
বাংলাদেশে এমন অবস্থা হইতেছে যে এখন ক্ষমতাবান লোকেরা লাইসেন্স এর মাধ্যমে দুর্নীতি করে । অথবা দুর্নীতি করার পর তাদেরকে লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয় । যাতে আগামীতে আরো বেশি দুর্নীতি করার উত্সাহ পায় । একদিক দিয়ে দুর্নীতি করবে অন্যদিক দিয়ে দুদককে ব্যাবহার করে কালো বিড়ালটিকে সাদা করে বড় বড় ডায়ালগ দিয়ে বেড়াবে ।
যেই দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ রেখেছিল সেই দুর্নীতির কথা তারা বার বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেছে । দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বার বার তাগিদ দেওয়া হইছে সরকারকে । কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপ ই নেয় নাই । বরং দুদক কে দিয়ে দুর্নীতি নামক কালো বিড়ালটাকে সাদা করার চেষ্টা করা হইছে । এইতো কয়েকদিন আগে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক অভিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুদক বলল যে তারা কোনও রকম দুর্নীতি খুজে পায় নাই !! অর্থাত্ কালো বিড়াল কে অত্যন্ত সুকৌশলে সাদা বিড়ালে রূপান্তর করার চেষ্টা করা হইল । ঠিক যেইভাবে রেল এর কালো বিড়ালটিকে সাদা করে ফেলা হয়েছিল মাত্র কয়েকদিনে !
কিন্তু সব কালো বিড়ালকেই যে রঙ মেখে সাদা করা সম্ভব হয় না তা যেন বেমালুম ভুলেই গেলেন আমাদের সাদা বিড়াল করার মেশিন দুদক !!
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে অর্থ চুক্তি বাতিল করল বিশ্বব্যাংক । সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ একটি মহা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে নিজেদের জায়গা সুসংহত করে নিল । সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে এই প্রথম বিদেশী কোনও সংস্থা বাংলাদেশের সাথে ঋণ চুক্তি বাতিল করল…..!!!
দুদক যদি কালো বিড়ালটিকে সাদা করার চেষ্টা না করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতো তা হলে হয়তো বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এইভাবে ছোট হইতে হতো না । দুদক বলেছিল যে তারা কোনরকম দুর্নীতি খুজে পায় নাই তাহলে কি বিশ্বব্যাংক মিথ্যা অভিযোগে আমাদের সাথে চুক্তি বাতিল করছে…?? বিশ্বব্যাংক এর মতো বিশাল একটি প্রতিষ্ঠান এইরকম মিথ্যার আশ্রয় নিবে এইটা পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না । আর বাংলাদেশের মানুষের কাছেও এইটা বিশ্বাস করানো যাবে না কারণ বিদেশীদের থেকে বাংলাদেশীরাই খুব ভাল করে জানে যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কিরকম দুর্নীতি শুরু হইছে…!!
এখন প্রশ্ন হলো তাহলে কে মিথ্যাবাদী ? দুদক এর রিপোর্ট যদি সত্য হয় তবে বিশ্বব্যাংক মিথ্যাবাদী , আর যদি বিশ্বব্যাংক সত্য হয় তবে দুদক মিথ্যাবাদী । আর শুধু মাত্র বাংলাদেশকে ছোট করার জন্য বিশ্বব্যাংক মিথ্যা রিপোর্ট দিবে এইটা ভাবার কোনও যুক্তি নাই । তাহলে একরকম ধরেই নেওয়া যায় যে দুদক মিথ্যা রিপোর্ট দিছে বা দুদকে যারা কর্মরত আছেন তারা কোনও ভাবেই যোগ্য কর্মচারী না । অযোগ্য কর্মচারী দিয়ে যদি দুদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তবে এইটা আমাদের জন্য মারাত্মক অশনিসংকেত বৈ কি । কারণ এইসব অযোগ্য কর্মচারীদের কারণে অনেক চিহ্নিত কালো বিড়াল অনায়াসে সাদা বিড়ালে রূপান্তরিত হয়ে যাবে । আবার অনেক সাদা বিড়াল দুদকের চাহিদা মিটাতে না পেরে বা রাজনৈতিক কারণে কালো বিড়ালে রূপান্তরিত হয়ে যাবে । যা আমাদের কখনোই কাম্য নয় । ফলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে দুদক । অবশ্য আদৌ দুদকের উপর মানুষে আস্থা আছে কিনা সেইটা চিন্তার বিষয় । কারণ মানুষ একপ্রকার ধরেই নিছে যে এই মেরুদণ্ডহীন দুদকের জন্ম হইছে সরকারের কাল বিড়ালদের সাদা করার জন্য ।
তাই আমাদের উচিত হবে আগে দুদককে দুর্নীতিমুক্ত করা কারণ যারা কাল বিড়ালদের দুর্নীতি ধরবে তারাই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তবে এই দেশ থেকে দুর্নীতি কোনও দিন ও বন্ধ করা যাবে না । সাদা রং করা কালো বিড়ালদের সংখা দিন দিন বাড়তেই থাকবে ।
আরিফ বলেছেনঃ
গোলাম আলী ম্যাঁও ম্যাঁও ছাড়া আর কি করতে পারে? আর কী করার ক্ষমতা তার আছে?
