বেগম খালেদা জিয়ার ১১ দফা, না মানলে আন্দোলন (পেট্রল বোমায় মানুষ মারা, বাসে আগুন দেওয়া) চলবে?
১। তার বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
২। তার (খালেদা জিয়ার ) পুত্রের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৩। যুদ্ধা অপরাধীদের বিচার করা চলবে না। আর যুদ্ধা অপরাধীদের রাজবন্দীর মর্যাদা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি দিতে হবে
৪। মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বাদ দিয়ে তালেবানি চেতনায় (উগ্র ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদী) দেশ পরিচালনা করতে হবে ।
৫। মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধাদের উত্তরসূরিদেরও (ছেলে-মেয়ে) বিচার করতে হবে।
৬। জয়বাংলা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এসব তালেবানি বিরোধী শব্দ কোন গনমাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে না।
৭। রাজাকার, আলবদর আর ধর্মান্ধদের (হেফাজত) সরকারের গুরুত্ব পূর্ণ পদে আসীন করতে হবে ।
৮। দেশে স্বাধীনতা পক্ষ- বিপক্ষ বলে কিছু থাকতে পারবে না । থাকবে শুধু একটা পক্ষ তালেবানি বা পাকিস্তানী পক্ষ।
৯। স্বাধীনতা পক্ষের সকল সুশীল সমাজকে দেশ ছাড়া করতে হবে কিংবা ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর মত মটিতে মিছিয়ে দিতে হবে।
১০। দেশে উগ্র ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদী, ধর্ম ব্যাবসায়িদের ফতুয়াবাজী চালু করতে হবে।
১১। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে রাষ্টীয় মুলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে সংবিধানিক স্বীকৃতি, সংবিধান থেকে বাদ দিতে হবে।
বি.দ্র. বাংলাদেশের সরকারের গদিতে কোনদিন বসতে পারলে খালেদা জিয়া নিজেই উপরের উল্লেক্ষিত সকল দাবী অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। মনে রাখবেন মানুষ একবারই ভুল করে, খালেদা জিয়াও করবে না।