এক.
শাহবাগের আন্দোলন সকল পক্ষ থেকেই গত কয়েকদিন যাবত খুব বেশী ধর্মকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। বাচ্চু রাজাকারের গ্রেফতার, সাঈদীর রায় ঘোষনা, কাদের মোল্লার আঁতাতের রায় বাতিল অপেক্ষা পারিপ্বার্শিক অন্যান্য দাবী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সংহতি প্রকাশের উসিলায় নষ্ট ও আদর্শহীন রাজনীতিকদের হিসাব-নিকাশের কালো ছায়া শাহবাগের উপর যত দীর্ঘ হচ্ছে প্রজন্ম চত্বর ততই প্রজন্মকে এবং গণমানুষকে দাবী আদায়ের লড়াইয়ের বিষয়ে বিভিন্ন শংকা ও হতাশায় প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অনেক রকমের বিতর্ক এক এক করে ঘিরে ধরছে শাহবাগকে। এখনই সতর্ক হতে হবে। সুর্নিদিষ্ট দাবী এবং লক্ষ্যকে অঁটুট রেখে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দুই.
ব্লগারদের আন্দোলনকে ব্লগারদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। যতটুকু লাগাম হাতছাড়া হয়েছে সেটুকুর নিয়ন্ত্রনও ব্লগারদের হাতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। সাধারন মানুষ এবং সক্রিয় আন্দোলনকারীরা ব্লগারদের যতটা বিশ্বাস করে ও তাদের উপর যতটা আস্থা রাখে ততটা বিশ্বাস বা আস্থা অধিকাংশ রাজনীতিকের উপরেই রাখেনা।
তিন.
পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশেই সবচাইতে বিশাল আকারে কমিউনিটি ব্লগিং হয়। অনতিবিলম্বে বাংলা কমিউনিটি ব্লগগুলোকে আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। আন্দোলনের লক্ষ্য, কর্মকৌশল, সিদ্ধান্তগ্রহন পূর্বক সভা, নীতি নির্ধারনী আলোচনা ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে ব্লগার এবং সাধারন মানুষদের মতামত গ্রহনসহ উন্মুক্ত আলোচনার স্থান হিসাবে বাংলা কমিউনিটি ব্লগসহ ফেসবুকের কোন বিকল্প নাই।
চার.
যে কোন মূল্যে শাহবাগকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা। এই আন্দোলন বিপথগামী বা ব্যর্থ হলে (সেটা নস্টরাজনীতিক/সুশীলগোষ্ঠী/সাংস্কৃতিক সংগঠন/সৃজনশীল পান্ডা অথবা অন্য যাদের কারনেই হোক) জাতি ব্লগারদের চিনবে অনলাইন/নেট রাজাকার হিসাবে। যদি ভবিষ্যত প্রজন্মকে একই দাবীতে আবার রাজপথে নামতে হয় তবে তারা তখন "ক-তে কাদের মোল্লা…তুই রাজাকার, তুই রাজাকার, গ-তে গোলাম আযম…তুই রাজাকার, তুই রাজাকার"-এর শ্লোগানের সাথে যুক্ত করবে "ই-তে ইমরান..নেট রাজাকার..নেট রাজাকার…, অ-তে অমি পিয়াল..নেট রাজাকার..নেট রাজাকার…আ-তে আরিফ জেবতিক..নেট রাজাকার…নেট রাজাকার…"
জয় শাহবাগ…
জয় জনতা…
জয় বাংলা…
=============================