আমি চাই পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন

সেলিম আহমেদ
Published : 3 July 2012, 05:54 PM
Updated : 3 July 2012, 05:54 PM

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচাইতে আলোচিত সর্ববৃহৎ প্রকল্পের নাম পদ্মা সেতু প্রকল্প।বলা যায় টক অব দ্য কান্ট্রি।সংবাদ পত্রের পাতা উল্টালে এই প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বহু মূল্যবান আলোচনা, বিশ্লেষণ,রিপোর্ট প্রকাশিত হতে দেখা যায়। চ্যানেলে- চ্যানেলে অনেক মূল্যবান আলোচকবৃন্দ নানাভাবে মতামত প্রদান করে চলেছেন, টেলিভিশনের সংবাদের এক তৃতীয়াংশ অংশই এই সেতুর নানা সংবাদ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার এবং তার নেত্রী, অর্থমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, সহ প্রায় সকল সাংসদ, মন্ত্রী বৃন্দ প্রতিনিয়ত এই পদ্মাসেতু প্রকল্প নিয়ে নানা মত, নানা আশা, আকাঙ্ক্ষা ব্যাক্ত করে যেমন চলেছেন,তেমনি এই সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক উত্থাপিত ইস্যূকে নিয়ে নানা জবাব,পদক্ষেপ,ক্ষেত্রবিশেষে বিরোধীদলকে ঘায়েল করতে পদ্মাসেতু বিরোধী লবিং এমনকি খোদ নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসকে পর্যন্ত দোষারোপ করেছেন কোন কোন ক্ষেত্রে কিভাবে তিনি এর বিরুদ্ধে লবিয়িষ্ট করেছেন,তাদের কথায় তাদেরকে ব্যার্থ প্রমাণ করতে কিংবা চাপে রেখে তার গ্রামীণ ব্যাংকের পদ ধরে রাখতে।অনেকেই বলছেন,আসল কথা হলো ঠাকুর ঘরে কে রে,আমি কলা খাইনা রে- এই যখন অবস্থা তখন তো নানা বাহানা থাকবেই।

অন্যদিকে বিরোধীদল দেখছে এটাকে সরকারের ব্যর্থতা এবং দূর্নীতির প্রমাণ হিসেবে, সরকারকে এই ব্যার্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতেও বলে চলেছেন।

সরকারের এবং বিরোধীদলের এই সব যুক্তিতর্ক নিয়ে বক্তব্য বিশ্লেষণ কিংবা পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করার জন্য এই লেখার কোন অবতারণা বা উদ্দেশ্য কোনটাই আমার নেই।কারণ ইতিমধ্যে ডঃ দেবব্রত,সাংবাদিক মিজানুর রহমান,সহ এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং নন-বিশেষজ্ঞ সকলেই সবিস্তারিতভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।অবশ্য দেবব্রত বাবু বেশ সুন্দরভাবে বলেছেন,আমাদের অনেক ক্ষতিই হয়ে গেলো,এখনো সময় আছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার,দরকার শুধু বিশ্বব্যাংকের সাথে যথাযথ ভাবে যোগাযোগ।

কেউ কেউ বিশ্বব্যাংকের নৈতিকতা এবং খোদ তাদের জবাবদিহিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, নানা যুক্তি-তর্কও প্রকাশ করেছেন।সকলেরই লেখায় পদ্মাসেতু প্রকল্প নিয়ে অনেক মূল্যবান নতুন নতুন বিষয় তথা সুন্দরভাবেই আলোচনা-সমালোচনা করেছেন।কিন্তু যাদের জন্য সেই সব লেখা,তাদের কেউই তেমন একটা ধারণা সেইসব আলোচনা থেকে নিয়েছেন বলে এতোদিনেও তা মনে হয়নি।নতুবা,বিশ্বব্যাংকের অনেক প্রশ্নের সুন্দর এবং যুতসই সমাধান অনেক আগেই করা যেত।

মজার ব্যাপার হলো এতসব আলোচনা-সমালোচনাই হচ্ছে শুধু,সরকার শুধু আশ্বাস দিয়েই চলেছে, আজ নয় কাল পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হবে,আজকেও মাননীয় অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতিতে বলেছেন,সরকার এই বৎসরই পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন শুরু করবে ইনশাল্লাহ।

