ব্যারিস্টার রফিক, আমিও নির্দলীয় সরকারের প্রধান হবার চাই

সেলিম আনোয়ার
Published : 30 Sept 2012, 07:20 PM
Updated : 30 Sept 2012, 07:20 PM

ব্যারিস্টার রফিক আমিও নির্দলীয় সরকারের প্রধান হবার চাই। এখানে উল্লেখ্য আমি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলান সাধু ভাষায় লিখি। এটা না করিলে পাঠক ভাইরা কথার গুরুত্ব উপলব্ধি করিতে পারেন না ।

দেশ একটা সংঘাতের দিকে আগাইয়া যাইতেছে। রফিক সাহেব তাহা উপলব্ধি করিয়া সরকার প্রধান হইয়া দেশকে সংকট থেকে বাঁচাইতে চান। আমি ১/১১ স্টাইলে নির্বাচন পরিচালনা করিব। আমি সঠিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যাহা করিব তাহা নিম্নরূপ –

প্রথমেই যাহা করিব তাহা হইল রাজনীতিবিদরা অসৎ এমন ব্যাপার জনসমক্ষে প্রচার করিতে থাকিব।তার পর দুই দলের যাহাদের দেখিলে আমার গাঁ জ্বলিয়া যায় তাহাদের এরেস্ট করিব।শেখ হাসিনাকে দেশের ভিতর গৃহবন্দি রাখিব।আর খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠাইতে চাপ দিব।খালেদা বাহিরে চলিয়া গেলে তাহাকে নানা কায়দায় আসিতে দিতে চাইনা নাটক করিব লোকজনরে তাহার জন্য মায়া বৃদ্ধি হইলে তার পর দেশে ঢুকিতে দিব। আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে ভাগ করিব। তোফায়েল সাহেবের ভাগকে মূল আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার ভাগকে আওয়ামীলীগের অংশ বলিব।পার্টি অফিসের চাবি তোফায়েল সাহেব পাইবে।তাকে নৌকা দেয়া হইবে এ মর্মে জোর প্রচারণা চালাইব।

শেখ হাছিনাকে দুর্নীতির মামলায় আটক করিব।তাহার পুত্রধনকে গ্রেফতার করিয়া সেনা বাহিনী দিয় ফ্যানে লটকাইয়া ইচ্ছামত প্যাদানী দিব। তারপর তার নামে দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং এর কয়েকখানা মামলা রজ্জু করিয়া শেখ হাসিনা কাছ থেকে নাকে খত দেওয়াইয়া তাহার শ্বশুরবাড়ি পাঠাইয়া দিব। তাহার মেরুদণ্ডে ১০টা ভাঙন ঘটাইব।মিডিয়াতে তাহার দুর্নীতির নিয়মিত প্রচারণা চালাইব।তাহার ইয়াহুদি ধর্ম গ্রহনের টেপ ইউ-টিউবে ছাড়িয়া দিব। লাল বহিনী রক্ষীবাহিনী দেশে যে মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল সেই বিষয়ের উপর আব্দুল জলিল সাহেবরে দিয়া কয়টা হরর মুভি বানাইব। আ এম ফ্রম গানা।মেজর জিয়া দেশের যে উন্নয়ন করিয়াছেন তাহা ফলাও করিয়া প্রচারণা চালাইব।

শুধু তাই নয়।যাহারা এখন প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনে গুরুত্ব পূর্ণ জায়গায় আছেন তাহাদের ওএসডি করিয়া ওএসডি কর্মকর্তাদের এইসব জায়গায় পোস্টিং দিব। উল্লেখ্য এরার বেশির ভাগই বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার।এমনকি ব্যাংক ম্যানাজাররাও। এইখান থেকেও তাহাদের বিতারণ করিয়া অন্য লোক বসাইব।সমস্যা হইল খালেদা জিয়া তো আর হাসিনার মতো তেল দিব না।আমার তেলের সংকট লইয়াই কাজ করিতে হইবে।তাহার পর প্রথম আলোর মতো কয়েকখান পত্রিকাকে দিয়া শেখ হাছিনা সোনার ছেলে রা আগু আর ছাগু নেতারা যে সমস্ত গুম কেলেংকারি হলমার্ক কেলেংকারি,শেয়ার বাজার লুট,ইউনুস মিয়ারে নিয়া টানা হ্যাঁচরা, দুর্নীতি করিয়েছে সেইগুলিসহ ,আবুল সুরঞ্জিত চুরি এই গুলা নিয়া গরম গরম তাজা খবরের ব্যবস্থা করিব।

নির্বাচনের ঠিক আগমুহুর্তে দুর্নীতির খবর গুলান প্রচার করিব।ফেয়ার বিসিএস মুভমেন্ট নামে বেয়াদব ছাত্রদের দিয়া একটা আন্দোলন করাইবো।তাহার পর বিসিএস পরীক্ষা বাতিল করিয়া টাকার বিনিময়ে ফেয়ার বিসিএস মুভমেন্ট সোনার ছেলেদের দ্রুত নিয়োগ দিব। অন্যরা মরিয়া যাক তাহাতে কি?

আওয়ামী লীগকে লন্ডভন্ড করিয়া দিয়া বিএনপির জন্য পক্ষপাতযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করিব।নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাদের হুমকি দিয়া আসিব । জেলে ভরিব।

তাহার পর দেখিব নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কিভাবে ২০ টার বেশি আসন পায়। এখন ভাই সাহেবেরা বলেন আমার গৃহীত পদক্ষেপ গুলান ঠিক আছে কি না?আমি নিরপেক্ষ সরকার প্রধান হবার যোগ্যতা রাখি কি না?

২০০৮ সালে কিন্তু এমনটাই ঠিক উল্টাভাবে হইয়াছিল । তাহা না হইলে ২৬৪ আসন পাওয়া দল ৩০ আসন পাওয়া দলকে ভয় পাইবে কেন?তত্ত্বাবধায়ক অবৈধ হইলে ১৫ই ফেব্রুয়ারীর সরকারই বৈধ।পরবর্তী গুলা ভুয়া।শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন নাই কেন?মাননীয় গণতন্ত্রের মানসকন্যা আমাকে নির্দলীয় সরকারের প্রধান করিয়া দেশকে সংকট উত্তরণে সহায়ক হন।