রোগের নাম যখন ‘ফেসবুক’

সঞ্জয় মুখার্জী
Published : 8 April 2017, 06:14 AM
Updated : 8 April 2017, 06:14 AM

 ১

গেম অফ থ্রন্স এর আয়রন থ্রন-ই হোক অথবা মহাভারতের হস্তিনাপুরের সিংহাসন-ই হোক, এই দুইটির-ই সীমাবদ্ধতা আছে। আর তা হল এই আসনগুলোতে কেবল একজন রাজাই বসতে পারে। কিন্তু আজকের এই যুগে সবাই রাজা হতে চায়। মজার ব্যাপার হল নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই তা হতেও পারে। আর সেই প্রাপ্যতার বহরে আরও যোগ হয়েছে বায়বীয় জগতে রাজা হবার সুযোগ। এই পৃথিবীতে সবাই তার নিজ নিজ জগতের কেন্দ্রে অবস্থান করে। তাকে ঘিরেই সে কল্পনা করে বাকী সব কিছু। এই একটি ভাবনাই প্রতিটি মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে তোলার জন্য যথেষ্ট। আর ফেসবুক হল এই আগুনে ঢেলে দেয়া ঘি এর মতন। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যম ফেসবুকে যে কেউ বিনামূল্যে একটি একাউন্ট খুলে হয়ে যেতে পারে তাঁর নিজ পরিমন্ডলের রাজা। সবচেয়ে মুখচোরা ছেলেটিও ফেসবুকে কথার খই ফুটাতে পটু হয়ে যায়। তুলনামুলক অসুন্দর মানুষটিও ফটোশপের কারসাজি করে সুন্দর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। একেই তো বলে রাজার রাজত্য।

সম্প্রতি সরকার কর্তৃক ফেসবুক বন্ধের (রাতে ছয় ঘন্টা) একটা আলোচনা বা প্রচেষ্টার শুরু হয়েছিল। জানা যায় সেই প্রস্তাব এসেছিল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন থেকে। তার মানে কারও মাথায় এই ব্যপারটা এসেছে যে ফেসবুক শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ক্ষতি করছে এবং সেটা সমাধান করার আর অন্য উপায় না পাওয়াতে এখন আসল জায়গা থেকে সেটা বন্ধ করতে হবে। সেটা হয়নি, তা যে কারণেই হোক, পক্ষ বিপক্ষ যা-ই থাকুক, এটা কিন্তু একটা সংকেত। ফেসবুক যে একটা সমস্যা তার আভাস। হয়তো অচিরেই  বিভিন্ন মহল থেকে এই ধরণের প্রস্তাব আসা শুরু হয়ে যাবে। হতে পারে সেটা অভিভাবক সমাজ, অথবা অফিসের বস মহল, অথবা শিক্ষার্থীরা নিজেরাই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এভাবে জোড় করে ফেসবুক বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে সমস্যা কমবে না বরং বাড়বে। তার চেয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টাটি করা যেতে পারে ভিতর থেকে, সমস্যার মূল থেকে। আমাদের চিন্তা চেতনা আর অভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে। নচেৎ অদূর ভবিষ্যতে হয়তো রাস্তার মোড়ে মোড়ে "ফেসবুক রোগ বিশেষজ্ঞ" টাইপ ডাক্তারের সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা যাবে।

আজকের যুগে আমরা নানাভাবে ফেসবুকের কাছে বাধা পড়ে গেছি। এক ফেসবুকে ঢুকলে সেখান থেকেই নানান কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়। আর ফেসবুকের এই "একের ভিতর অনেক" টাইপের বৈশিষ্টই আমাদেরকে ফেসবুকের দাস বানিয়ে ছেড়েছে। এই যে আমি এই লেখাটা লিখছি এটা প্রচার করার জন্যও আমাকে হয়তো ফেসবুকের দারস্থ হতে হবে। কি জিনিস আবিস্কার করেছেন মার্ক জুকারবার্গ (মার্ক জুকারবার্গের জন্য একটা হাততালি হয়ে যাক)। যেসব কারণে বাধা পড়ে গেছি তার কিছু জিনিস ভালো যে নেই তা কিন্তু নয়। যেমন ব্যবসার প্রচার, নিজেদের কাজের গ্রুপ তৈরি করা, ভলান্টিয়ারি কাজ করা, রক্তদান, চিকিৎসা সহায়তা, উচ্চশিক্ষা গ্রুপ, ফটোগ্রাফি, যোগাযোগ বজায় রাখা ইত্যাদি)। কিন্তু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যায় এই কাজগুলোর কয়টা আমরা কয়জন করি আর করলেও এই কাজের চেয়ে অন্য অপ্রয়োজনীয় কাজে কতটা সময় ব্যয় করি।