আমি চাই এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন, এই কারণে-

আমাদেরও তাই ঐকান্তিক চাওয়া, এই বৎসরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করবে সরকার।একজন নিরীহ সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি চাই, একেবারে সহজ কথায় আমি চাই পদ্মা সেতুর কাজ এখনই শুরু হউক, এটা আমার জন্য,আমার দেশের জনগণের জন্য,আমার দেশের জাতীয় উন্নয়নের জন্য,সড়ক ও জনপথ বিভাগের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য,জাতীয় অর্থনীতিতে অন্যন্য এক অবদানের জন্য আমি এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাই।কারণ সাধারণ নাগরিক হিসেবে, বিশ্বব্যাংক এর প্রেসক্রিপশন,আইডিবি,জাইকার কথা কিংবা সরকারের রাজনৈতিক কৌশল, বিরোধীদলের মারপ্যাঁচ কোন কিছুই আমার উপকারে আসবেনা।পদ্মার অপর পারের একজন কৃষক, একজন তামাক প্রস্তুত কারক,একজন সব্জি ব্যাবসায়ী,একজন একজন চালের আড়তদার, সার ব্যাবসায়ী,পোল্ট্রি ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক,গৃহিনী,ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করুন, সেই ভালো করে বলে দেবে কেন তার জন্য এই পদ্মাসেতু অতীব জরুরী। আমার জন্য যে উপকার হবে আর তা হলো এই সেতুর বাস্তবায়ন। প্রশ্ন হতে পারের টাকা কোথা থেকে আসবে?কে দিবে এতো অর্থের যোগান?এই অর্থের সংস্থান যদি সরকার করতে না পারে তাহলে খোলাখুলি বলে দেওয়া উচিৎ যে আমরা এতো বৃহৎ প্রকল্পের অর্থের যোগান করতে অপারগ,আবার আমাদের নিজেদের এতো অর্থ নেই যে তা দিয়ে নিজেরাই করতে সক্ষম।আর যদি এতসব প্রশ্নের যথার্থ জবাব না থাকে তব্‌এতোদিন যারা এসি,টেলিফোন, গাড়ীবাড়ী, ভ্রমণ-ভাতা ইত্যাদি নিয়েছেন এই প্রকল্পের নামে, সেই সব অথর্বদের পেছনে গরীব দেশের হাজার-হাজার ট্যাক্সের পয়সা খরচ করার কোন মানে হয়না,যাদের যে কাজ কিংবা যাদের কাছে যে দায়িত্ব তারা যদি যথাযথভাবে করতে না পারেন,তাদেরকে না পুষে ঝেটিয়ে বিদায় দেওয়া উচিত। কারণ বাংলাদেশ তাদের কারণে আর এতো ক্ষতি সহ্য করতে অক্ষম,ক্ষমতাসীনদের এই কথাটি ভালো করে বুঝা উচিৎ।

আমার সহজ কথা হল-

মহাজোট সরকারের প্রতি সাফ একটি কথা,একটি ম্যাসেজ যথাযথ ভাবেই দিতে চাই, হ-য-ব-র-ল আর নয়,অতি শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা চাই।এক সাকো ইন্টারন্যাশনাল আর আবুল হোসেনের জন্য গোটা জাতির সাড়ে ১৬ কোটি জনগণ কেন খেসারত দিবে? সরকারের বিশেষ প্রেম-ভালোবাসা থাকতে পারে সাকো কিংবা আবুল হোসেনের প্রতি,থাকতে পারে নানা অর্বাচীন যুক্তি ও বিশ্বব্যাংকের সাথে ইগো,তাই বলে সাড়ে ১৬ কোটি জনগণ কেন ভুগবে? রাজনীতি যথেষ্ট হয়েছে,বিশ্বব্যাংকের মতো ইগো নিয়ে সরকারও তার অবস্থানে বসে নিজের স্বচ্ছতার স্বপক্ষে অহেতুক কাল্পনিক ছায়াযুদ্ধ করে যাচ্ছে, কিন্তু কেন,কার স্বার্থে,অযথা আর সময় ক্ষেপণ করবেননা প্লিজ।কার সাথে ছায়াযুদ্ধ,কেন এতো ইগো, কিসের জন্য?

