।তখন এমন অবস্থা ছিলো,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রীধারী ছাত্র-ছাত্রী কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেখা হতো বিশেষ মর্যাদার সাথে,দেশে এবং বিদেশে,যুক্তরাজ্য,যুক্তরাষ্ট্র,ভারত,জার্মানী,সহ বিশ্বের প্রায় সব কটা দেশেই অনায়াসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীকে অন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে স্বীকৃত ছিলো।বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত গবেষণা,প্রকাশনা,পি,এইচ,ডি,ডিগ্রী ও তার থিসিস ছিলো অতি উচু মানের এবং গবেষণার কাজে নিয়োজিত শিক্ষানুরাগীর কিংবা প্রতিষ্টানের কাছে ছিলো অতি লোভনীয়।তখনকার যুগে ছিলোনা এতো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার,তথ্যের আদান-প্রদানও এতো সহজ ছিলোনা,তার উপর আজকের মতো কম্পিউটার জ্ঞান এতো সহজলভ্য ছিলোনা।অথচ আমাদের ডিগ্রী এবং গবেষণা ছিলো বিশ্বমানের।

আজকের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি এতো কলুষিত ছিলোনা,ছিলোনা আস্ত্রের এতো ঝন-ঝনানী।মাদকের মতো বিষাক্ত ছোবল,কিংবা ছাত্রীদের যৌন হয়রানী,চর দখলের মতো হলের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ,যখন-তখন গুলি করে একে অপরকে হত্যা,টেন্ডার বাজী এতোটা প্রকটভাবে প্রকাশ্যে ছিলোনা।আর শিক্ষকদের গবেষণার মতো মহান জ্ঞান আহরণের কাজ ছেড়ে দলীয় রাজনীতির প্রতি এতো নোংরা আনুগত্যবাদী এমনকরে ছিলোনা বললেই চলে।

১৯৮৩ সালের ১৪-ই ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতস্ফুর্ত মিছিলে এরশাদের সামরিক বাহিনীর বেপরোয়া লাঠি-পেঠা,টিয়ার শেল নিক্ষেপ এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের যে যেদিকে পারে, দিক-বিদিক হারিয়ে যখন ছোটা-ছুটি,তখন নিজে উপস্থিত থাকার সুবাধে দেখেছি সাধারণ জনগণ এমনকি মহিলারা পর্যন্ত কিভাবে নিজেদের জান-মালের তোয়াক্কা না করে সামরিক জান্তার বুটের ও বাটের আঘাত সহ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে আশ্রয় দিয়ে কিভাবে আড়াল করে রেখেছিলেন,যা আজকের যুগে কল্পণাও করা যায়না।কারণ নানাবিধ কারণে আজকে লোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনলে ভয় পায়,চায় এড়িয়ে চলে।

সেদিনকার জাতীয় নেতারা এবং রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে এরশাদের বিরুদ্ধ্বে আন্দোলন গড়ে তুলতে ভয় পাচ্ছিলো,এমনকি সামরিক জান্তার বিভিন্ন এজেন্সীর কারণে যেখানে সংঘটিত হতে ব্যর্থ হচ্ছিলো,কেউ কেউ হুলিয়া মাথায় নিয়ে যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন,তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দই এরশাদের বিরুদ্দ্বে অভূতপূর্ব এক ঐক্যবদ্দ্ব আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন,ফলশ্রুতিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জন্মলাভ,জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের নের্তৃত্ত্বাধীন ১৫- দলীয় ঐক্য জোট আর বিএনপির নের্তৃত্ত্বাধীণ ৭- দলীয় ঐক্যজোটের আত্নপ্রকাশ ঘটেছিলো।অতীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর ছাত্র সমাজ,শিক্ষকবৃন্দ কখনো দলীয় রাজনৈতিক সংগঠণের অন্ধ আনুগত্য করেনি,হাতিয়ার কিংবা লাঠিয়াল বা ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে ব্যাবহ্রত হয়নি।বরং রাজনৈতিক দলগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের,শিক্ষকবৃন্দের সমর্থন আর সহযোগীতার দিকে তাকিয়ে থাকতো।তখন ছাত্র নেতাদের বিশেষ সম্মানের চোখে দেখা হতো,জাতি অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা,ছাত্র সমাজ আর ডাকসু কি বলে,সে দিকে।

ক্রীড়া ক্ষেত্রেও ছিলো গোটা দেশের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক আদর্শ স্থান।ফুটবল,ক্রিকেট,ভলিবল,হকি,বাস্কেট বল,দাবা,স্কোয়াস সব ধরনের খেলা-ধূলাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো অগ্রগামী।আমাদের সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের াসলাম,কায়সার হামিদ,মুন্না,বাদল,শফিকুল,রাণী হামিদ,ফারুক সহ সব কটা ক্রীড়ায়-ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিলো একক আধিপত্য।

আজকের বিরাজমান অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সেই সুনাম পর্যায়ক্রমে হারাতে বসেছে।কি শিক্ষা,গবেষণা,জ্ঞান দান,আন্দোলন-সংগ্রাম,নের্তৃত্ত্ব,খেলা-ধূলা,সংস্কৃতি,সব ক্ষেত্রেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিছু হঠে চলেছে।

