কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যমত

সাইদ
Published : 12 Feb 2015, 07:56 PM
Updated : 12 Feb 2015, 07:56 PM

আমি তরুণ নই। আমি মধ্য বয়সী এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আমি সামান্য হলেও মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। দেখেছি বাঙ্গালীকে 'প্রকৃত মুসলিম' বানানোর পাকিস্তানিদের/রাজাকারদের অপচেষটা। দেখেছি ধর্ষিতা মায়ের কান্না। আমি জয় বাংলা কে বুকে ধারণ করেছি,জয় বাংলা ই আমার শক্তি ও সাহস।

আমার মতে দেশের এই অসস্তিকর/সংঘাতময় মুহূর্তে আমাদেরকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া বা জাতীয় ঐকমত একান্ত প্রয়োজন;

১। বিএনপিকে জামাত এবং অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী দল বা গোষ্ঠী কে সম্পূর্ণ ভাবে ত্যাগ করতঃ আন্দোলনের নামে সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্ম কাণ্ড চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

২। আওয়ামী লীগ কে জামাত এবং অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী দল বা গোষ্ঠীকে রাজনীতি এবং অন্যান্য রাষ্টীয় কর্ম কাণ্ড থেকে সম্পূর্ণ ভাবে আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ধ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। ছাত্রলীগের সকল সন্ত্রাসী কর্ম কাণ্ড চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

৩। দেশের সকল সুশীল বা বুদ্ধিজীবী সমাজকে জামাত এবং অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোৎচার হতে হবে এবং তাদের সাথে কোন সংশ্রব রাখতে পারবে না। জামাত এবং অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী দলকে সন্ত্রাসি দল হিসাবে স্বীকার করে নিতে হবে।.

৪। কোন মিডিয়াতে স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন খবর প্রচার করা যাবে না । মিডিয়াতে আমাদের মহান স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তি করে কোন খবর প্রচার আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে ।

৫। পেশাজীবী সকল সংগঠনকে (যেমনঃ বিচারা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সংবাদিকতা, শিক্ষক সমাজ ইত্যাদি) দলীয় রজনিতি মুক্ত রাখতে হবে। ছাত্ররা রাজনীতি করতে পারবে দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় করন বন্ধ করতে হবে।

৬। অতঃপর সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে, সব দলের অংশ গ্রহণে শান্তি পূর্ণভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭। প্রত্যক দলের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

৯। সকল মুক্তিযুদ্ধা এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে চুপ চাপ বসে তামাসা দেখলে চলবে না । মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আর উগ্রপ্রন্থি ধর্মীয় জঙ্গিদের হাত থেকে দেশকে বাচাতে তাদেরকেও ঐক্যব্ধ হতে হবে। কথায় ও কাজে।

৮। তা হলেই দেশের রজনিতির ক্ষেত্রে শান্তি ফিরে আসবে। তবে মনে রাখতে হবে শুধু নির্বাচনই গণতন্ত্র নয় । গণতন্ত্রের একটি মাধ্যম মাত্র। নির্বাচিত সংসদদের অবশ্যই সংসদে যোগদান করতে হবে। শুধু মাত্র হা-না ভোট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। গণতন্ত্র মানে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র, যেখানে থাকবে না কোন আর্থ-সামাজিক বৈষম্য। থাকবে মুক্তির প্রসারিত আকাশ।

১০। আমাদের মনে রাখতে হবে জামাত এবং অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী দল বা গোষ্ঠীর এবং জঙ্গিবাদ একটি সর্বগ্রাসী বিষ ফোড়া । এদের সমূল উৎপাটনই এই মুহূর্তে, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।