অবশ্য একটা জিনিস পারে- সাংবাদিকদের আনাগোনা বন্ধ করতে পারে অথবা সাংবাদিকের ভয়ে চুপে চুপে অন্য কোথাও গিয়ে অফিসের কাজ সারে।
এই অথর্বরা কবে শিখবে যে সঠিকভাবে দায়িত্বপালনের সুযোগ না থাকলে পদত্যাগ করা উচিত?
সানজীদা খান বলেছেনঃ
ঠিক বলেছেন । কোনও একটি বিশেষ মহলের কাজ করার জন্যই মনে হয় এইসব দুদকের জন্ম হইছে ।
দেলোয়ার হোসেন বলেছেনঃ
পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে সবাই মিডিয়ায় কেবল আবুলকে দোষারুপ করছে।
কান টানলে মাথা আসবেই,আবুলকে দিয়ে যারা কমিশন আদায় করতে চেয়েছে,
তারাই আবুলকে বাচিয়েছে পদ্মা সেতু পদ্মার জলে ডুবিয়ে হলেও।
বিশ্বাস নিয়ে দেশবাসী নৌকায় আরোহী হয়েছিলো,বিশ্বাসঘাতক মাঝি পদ্মায় ডুবিয়ে দিলো।
সানজীদা খান বলেছেনঃ
আসল কথা আমরা সবাই জানি কিন্তু বলা যাবে না সাবধান । বললে এই দুদক আপনার সম্পত্তির হিসেব নেওয়া শুরু করবে………!!! আপনার সম্পত্তি না থাকলেও তখন এক কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির হিসেব ধরায় দিবে…..!!! অতএব সাবধান, দেখতে পারবেন কিন্তু বলতে পারবেন না ।
কাজি বলেছেনঃ
সাধীন এর চেযে পরাধীন দুদকই ভাল ছিল, কমপক্ষে তারা দুর্নীতি বাজদের সার্টিফিকেট দিয়ে বেরাত না
সানজীদা খান বলেছেনঃ
ঠিক । অন্তত কাল বিড়াল সাদা করার ডিজিটাল মেশিনের হাত থেকে মানুষ মুক্তি পাইত । ধন্যবাদ ।
কাজি বলেছেনঃ
বর্তমান বিএনপি এর চেয়ে অপদ্ধার্থ বিরোধী দল এদেশের ইতিহাসে কখনো ছিল না। এখন যদি আয়মিলীগ বিরোধী দলে হতো তবে এ নিয়ে কমছেকম 3 টা সফল হরতাল হতো
সানজীদা খান বলেছেনঃ
পুলিশলীগ আছে না….?? আপনাকে হরতাল করতে দিলে তো আপনি করবেন…..!!! বর্তমান বিরোধীদলের একটা সুবিধা হইছে যে তারা মাইর না খাইয়া ই মানুষের সমর্থন আদায় করতে পারতেছে..। কারণ সরকার নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারতেছে । একদল ভুল করবে তো আরেক দলের সুবিধা হবে….। এইটাই বাংলাদেশের নিয়ম । কারণ রাজনৈতিক দল বলতে তো মানুষ এখন পর্যন্ত এইদুইটা দলকেই চিনে ।
bashir বলেছেনঃ
কাজি আপনার সাথে সহমত
সানজীদা খান বলেছেনঃ
ধন্যবাদ । আপনার জন্য ও তাহলে ওই উত্তরটাই প্রযোজ্য ।
জিনিয়া বলেছেনঃ
দুদক হল আমাদের সরকারের দুর্নীতি কে হালাল করার জন্য নির্মিত প্রতিষ্ঠান। 😎 😎
সুন্দর পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
কাজি বলেছেনঃ
এই সরকার আমার দেখা সবচেযে বড় সইরাচারী সরকার, শুধু জনসমর্থন দিয়ে একে হটান মুশকিল, এর জন্য দরকার গণআন্দোলন যা বর্তমান বিরোধী দলগুলি পারবে বলে মনে হয় না।
“একদল ভুল করবে তো আরেক দলের সুবিধা হবে, এইটাই বাংলাদেশের নিয়ম কথাটা” সঠিক হলেও খুবই খারাপ নিয়ম, এই কারণেই আজ দেশের এই চরম দুর্দশাহ.