হাওরে নৌকাডুবে মৃত্যু রোধে প্রয়োজন নিরাপত্তা রুট

সারোয়ার ইবনে গিয়াস
Published : 27 Sept 2019, 01:23 PM
Updated : 27 Sept 2019, 01:23 PM

সুনামগঞ্জের হাওরে নৌকাডুবিতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধায় কয়েক পরিবারের ১০ জনের সলিল সমাধি ঘটলো সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ির কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত বিশাল হাওর কালিয়াকুটায়।

বিয়ের এক অনুষ্ঠানে যাবার পথে নৌকাডুবিতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ শোকে বিয়ের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়। বাবার কাছ থেকে শোনা, হাওড়ে নৌকাডুবে আমার এক জ্যাঠার স্ত্রী-সন্তান মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু এবারের শিশু মুহিত যেমন হাওরের এক গাছে বা বিলে পোঁতা ডালে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচায় তেমনি আমার জ্যাঠাও হাওরের করচ গাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে তিনি সন্তান আর স্ত্রীকে হারিয়েছেন হাওরে। এখন তিনি একাকি জীবন কাটাচ্ছেন।

হাওরে নৌকাডুবে মরার থেকে বাঁচতে শুধু সাতার জানাই আবশ্যক নয়, উত্তাল ঢেউ অনেক দক্ষ সাঁতারুকেও থামিয়ে দেয়। তাই বিকল্প ও আধুনিক চিন্তা নিয়ে সামনে ভাবতে হবে। আমার জ্যাঠা কিংবা শিশু মুহিত যেভাবে সাঁতার জানার পরেও কিছু একটার আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় সেইভাবে আশ্রয় নির্মাণ করতে হবে। বিশাল হাওরে নির্দিষ্ট রুট নির্মাণ করে দিতে হবে।

সেইসব রুটে পাকা পিলার স্থাপন করা যেতে পারে এবং লাগাতে হবে প্রচুর করচ গাছ। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে পাকা পিলার স্থাপন করে ট্রলারগুলোকে বাধ্য করতে হবে সেইসব রুট মেনে চলতে। তেমনটা হলে মৃত্যুর মিছিল কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব।

আমি নিজে কোনো হাওর উন্নয়ন কর্মী নই,  কিন্তু যা বললাম, তা তেমন মহা বাজেটের বিষয়ও নয়। মানুষের জীবনের চেয়ে আর বেশি কিছু দামি হতে পারে না।

নাগরিক সাংবাদিকতায় অনেক কাজ হয়। আমার এই লেখাটি অন্তত তেমন দায়িত্বশীল কেউ পড়ে ভাবলেও আমি সুখ পাবো। বাকিটা সময়ই বলে দেবে। কারণ, মানুষ যা ভাবে তা কেউ কেউ না করেই- যদি যৌক্তিক হয়।