০২)

বিশ্বব্যাংকের দূর্নীতি কিংবা স্বচ্ছতা নিয়ে উল্টো ইগো ধরার বা গল্প সাজানোর কোন মানে হয় না। কারণ বিশ্বব্যাংক-এর মতো প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দূর্নীতি প্রমাণের দায়িত্ব আমাদের নয়,এতে রয়েছে তার নিজস্ব বিধি ও সংস্থা।এখানে এই প্রকল্পে টাকা দিবে বিশ্বব্যাংক, আর প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার,প্রকল্প সরকারের,সুতরাং উভয়-ই চাইবে উভয়ের স্বার্থ।আর যে টাকা দিবে,সে তার স্বার্থ বেশী দেখাটাই স্বাভাবিক,বিশেষকরে প্রকল্পের নামে হরিলুটের রেকর্ড যেখানে আমাদের রয়েছে।সুতরাং বিশ্বব্যাংকের যে কোন প্রশ্নের সঠিক এবং ন্যায্য জবাব সরকারেরই উচিৎ হল পরিষ্কার করা।কিন্তু এক্ষেত্রে যা হবার তাতো হয়ে গেছে।এখন আর দোষারোপ করে তো কোন লাভ হবেনা।

সরকারের উচিৎ হলো এখন নড়ে-চড়ে বসার,আর নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সময় নেই।বিগত তিন বছরের হাল-খাতার খবর সরকারের ভালো করে জানা আছে।দয়া করে কর্তাব্যাক্তিদের আর মন্ত্রীদের অহেতুক বক্তব্যের লাগাম টেনে ধরার সময় এসেছে,সরকার প্রধানের তাই করা উচিৎ এবং অবশ্যই আগে প্রধান ব্যাক্তির নিজেরও সংশোধনী দরকার, তাতে আছর হবে বেশী।

সরকার নিতে পারে দ্রুততম সিদ্ধান্ত,কমিশন কিংবা টাস্কফোর্স গঠন করে-

সরকার দ্রুততার সাথে যেমন বিশ্বব্যাংকের সাথে নেগোশিয়েট করবেন,একইসাথে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু করবেন বলে আশা করি।সেজন্য কমিশন কিংবা টাস্কফোর্সের আদলে কমিটি করে,দক্ষ এবং যারা এফিসিয়েন্ট, নেগোশিয়েট এর টেবিলে যাদের সুনাম এবং সামর্থ্য আছে,সাংগঠনিক দক্ষতা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন, ম্যানেজম্যান্ট যারা অভিজ্ঞ কেবলমাত্র তাদের নিয়ে টিম ওয়ার্ক এর মাধ্যমে এগুলে আশা করা যায় শীঘ্র একটা ফল লাভ করা যেতে পারে।বিশব্যাংকের সাথে আমাদের দেশের অনেক গবেষক এবং পন্ডিতদের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক, এক সময় এরাই বিশ্বব্যাংকের অনেক নামী-দামী কর্মকর্তা ছিলেন,প্রয়োজনে তাদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে,বিশ্বব্যাংকের সাথে নেগোশিয়েট এবং রিকন্সিডার করার জন্য।

বিকল্প অর্থায়নের কথা বলাই হচ্ছে,আদৌ বাস্তবের আলো দেখা দিবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ।আর যদি তাই হয়,তবে কিভাবে হবে,কেমন করে হবে,এতো বড় প্রকল্পে সে বিকল্প অর্থ যোগান দাতাদের পূর্ব-অভিজ্ঞতা নিয়েও রয়েছে অনেক শঙ্কা।

যতটা না বিশ্বব্যাংক,তার চেয়ে বেশী সরকার নিজেই এই অবস্থার সৃষ্টি করার জন্য অধিক দায়ী। দায়িত্ব এড়ানোর কোন সুযোগ নেই,এখানে অহেতুক যুক্তিতর্ক দাঁড় করিয়ে কোন লাভ নেই। কারণ যত যুক্তিই দাঁড় করান না কেন,বিশ্বব্যাংকের ঘাড়ে দোষ চাপানো হউক না কেন,ক্ষতি কিন্তু আমাদেরই হল, জনগণকে ভুগতে হবে।

