স্যার, ইহা এক ঐতিহাসিক নির্দেশনা

এহসানুল করিম
Published : 30 May 2012, 04:01 AM
Updated : 30 May 2012, 04:01 AM


১.
স্যার, বাংলা এবং হিন্দী ছবির কমেডিয়ানগন আপনার গোঁফের মত গোঁফ রাখিয়া থাকেন। সার্কাসের ভাড়দের এই প্রকৃতির গোঁফই ব্যবহার করিতে দেখা যায়। এই গোঁফের লোক হাসাইবার ক্ষমতা প্রবল।

স্যার, সাংবাদিকদের দায়িত্বপালনকালে পুলিশ হইতে দূরে থাকিবার যে গূঢ় উপদেশ আপনি দিয়াছেন তাহাতে কে হাসিল আর কে হাসিলনা এই ভাবিয়া কষ্ট পাইবেন না। কে আপনার গূঢ়তত্বের মর্মার্থ অনুধাবন করিতে পারিয়াছে আর কে পারে নাই তাহা লইয়া ভাবিয়া ভাবিয়া সময় নষ্ট করিবেননা। কারণ এই ঐতিহাসিক উপদেশের মাধ্যমে আপনি আপনার গোঁফের সার্থকতা যথাযথভাবে বুঝাইয়া দিয়াছেন, আপনার গোঁফ চিরদিনের জন্য পূর্ণ সার্থকতাকে জয় করিয়া লইয়াছে।

২।
লেজ যখন কুকুরকে নাড়ায় তখন মুগুর দিয়া লেজে না মারিয়া কুকুরটাকে মারিতে হয়। তাহাতে কুকুর শুধু শান্তই হয়না তাহার নড়াচড়া করিবার শক্তিও শেষ হইয়া যায়। সামগ্রিক অবস্থা দেখিয়া লেজ নিজের নড়াচড়াই বন্ধ করিয়া দেয়, এমনকি কখনও কখনও বিনা বাতাসে খঁসিয়া পরে।

৩।
খাতুন ম্যাডাম আর জামরুল স্যার, কখন কি বলিবেন বা বলিতে পারেন তাহা মোটামুটি সকলেই অনুমান করিতে পারেন। স্যার আর ম্যাডাম আমাদের নির্মল বিনোদন দান করেন। কিন্তু উনাদের দানকৃত বিনোদন আমাদের নিকট নির্মল রূপে উপস্থিত না হইয়া নির্মমরূপে উপস্থিত হয়। কারন উনাদের দায়িত্ব আমাদের স্বাভাবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিনোদন দান করা নহে। যদি বিনোদনই মূল বিষয় হইয়া থাকে, তবে জনগনের করের টাকায় মাননীয় খাতুন ম্যাডাম, জামরুল স্যার, সাঁইজিপি স্যারদের পোষার দরকার কেন তাহা বোধগম্য নহে। বরঞ্চ সেই খরচ দিয়ে চিড়িয়াখানায় কয়েকটি জীব জানোয়ার আনিলে একদিকে যেমন সাধারন জনগন নির্মল বিনোদন লাভ করিবে অন্যদিকে পশুপ্রেমেও উজ্জীবিত হইবে।

এই পোস্টটি ভাল লাগিলে শেয়ার করিয়া বাধিত করিবেন।