স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে কত শাসক এল আর গেল কিন্তু আমরা উন্নত দেশ আর পেলাম না। সবাই স্বপ্ন দেখিয়ে আসে। স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে অনেকের স্ট্যাটাসে পলিটিক্স প্রাধান্য পেয়েছে, যা দেখে আমি অনুপ্রাণিত। তারেক মাসুদ, মিশুক মনির সবাইকে একটু হলেও রাজনীতির ব্যাপারে কথা বলতে শিখিয়ে গেছেন। দেশের এই অবস্থার কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কেউ কিছু বলতে চাইনা। এডিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে চাই। এভাবে আর কত দিন। দেশের জ্যামে পড়ার ভয়, সারাদিন বিদ্যুত না থাকার অসস্তি কিংবা পুলিশ /রাজনৈতিক নেতা/ প্রসাশনের হয়রানির ভয়ে অনেকেই দেশেই (যারা বিদেশে আছেন) যেতে চান না।
একটা দেশের উন্নতির প্রধান তিনটি ফ্যাক্টর হল যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুত আর শিক্ষা। যার কোনটায় আমাদের দেশে ভাল অবস্থায় নেই। তাছাড়া প্রত্যেক দেশের একটা পলিসি থাকে। হয়তো কেউ প্রযুক্তির মাধ্যমে কেউবা কৃষি, কেউ পর্যটনকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন করে থাকে; আমরা কি করছি? ৫০ হাজার টাকা বিমানবন্দরের জন্য বরাদ্দ দিতে পারলে রাস্তাঘাট করার জন্য দেওয়া যায় না কেন? সরকারের যদি টার্গেট থাকে আমরা ৪/৫ বছরে মধ্যে দেশের আনাচে কানাচে রাস্তা করব, উন্নত দেশের মত হাইওয়ে করব (আমাদের দেশের হাইওয়ে না), অসম্ভব কিছু না। ৬/৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনও অসম্ভব না। সবকিছুর জন্য দরকার একজন নেতা। যিনি নিজের ক্ষমতার জন্য স্বৈরাচার হবেন না। উন্নয়নের জন্য স্বৈরাচার হবেন। উন্নয়নের প্রশ্নে কারো সাথে আপোসে যাবেন না।কেউ যদি দুর্নীতি করে তাকে শাস্তি দিতে হবে সে আমার ভাতিজা হোক আর ভাগ্নে হোক। প্রশাসনের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিন্ম পর্যায় নিজের আধিপত্য রাখতে হবে উন্নয়নের স্বার্থে। কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক এক্ষেত্রে একটি উদাহরন। তিনি ১৯৬০ সালে ক্ষমতা নিয়ে পুরো দেশকে চেঞ্জ করে ফেলেছিলেন স্বৈরচারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। তখন অনেকেই তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী শাসক বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার তখনকার সিদ্ধান্তের কারনে আজ স্যামসাং, এলজি, হুন্দাইএর মত কোম্পানী সারা পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছে। কোরিয়ানদের আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
মোদ্দা কথা এসব থেকে রক্ষা করার এক নতুন প্রজন্ম দরকার, নতুন নেতা দরকার। সেই প্রজন্ম, সেই নেতার অপেক্ষায় আছি। এই নতুন প্রজন্মকে সপ্ন দেখাই কিছু করার।