কুরবানির ঈদ

সেলিম আনোয়ার
Published : 29 Oct 2012, 05:58 PM
Updated : 29 Oct 2012, 05:58 PM

ঈদ আসছে। । ঈদ মানে খুশি।আনন্দ।আর কুরবানি মানে ত্যাগ ব্যাপারটা কেমন হলো।ভোগ এ সুখ নাই ত্যাগেই সুখ ত্যাগেই আনন্দ।শুধু কি তাই?একটু গবেষণা করা যাক। ঈদ মানে খুশি করা। মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করা। ঈদের দিন নামায ছয় ওয়াক্ত।আর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত।একওয়াক্ত নামায বেশি।তাই স্রষ্টা খুশি।স্রষ্টা খুশি হয়ে সৃষ্টির উপর খুশি ঢালেন।আর তাই আমরা এত খুশি।মহা ধুমধামের মধ্য দিয়ে আমরা তা উদযাপন করি।রমযান মাসের পুরোটা সময় সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ।আর কুরবানির ঈদে পশু জবাই দিয়ে ঈদ। কুরবানির ঈদের ঘটনাতো দারুন। মুসলমান জাতির পিতা ইবরাহীম সপ্নে দেখলেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্ত কুরবানি দিতে হুকুম দিয়েছেন।তিনি তার পছন্দের বস্তু কুরবানি দিতে থাকলেন।কিন্তু তা গ্রহণ হচ্ছিল না।তিনি সপ্নে বারবার আদিষ্ট হতে থাকলেন। তিনি বুঝতে পারলেন তার সবচেয়ে প্রিয়বস্তু আর কিছুই নয় নিজের প্রাণপ্রিয় ছেলে ইসমাইল।তাকেই কুরবানি করতে গেলেন,গলায় ছুরি চালালেন।আল্লাহ তায়ালা এ ত্যাগ এই কুরবানিতে এতই খুশি হলেন যে মুসলমানদের উপর তা আবশ্যক করেদিলেন।

কুরবানির গরু কিন্তু যেইসেই গরু নয়।কয়েকটা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকলেই সেটি কুরবানি যোগ্য।বয়স,সুস্থতা,সৌন্দর্য তো লাগবেই সেই সাথে এখলাস গুরুত্ব পূর্ণ শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই জবাই করতে হবে।অন্যথায় কুরবানি গ্রহণযোহ্য হবে না। কুরবানির গরু কেনা যথেষ্ট জটিল কাজ।গরুর হাটকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠে কিছু অসাধু মানুষ।পকেটমার,ছিনতাই,অজ্ঞানপার্টি আরও নানা বর্ণের ঠকরা নানান রূপ ধরে মানুষকে হয়রানি করে থাকে ।কুরবানির গরুটাই হয়তো বা চুরি হয়ে যায়।এমনকি বিষ প্রয়োগে মারার ঘটনাও ঘটে।দালালদের দৌরাত্বে গরুর দাম বেড়ে যায় অনেক। বিরাট গরু-ছাগলের হাটে অনেক কিছুই ঘটে।গরুর গোতা খেয়ে আহত হন অনেকেই। বিরাট গরু-ছাগলের হাট ব্যানারে ছেয়ে যায় ঢাকাশহর।সেই সাথে মাইকিং।শব্দদূষণ, বায়ুদূষন, পানিদূষন ;সবদূষণের মাঝেও ঈদ আমাদের আনন্দিত করে। ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে ,বি্টিভিতে নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে ।বাসার সবাই তা আগ্রহ নিয়ে দেখেবে।অনেক আনন্দ আর অনেক হইচই এই ঈদকে ঘিরে।বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজনের বাড়ি বেড়ানো।ফিন্নি-সেমাই পোলাও-কোর্মা আরও কত কি।তারপরও দেশের একটা বিরাট অংশ যারা দরিদ্র নিঃস হয়তো বা তারা অনাহারেই থা্কবেন। কোরবানির গোশতে তাদের হক রয়েছে। আনন্দ করার অধিকার তাদেরও আছে। আমাদের উদার মনোভাব ও দানশীলতা তাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আমাদের কিছু ত্যাগ স্রষ্টার কাছে পছন্দনীয় বলেই আমরা তা হাসিমুখে পালন করি,করতে পারি।আগামী ঈদ আমাদের সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক।শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত হোক বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে।ভোগ এ সুখ নাই ত্যাগেই সুখ ত্যাগেই আনন্দ।সবাইকে ঈদ মোবারক।।