বাংলাদেশ জিন্দাবাদ+জয় বাংলা, দেশ রক্ষায় জীবন বাঁচাতে

সেলিম আনোয়ার
Published : 4 March 2013, 05:53 PM
Updated : 4 March 2013, 05:53 PM

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ+জয় বাংলা ,
কাউকে বাদ দিয়ে নয়।সবাই মিলে এই দেশটাকে সংঘর্ষ মুক্ত করতে।এটাকে আফগান হতে দেয়া যাবে না।দলের স্বার্থের আগে দেশের স্বার্থ দেখতে হবে।তাই দরকার জাতীয় ঐক্যমত।বঙ্গবন্ধুর ডাকে এ দেশ স্বাধীন হয়ে ছিল।তেমনি ভাসানী কিন্তু সবার আগে এই দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন দেখেছিলেন।আর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান তিনি কিন্তু সেনাসদস্য হয়ে বিদ্রহ করেছিলেন সেনা আইনে যার সাজা ফাঁসি।কিসের জন্য করেছিলেন? এই দেশের জন্য।দেশের মানুষের জন্য।আমাদের জন্য জীবনের ঝুকি নিয়েছেন। সে তো আমাদের লৌহ মানব।জাতীয় বীর।খালেদা জিয়া পালিয়েছিলেন তার ছোট্ট সন্তানদের নিয়ে ।হানাদাররা তাকে খুঁজে গ্রেফতার করেছে।কতটা কষ্ট অনিরাপত্তা ভাবুন তো একবার।এটাকি আমরা তরুন রা করেছি।এতটা কষ্ট কি দেশের জন্য আমরা করতে পেরেছি।ভাবুন তো একবার।বঙ্গবন্ধু খালেদা জিয়াকে নিজের মেয়ের মত স্নেহ করতে।সেই হিসাবে খালেদা -হাসিনা পিঠাপিঠি বোন।তাদের বচসা হতেই পারে।তাই না?

স্বাধীনতার পর সময়ের প্রয়োজনে আওয়ামীলী এন্টি আওয়ামীলী দুই ধারার রাজনীতি চালু হয়েছে।গণতান্ত্রিক বিশ্বে তা দরকার আছে।নাহলে একদল একদেশ হয়ে যাবে।

আওয়ামীলীগ জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।খালেদা জিয়া কিন্তু দেশের সম্পদ।বলতে গেলে মহা সম্পদ।তিনি আছেন বিধায় এই সরকার চাইলেও অনেক কিছু করতে পারছেন না।এই সরকারের স্বৈরাচারের লাগাম কিন্তু খালেদা জিয়া ।আর সম্মানিত ব্লগার বন্ধুরা খালেদার দৃষ্টিতে আমাদের কর্যকলাপও যাচাই করার দরকার আছে। তারও যুক্তি থাকতে পারে।আদর্শগত অবস্থান থাকতে পারে।

আন্দোলন ব্লগাররা শুরু করেছে।সবাই কিন্তু একই কথা বলছে।এটি আওয়ামীলীগের সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।যদি না ও যেয়ে থাকে এই দেশের মানুষ তাই ভাবছে।এটা আমাদের ব্যর্থতা।

সকল রাজনৈতিক নেতাদের মঞ্চ থেকে দূরে রাথতে হবে।দলীয় রাজনৈতিক ইস্যু গুলোর উর্ধ্বে থাকতে হবে। পরিত্যাগ করতে হবে।তাহলে আমাদের পরিচ্ছন্নতা থাকবে।

এটা তো বড় একটা সুযোগ ছিলো ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের কর্মীদের একসাথে বসানো।খালেদা -হাসিনা একমতে আনা।যুদ্ধাপরাধীদের সাইজ করে দেয়া।এমন কি যারা তরুণ শিবির নেতা কর্মী আছে তাদের বিভ্রান্তীর পথ থেকে সঠিক পথে নিয়ে আসা।
বন্ধুরা বঙ্গবন্ধু কি বলেছিলেন মনে আছে ? এই উত্তাল ৭ই মার্চে "তোমরা আমার ভাই তোমরা ব্যারাকে থাকো"
মুক্তিযুদ্ধের স্থপতির কাছ থেকে আমাদের শিক্ষনীয় আছে। হানাদারদের তিনি ভাই বলছেন। আর যারা এই দেশের সন্তান কিন্তু বিভ্রান্ত তাদের সংশোধনের সুযোগ সৃষ্টি না করে গুলি করে পাখির মতন হত্যা?বঙ্গবন্ধু এটা দেখলে কতটা কষ্ট পেতেন? ভাসানী?জিয়াউর রহমান।বেশিদিন আগের কথা নয় জিয়া গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেহরক্ষী ছাড়াই ।পাথর ছুড়ে তাকে রক্তাক্ত করেছে ছাত্ররা।তিনি ধৈর্য ধরেছেন।পাথর ছোড়ার দল তাকে আপন করে নিয়েছে।এসব থেকে শিখার আছে। এজন্যই তো তারা মহান।

সরকার আঘাত করছে জামাত শিবিরকে আর তারা এটাক করছে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে।কতটা ঘৃন্য কাজ ?মোটেই সমর্থন যোগ্য নয়।

এই সরকার অনেক ক্ষেত্রেই ফ্যাসিবাদের আচরণ করেছে।শুধু মাত্র গনতন্ত্র ,সুস্ঠু গণতণ্ত্রই পারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে যেখানে দেশের সকল নাগরিক তাদের অধিকার ভোগ করতে পারবেন।
আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।এটা আওয়ামীলীগবাদে সবাই কামনা করেন।শেখ হাসিনা আমরা তো চাই আপনি ভোট পান।তবে বাম হাত দিয়ে কেন?ডান হাত দিয়েই ভাত খান।

প্রজন্মচত্বর আপনার একার নয়।এই দেশের মানুষের ।প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের।এটাকে পবিত্র রাখা আমাদের সবারই দায়িত্ব।

আর ব্লগার বন্ধুরা চলুন সবাই মিলাই হাত।এখন তো এটা স্পস্ট একজন ব্লগার কতটা ভূমিকা রাখতে পারে।কতটা গুরুত্বপূর্ন সে এই দেশের জন্য তা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার।আমরা কিনতু পুরাই ডিজিটিাল । চলুন এই মুহুর্ত থেকে আমাদের ব্লগার বন্ধুটিকে জাতীয় বীরের সম্মান দেই।তার মতমতকে তাকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করি।যুক্তি যুক্তি খেলবো কি বলেন?বিতর্ক ও হবে তবে শ্রদ্ধাও থাকবে যে দুই কলম লিখতে জানে আবার অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজপথে নামে সে কি যেই সেই লোক।তবে একটা কথা বলতে পারি আমি কিন্তু নবীশ ।আল্লাহর নাখাস্তা বান্দা।