সদ্য সাবেক হিসেবে আমি এদের অনেককেই চিনি। এদের কিছু সংখ্যকের মেধা ও আউটস্ট্যান্ডিং কিছু যোগ্যতা সম্পর্কেও হালকা ধারনাও রয়েছে। এদের কেউ অনেক ভাল গিটার বাজায়। কেউ ভাল গান করে। কেউ তুখোর বিতার্কিত। কেউ মঞ্চ অভিনয়ে পারদর্শী। কেউ বা ভালো লিখে। এদের কেউ পড়াশুনার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করে। আরও অনেক প্রতিভার অধিকারী এরা…! সুতরাং হুট করে এদের বাজে ছেলে বলে রায় দেয়ার কোন কারন নাই। আসলে ব্যাপারটা হলো এদের সবাইকে যে ক্লাসের সেরা বা সবচেয়ে মনোযোগী শিক্ষার্থীই হতে হবে এমনটা নয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র ক্লাস আর পরীক্ষার জন্যই নয়। এখানে মানসিক বিকাশের চর্চা হবে বেশি বেশি। এখানে কেউ কবিতা লিখবে, কেউ গান গাইবে, কেউ বিতর্ক করবে, কেউ দেয়ালপত্রিকা বানাবে, কেউ লিটল ম্যাগ কর্মী হবে, কেউ সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখবে, কেউ ব্লগে লিখবে, কেউ ছবি তুলবে, কেউ তুখোড় ছাত্রনেতা হবে—এরা সবাই মিলে পাল্টে দিতে চাইবে এই 'ঘুণে ধরা সমাজ', কেউ গিটার নিয়ে গান ধরবে 'আমার ভালোবাসা', কেউ তুমুল প্রেমিক হবে, কেউ উদাস হবে, কারও বা মন খারাপ থাকবে, কেউ বা শিক্ষকদের পেছনে ছুটবে একটু নেক নজরে পড়ার জন্য—সবাইকে নিয়ে কী তুমুল ভালোবাসার পরিবারই হবে বিশ্ববিদ্যালয়! শিক্ষার্থীরা আছে বলেই তো শিক্ষকেরা আছেন, দালানকোঠা আছে, লাইব্রেরি, রাস্তা, রেজিস্ট্রার বিল্ডিং, শিক্ষকদের প্রমোশন, হাউস টিউটর-প্রক্টর-ডিন-প্রোভিসি-ভিসি হওয়া। এসবই শিক্ষার্থীদের জন্যই।