চুক্তি বাতিলের প্রতিক্রিয়া সুদৃঢ়,তাই এখনই যা করার করতে হবে-

বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তি বাতিল এর প্রতিক্রিয়া শুধু মাত্র পদ্মাসেতু প্রকল্প দীর্ঘায়িত- এই কথা ভাবলে চলবে না, এটার সাথে জড়িত অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর অর্থের যোগান ও প্রকল্পের সম্পর্ক,যা আগামীতে বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে।কারণ আজকের বিশ্ব একে অন্যের সাথে নানান সূত্রে ওতপ্রোতভাবে জড়িত,একে অন্যের উপর নির্ভরশীল,স্বাভাবিকভাবে বিশ্বব্যাংকের স্বার্থের অনুকূলে বা এর সাথে কানেক্টেড সকল সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধীরে-ধীরে নানা ছূতায় একই পথ অনুসরণ করবে।

এখানে যেমন নেত্রীকে খুশী করার জন্য দুষ্টের লালন ও শিষ্টের দমনের থিওরি অনুসরণ করা হয়,সেখানে বিশ্বব্যাংকের খবরদারি বা ব্লাডলাইন যারা তাদের খুশী ও মন পাওয়ার জন্য তাদের অন্যান্য সকল সংস্থাও যে একই পথ ধরবে না, তা কি করে ভাবলেন।আপনি করতে পারলে,অন্যও কেন করতে পারবেনা?

আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের প্রতিটি বিষয়ে কি উন্নয়ন,কি সামাজিক উন্নয়ন,অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এমনকি শিক্ষা-দীক্ষার মতো সকল বিষয়হীন ও সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ ও উদ্দেশ্য যত না বেশী চরিতার্থ করতে অভ্যস্ত,জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণের লক্ষ্যে তত বেশী মনোযোগী নই।আমরা নিজেদের এবং দলীয় কর্মকাণ্ড প্রচারের যত না বেশী তৎপর,তার ছিটেফোঁটাও যদি জাতীয় উন্নয়নে প্রচার-প্রপাগান্ডা ও হীনমন্যতা থেকে কিঞ্চিৎ দূরে থেকে বৃহৎ জাতীয় স্বার্থের দিকে তাকাতাম ও কাজ করতাম নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে,তবে আমরা ইতিমধ্যে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারতাম।

১০০ ভাগের মধ্যে মাত্র পাচ কি ছয় ভাগও যদি অল্পবিস্তর করে ধীরে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পারতাম,তা হলে আমার বিশ্বাস আমরা ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পর্যায়ে থাকতাম।কারণ আমাদের রয়েছে বিশাল মানব সম্পদ, দক্ষ বিশেষজ্ঞ, পর্যাপ্ত সস্তা শ্রমবাজার,প্রকৃতির নির্মল সমূদেয় উপাদেয়,দরকার শুধু আমাদের ঐকান্তিক ইচ্ছা আর দেশ ও জনগণের প্রতি নিবেদিত প্রাণ একদল দক্ষ নের্তৃত্ত্বদাকারী কর্মীবাহিনী,যাদের থাকবে দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর আইনের প্রতি শ্রদ্দ্বাশীল একইসাথে জবাবদিহি করার মতো সুন্দর মন-মানসিকতা। আফসোস আমাদের বিশাল মানব সম্পদকে যেখানে সঠিক নির্দেশনা ও কর্ম-উদ্দীপনার আর যথাযথ নীতিমালা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশাল এক কর্মীবাহিনী রুপান্তরিত করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে লাগানো যায়,আমাদের কারো তেমন কোন চেষ্টাই এদিকে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।বিশ্ব চলেছে যে স্রোতে আমরা চলেছি ঠিক তার উল্টো স্রোতে,কোথায় চলেছি আমরা,কি আমাদের গন্তব্য,নেই কোন দিক-নির্দেশনা,খালি দলবাজি আর গলাবাজিতে সিদ্ধহস্ত—অহেতুক অযথা কর্মঘন্টা অপব্যায়ে আমাদের জুড়ি মেলা ভাড়।

সরকারের কি এতোসব ভাববার সময় আছে?

Syed shah salim ahmed
tweet@salim1689
Salim932@googlemail.com
03rd July 2012.UK.