মানুষ এখন কোথাও বেড়ানোর জন্য বেড়াতে যায় না, ছবি উঠানোর জন্য বেড়াতে যায়। বেড়াতে যাওয়া উপলক্ষে ছবি উঠায় না, বরং ফেসবুকে আপলোড করার জন্য ছবি উঠায়। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো দেখা যায় একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লোকজন সেই কাজে মনোযোগ না দিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত। ওই সময় অনুষ্ঠানের কেন্দ্রে যে থাকে তার মনের কি অবস্থা হয় একবার ভেবে দেখুন। রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন পুরোনো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে, দেখা ঠিকই করলেন, ছবি তুললেন ঠিকই কিন্তু কথাটাই বলা হলোনা ঠিকমতো। কথাও বলবেন ঠিকই তবে সেটা ফেসবুকে ছবি আপলোড দিয়ে তার কমেন্টে। কি সাংঘাতিক! তিন জন পাশাপাশি বসলে তিন মিনিটের মাথায় তিন জনের হাতেই স্মার্টফোনের দেখা মেলে। আমাদের সামাজিক সম্পর্কগুলো কোথায় গিয়ে ঠেকছে! কি আড্ডা, কি ভ্রমণ, কি উৎসব, কি সামাজিক পর্ব সবরকম অনুষ্ঠানের উপভোগের কেন্দ্রবিন্দু এখন ফেসবুকের টাইমলাইন। লোকজন লাখ টাকা খরচ করে বিবাহের অনুষ্ঠান আয়োজন করে ফেসবুকে প্রচার করে লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্যে! ভবিষ্যতের জন্য স্মৃতি ধরে রাখায় আমরা  এখন এতোই ব্যস্ত যে, বর্তমানকে আর উপভোগ করা হয়ে ওঠে না। প্রতিদিনকার জীবনে ফেসবুকের সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হল রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফেসবুকে একটু ঢু মেরে আসার চিন্তা। পাঁচ মিনিটের জন্য ঢু মারতে গিয়ে সেটা এক ঘন্টা দুই ঘন্টার সময় অপচয়ে পরিণত হয়। ফলাফল পরিপূর্ণ ঘুম তথা সুস্বাস্থ্যে অর্জনে ব্যাঘাত এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস।

এই সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়? সমস্যা দূর করতে চাইলে আগে বুঝতে হবে যে এটা আসলে সমস্যা কিনা। এবং আসল সমস্যা এখানেই। আমরা এখনও বুঝতেই পারছিনা যে এটা একটি সমস্যা। কিছু কিছু মাধ্যমে ট্রল করে অথবা নাটিকা আকারে বোঝানো হচ্ছে যে এটা একটা সমস্যা। কিন্তু আমাদের কাছে ফেসবুক ব্যবহার এতটাই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে যে এটা যে সমস্যা তা আমরা মানতে নারাজ। হিন্দি চ্যানেলগুলো যে আমাদের সমস্যা সৃষ্টি করেছে তা আমরা যেমন দেরীতে বুঝতে পেরেছি তেমনি ফেসবুকও যে সমস্যা তা বুঝতে হয়তো আরও সময় লেগে যাবে। কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হবার তা হয়ে যাবে। কি ক্ষতি হবে? নেশা যা ক্ষতি করে ঠিক তাই করবে। নেশা ভালো হোক আর খারাপ হোক তার কর্মপদ্ধতি একই রকম। তা প্রথমে সুখানুভূতি দেয়, যা তাকে আবার একই কাজ করতে উৎসাহিত করে এবং ধীরে ধীরে ওই কাজে আসক্ত করে ফেলে। একসময় ওই কাজ ছাড়া থাকতে পারাটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ওই কাজ না করা পর্যন্ত অস্থিরতা কাজ করে। ফেসবুকে আসক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। যাদের ঘটে তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আপনি আসক্ত কিনা। এখনও বুঝতে না পারলে ছোট্ট একটা কাজ করুন। মাত্র দু-তিনদিন নিজের উপর একটু গোয়েন্দাগিরি করুন। একটি স্বাভাবিক দিনে আপনি কতবার, কোন কোন সময় ফেসবুকে ঢুকেন এবং কত সময় ব্যয় করেন তার একটা হিসেব করে ফেলুন। এরকম দুই তিনদিন করে ফেললেই আপনি অবাক হয়ে দেখবেন আপনার ফেসবুক কিভাবে আপনার জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে আর আপনাকে করেছে "ফেসবুক রোগ"-এ আক্রান্ত।

