যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম বাংলা ব্যালটে ভোট দেওয়ায় উচ্ছ্বাস

সেলিম আনোয়ার
Published : 7 Nov 2012, 08:14 PM
Updated : 7 Nov 2012, 08:14 PM

নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।এই প্রথম বাংলায় ছাপা ব্যালট পেপারে ভোট দিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিকরা।এই ইতিহাসটি রচিত হলো মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রামক শহরে।২,৫০০ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক বাংলা ছাপা ব্যালট পেপারে ভোট দিয়েছেন।এর মূল উদ্যেক্তাদের একজন হলেন এহসান তাকবিম তিনি ৩০ বছর ধরে মিশিগানে বসবাস করছেন।তিনি মিশিগানের গভর্নর মনোনিত কমিশনার হিসেবে কাজ করছেন ২০০৮ সাল থেকে।প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত কংগ্রেসম্যান হ্যানসেন ক্লার্ক এই এলাকার বাসিন্দা।হ্যামট্রামক শহরের আগামীবার মেয়র নির্বাচনে মোঃ কামরুল হাসানকে দাড় করানোর প্রস্তুতিও চলছে।৬ নভেম্বরের নির্বাচনের ব্যলট পেপারে চার বাংলাদেশী মার্কিনের নাম রয়েছে।অন্তত পক্ষে পাঁচ থেকে ছয়হাজার বাংলাদেশী এবার ওবামার পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছেন।হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস সত্যেও ওবামা দ্বিতীয়বাররে মতো প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিতপ্রায়।তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।তিনিই প্রথম টানা দুইবার নির্বচিত কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।মিট রমনির সামনেও ছিল ইতিহাস গড়ার সুযোগ।মরমন সমপ্রদায়ভূক্ত প্রথম খৃস্টান প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ ছিল তার।বারাক হোসেন ওবামা।মার্কিন মুসলমানদের সমর্থন পেয়েছেন।অথচ তিনি নিজেকে খৃস্টান প্রমানের জন্য প্রকাশ্যে শুকরের মাংস খেয়েছেন।তিনি সমকামীতার বৈধতার পক্ষে।আর ওসামা বিন লাদেন কে পাকরাও করা ও হত্যা করার মত ঘটনা তার চৌকস নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই ডেমোক্রাটরা রিপাবলিক্যানদের তুলনায় নরমপন্থি ।আবারও বিশ্ব নায়ক ওবামা।

আমাদের উচ্ছাস করার মতো ব্যাপার একটায় সেটা হলো বাংলা ব্যালট পেপারে ভোট।এটি বাংলাভাষার মার্কিন মুলুক জয় করার মতোই।ইতিমধ্যে ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত।বিশ্বের অনেক বিদেশীই তা পালন করে থাকেন।এটি আমাদের গর্বিত করেছে।বাংলা ব্যালটপেপারে খোদ মার্কিন মুলূকে ভোট দেয়া কিন্তু উচ্ছসিত হওয়ার মতই ঘটনা।এটি বাংলাভাষার অগ্রযাত্রার একটি পদক্ষেপও বটে।