সারা বিশ্বের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রথম,দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্তরের কাতারেও আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই,এর পাঠদান নিম্ন মানের,নেই কোন উল্লেখযোগ্য কোন গবেষণা কার্যক্রম,নেই তেমন কোণ উল্লেখ করার মতো কোন প্রকাশনা,শিক্ষকবৃন্দ দলীয় রাজনীতির আনুগত্য করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত,টিচার্স লাউঞ্জ আজ নীতিহীন রাজনীতির আড্ডায় পরিণত,ছাত্র সমাজের মধ্যে এতো অধঃপতন,প্রতিনিয়ত আস্ত্রের ঝন-ঝনানীতে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় আজ প্রকম্পিত।সাধারণ মানুষের মনে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগের মতো শ্রদ্দ্বার আসনে আর নেই।

পড়া-লেখা যেন আজ গৌণ হয়ে গেছে,রাজনীতির সুফল ও গৌরবজনক অংশ বাদ দিয়ে কুফলের পিছনে এক উম্মত্ত প্রতিযোগীতায় লিপ্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়।শিক্ষকবৃন্দ আজ নানা দল-উপদলে বিভক্ত।সাদা আর নীল দলের মারামারির হিংস্ত্র প্রতিযোগীতাতো সংবাদ পত্রের পাতায় প্রায়ই শিরোনাম হয়ে আসে।ছাত্রনেতারা টেন্ডারবাজীতে যতনা ব্যাস্ত,ছাত্র আন্দোলনের সঠিক নের্তৃত্ত্ব গড়ে তুলতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়না।আজকের যুগে ছাত্র নেতা,ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তিতে ব্যাস্ত,কে কাকে ঠেক্কা দিয়ে আগে-ভাগে রাজনৈতিক দল ও তার নেতা-নেত্রীদের নজর কাড়বে,সেদিকেই লক্ষ্য বেশী।দলা-দলী আর টেন্ডারবাজী,আর আধিপত্য বিস্তারের জন্য একে অন্যকে খুন করার মতো আদিমনেশায় মত্ত,কখনো সমাজের ব্যাবসায়ী,ঠিকাদারদের জিম্মি ও গুম করে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে সিদ্দ্বহস্ত হতে দেখা যায়।বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্টান,সেমিনার রুমে এখন ধুলি উড়ে,মনে হয় ভুলেও কেউ কোন কালে এখানে কেউ ছিলোনা।

মাদকের মতো ভয়ংকর নেশার মরণ ছোবল এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ,হাকিম চত্তর,লাইব্রেরী পেছনের চত্তর,টিএসসি,সামসুননাহার আর কুয়েত-মৈত্রী হলের মতো সকল জায়গায়ই দখল করে আছে।আর এই আস্থিতিশীল,ঘোলাটে অবস্থার সুযোগে একশ্রেণীর শিক্ষক প্রতিনিয়ত টিউটোরিয়াল এর পরীক্ষায় মার্ক্স দেশী দেওয়ার নামকরে নিরীহ সুন্দর কোমলমতি ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করে চলেছেন,যা ছিটে-ফোটা পত্রিকার পাতায় কখনো কখনো শিরোনাম হয়ে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ আর আগের মতো স্বাধীন নেই,যদিও ৭৩-র আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীণ সায়ত্ত্ব-শাসিত প্রতিষ্টান।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যক্রমের দিকে তাকালে মনে হয়,তারা যেন কোন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ- সংস্থার সৌল এজেন্ট হয়ে বসে আছেন।৭৩-র অধ্যাদেশ যে যুগের সাথে তাল মিলাতে অক্ষম,তাকে কি করে যুগোপযোগী করে তুলা যায়,সেদিকে প্রশাসনের কোন নজরই নেই।বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান বিতরণ,গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, নিয়মিত প্রকাশনার দিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই।

আমাদের সকল জাতীয় অনুষ্টান,বর্ষবরণ,নাবান্ন,নবীন বরণ,বিশ্ববিদ্যালয় দিবস তখন এতো ঘটা করে ও আনন্দ মুখর পরিবেশে পালিত হতো,আজকে তা কল্পণাও করা যায়না।জাতীয় দিবস সমূহ পালনে আজকের মতো এতো নোংরামী কিংবা ছেলে-মেয়েদের হেনস্থা করার মতো কোন পরিস্থিতি এতো উদ্ভটভাবে কখনোই ছিলোনা।অথচ বাধন,নাসরীন সহ অনেকের হেনস্থা আজকে সেটা আমাদের জন্য বড় কলংক ও লজ্জাজনক হয়ে আছে।

৯১-তম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মজয়ন্তীতে ঐকান্তিকভাবে আশা করি,আমাদের জাতীয় গর্ব ও অহংকারের প্রতীক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ভাব-মূর্তি আগের মতো ফিরে পেয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান অন্বেষণে ও বিতরনে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত থেকে জাতির প্রয়োজনে বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে মিলে নতুনমাত্রার নের্তৃত্ত্ব বিকাশে প্রশংসনীয় ভূমিকা আবারো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে,এই আশা-এই কামনা-একাকার হয়ে, একাত্ন হয়ে আছে আমাদের অজস্ত্র বাঙ্গালীর শত-সহস্ত্র মিলিত সমবেত প্রার্থনা,জয় হউক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের,জয় আমাদের ছাত্র সমাজের,আমাদের শিক্ষক সমাজের – যারা আমাদের জাতির বিবেক ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে আছে সদা দেদিপ্যমান।

Salim932@googlemail.com..(syed shah salim ahmed)
tweet@salim1689
30th June 2012.