এরপরও বুঝতে না পারলে সততার সাথে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।

১। কোথায় বেড়াতে গেলে ছবি না উঠালে কি আপনার ভালো লাগেনা?

২। বন্ধুমহলে আপনি কি সেলফি এক্সপার্ট হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন?

৩। ছবিগুলো আপলোড না দেয়া পর্যন্ত কি আপনার মন উসখুশ করতে থাকে?

৪। নোটিফিকেশন না আসলে কি আপনার ফেসবুককে বোরিং লাগে?

৫। আপনার স্ট্যাটাসে কয়টা লাইক পড়ছে, কে কে রিয়েক্ট করেছে তা দেখার জন্য মন উসখুস করে?

প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে আপনি ১০০০% নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি ফেসবুক রোগে আক্রান্ত।

আচ্ছা সমস্যা না হয় বুঝলাম এখন সমাধান কি হবে? এইতো লাইনে এসেছেন। সমস্যা বুঝতে পারা মানেই অর্ধেক কাজ খতম। সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সহজ তাত্ত্বিক সমাধানটি হচ্ছে ফেসবুকে নিজের একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে ফেলা। মানে ফেসবুকে আর প্রবেশ না করা। কিন্তু আপনি যদি আসক্ত হয়ে থাকেন এবং ফেসবুকে না ঢুকে থাকতে না পারেন তাহলে আপনার জন্য এই পদ্ধতি কাজে দেবে না।  এতো দিনের গড়ে ওঠা অভ্যাস একদিনে কখনোই যাবে না। বরং এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনার জন্য অন্য থেরাপি লাগবে। ধীরে ধীরে আপনার আসক্তি কমিয়ে আনতে হবে। আপনার ভালো লাগার কারণগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। ভালো লাগার অন্য বিকল্প মাধ্যমের প্রতি আকৃষ্ট হতে হবে। জগতে ভালো লাগার জিনিসের অভাব নেই শুধু মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে চারিদিকে একটু তাকাতে হবে। কিভাবে?

১। প্রথমে কিছুদিনের জন্য কোনো কিছু আপলোড করা বা স্ট্যাটাস দেয়া অথবা কারো পোস্টে কমেন্ট করা থেকে দূরে থাকুন। মানে ফেসবুকে ঢুকবেন, সব দেখবেন কিন্তু কিছু নাড়াচাড়া করবেন না। আপনাকে ট্যাগ করার অপশন বন্ধ করে দিন অথবা টাইমলাইন রিভিউ চালু করে দিন। এতে করে আপনার নোটিফিকেশন আসা কমে যাবে।

২। সম্প্রতি ফেসবুক চুলকানির মতো উস্কে দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। আপনার ওয়ালে অতীত কোনো একটা স্ট্যাটাসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাকে শেয়ার দেয়াতে প্রলুব্ধ করতে চায়। মানে আপনাকে আরও সম্পৃক্ত করতে চায়। আপনার সময় কেড়ে নিতে চায়। সেই ফাঁদে পা দেয়ার দরকার নাই। ছবিটা দেখে মনে মনে ওই সময়ের স্মৃতিচারণা করুন। মনে মনে ভালো অনুভব করুন। তারপর আস্তে করে ওখান থেকে সরে পড়ুন।

৩। স্মার্টফোনে ফেসবুক এপ্লিকেশন থাকলে সেটা ডিলিট করে দিন। তার পরিবর্তে অপেরা মিনি দিয়ে ঢুকুন। এতে করে আপনার অটো নোটিফিকেশন আসা বন্ধ হবে এবং ফেসবুকের অনেক আকর্ষনীয় অপশন ব্যবহার করতে পারবেন না বলে সম্পৃক্ততা অনেকটাই কমে আসবে।

এগুলো হচ্ছে প্রথমদিকের ধাপ। ধীরে ধীরে আপনি আপনার ফেসবুকে ঢোকা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ে আসতে পারেন। হয়তো সকালে একবার আর সন্ধ্যায় একবার। আস্তে আস্তে আরও কম। একটা সময় এমন হবে যে আপনি কারও সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন ছাড়া ফেসবুকে আসবেন না। তারপরের ধাপে আপনি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও ফেসবুককে পরিত্যাগ করবেন (বিকল্প হিসেবে ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি আছে)। সোজা কথায় আপনার আসক্তি ত্যাগ হয়ে ফেসবুক থেকে সময় উদ্ধার হলেই হলো। এ সময় আপনি অন্য কাজে দিন অথবা পরিবারকে দিন। জীবনটাই আর কয়দিনের বলুন!

প্রকৃতির একটা নিয়ম হল সে কখনও শুন্যস্থান পছন্দ করেনা। তাই একটা অভ্যাস দূর করতে হবে আরেকটা অভ্যাস দিয়ে। তাই ফেসবুকে দেয়া সময়টা কাজে লাগানো যেতে পারে অন্যকোনো ক্রিয়েটিভ কাজে। যেমন কোনো একটা বাদ্যযন্ত্র (হারমোনিয়াম/বাঁশি/গীটার) বাজাতে শেখা কিংবা কম্পিউটারের কোনো একটা দক্ষতা অর্জন করা (ফটোশপ/এম এস এক্সেল/পাওয়ার পয়েন্ট), দেশি বিদেশি গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকার চেষ্টা করা, কিছু লেখার চেষ্টা করা, হাতের লেখা সুন্দর করতে চেষ্টা করা, নতুন কোনো খেলা (দাবা, রুবিক্স কিউব, সুডোকু, পাশা, তাস) শেখা, সাঁতার কিংবা সাইকেল চালানো শেখা ইত্যাদি। কত কিছুই তো করা বাকী আছে এই জীবনে! আর এই প্রত্যেকটা কাজ শিখতে চাইলে যথেষ্ট সময় দেয়ার প্রয়োজন আছে। ফেসবুকেই যদি সব সময় দিয়ে দেন কোথায় পাবেন সময় এই কাজগুলো করার জন্য?

বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক ম্যালকোম গ্ল্যাডওয়েল তার "আউটলায়ার্স" নামক বইয়ে বলেছেন যে, কোনো একটি কাজে পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে ওই কাজে ১০,০০০ ঘন্টা সময় দেয়া প্রয়োজন (যদিও এই থিওরির বিপক্ষে অনেক মত আছে)। সে যাই হোক মোদ্দা কথাটি হল কোনো একটা কাজে দক্ষ হতে চাইলে আপনাকে একটা বেশ ভালো সময় ওই কাজে দিতে হবে। হিসেব করে দেখেন ফেসবুকে আপনি যে পরিমান সময় দিয়েছেন তাতে করে আপনি এতোদিনে ফেসবুকিং-এ দক্ষ হয়ে গেছেন কিনা। যদি হয়ে থাকেন তাহলে সময় এসেছে একটু দুঃখিত হবার। কারণ ফেসবুকিং এর এই দক্ষতা আপনার জীবনে আলাদা কোনো গুরুত্ব বহন করেনা। বরং একটু ভেবে দেখেন আপনার জীবনে এমন কিছু একটা শেখার ইচ্ছা কোনো একটা সময় ছিল যেটা আপনি সময়ের অভাবে করে উঠতে পারেননি। নিজের আয়নায় নিজেকে একবার দেখার চেষ্টা করুন। ধরা পড়ে যাবেন। আর যদি নিজের অবস্থান বুঝে উঠতে পারেন তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন ফেসবুক নামক রোগ থেকে মুক্তির উপায়। না, এই রোগের ঔষধ অন্য কারও কাছে নেই, কেবল আপনার কাছেই আছে। হ্যাপি ফেসবুকিং!

সকল ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।