নারীনীতি : বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতা ও মৌলবাদের বাধা

ফওজিয়া মোসলেম
Published : 14 March 2011, 07:52 AM
Updated : 8 May 2013, 04:54 PM

সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠনের ১৩ দফা দাবি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। ওদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নারীর অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এসব দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ওরা এমনকি সমাবেশ করছে, সরকারকে হুমকি দিচ্ছে। এদের সাম্প্রতিক এসব তৎপরতার খবর আমরা সবাই জানি। যে কারণে নারীসমাজের দিক থেকে প্রতিবাদ আসছে। এ প্রেক্ষিতে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ প্রণয়নের প্রেক্ষাপট ও এর বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো জানা দরকার।

প্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এটা হঠাৎ করে হয়নি। এর জন্য দাবি-দাওয়া যেমন ছিল, তেমন আলোচনা ও পর্যবেক্ষণও ছিল নানারকম। সরকার এ নীতিমালা তৈরির আগে নারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছে। সংবিধানে নারীর সমঅধিকার সংক্রান্ত ধারাগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। বেইজিং প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশনে নারীর জন্য যেসব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছিল সরকার সেসব আলোচনায় ছিল।

এছাড়া ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত 'কনভেনশন অন দ্য এলিমিনেশন অব অল ফর্মস অব ডিসক্রিমিনেশন অ্যাগেইনস্ট উওম্যান' বা সংক্ষেপে সিডও সনদ (বাংলা অর্থ হচ্ছে- নারীর প্রতি সকলপ্রকার বৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত সনদ)-এ সাক্ষরের মাধ্যমে নারীর উন্নয়নের পথের বাধাগুলো দূর করতে অঙ্গীকার করেছিল বাংলাদেশ। নীতিমালা প্রণয়নের সময় সেটিও আলোচনা-পর্যালোচনায় ছিল।

অর্থাৎ নানা পক্ষের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে, সংবিধানের আলোকে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হয়। নারীর অবস্থার উন্নয়নে জাতিসংঘের বিভিন্ন সম্মেলন বা সনদের মাধ্যমে গৃহীত যেসব অঙ্গীকারে বাংলাদেশ সাক্ষর করেছে বা অংশ নিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা থেকে সরকার একটি নীতিমালা গ্রহণ করেছিল।

বাংলাদেশে ইতোপূর্বে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারী উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও তা ছিল বিচ্ছিন্ন ও সমন্বয়হীন৷ ১ঌঌ৫ সালে বেইজিং সম্মেলনে নারী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে যে ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল যা সংক্ষেপে পিএফএ (প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশন) নামে পরিচিত, তার আলোকে প্রথমবারের মতো একটি নারী উন্নয়ন নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা দরকার ছিল৷ যার প্রধান লক্ষ্য নির্যাতিত ও অবহেলিত এ দেশের বৃহত্তম নারীসমাজের ভাগ্য উন্নয়ন করা৷ এ নীতিমালা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি হাজার বছরের শোষণ ও বৈষম্য বিলোপ হবে, নারী সমঅধিকার লাভ করবে এ ছিল সবার আশা৷ নারী নীতিটি ১৯৯৭ সালের ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে ঘোষিত হয়৷

কিন্তু এ নীতি কার্যকর হয়নি। পরে সেটি বিভক্ত রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে।
বেইজিং সম্মেলনের দু বছর পর প্রণীত নীতিটির বাস্তবায়ন পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত শুরুই হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট। তারা মৌলবাদী অপশক্তির সঙ্গে নানাভাবে নেগোশিয়েট করে। এরপর চুপিসারে নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনে। এ বিষয়ে তারা নারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনও অনুভব করেনি। তারা কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন করে নারীর অধিকার খর্ব করার ব্যবস্থা করে। ২০০৪ সালে নারীনীতিটি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশনায় 'জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৪' শিরোনামে প্রকাশিত হয়। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনসংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটির (ইউএনসিডও) কাছে বাংলাদেশের পঞ্চম প্রতিবেদন পেশ করা হলে পরিবর্তনের বিষয়টি ধরা পড়ে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ২০০৮ সালে নতুন নারীনীতির ঘোষণা দেন। এটি ২০০৪ সালের নীতির চেয়ে বেশি অগ্রসর বা নারীবান্ধব ঠিকই, তবে ১৯৯৭ সালের নীতিটির মতো নয়। তবু ইসলামী ঐক্যজোট (চারদলীয় জোটের শরিক) ইস্যুটি নিয়ে রাস্তায় নামার সুযোগ পেয়ে যায়। তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে সুর মেলান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিনজন উপদেষ্টা। নারীঅধিকার আন্দোলন আরও একটা ধাক্কা খায়।

বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ১৯৯৭ সালের ঘোষিত নীতিমালা কিছুটা সংস্কার করে নতুন জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১ ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৯৭ সালের নীতির সঙ্গে এবারের নীতিটি প্রণয়নে একটি পার্থক্য ছিল। তা হল, সেবার যেমন বেইজিং প্লাটফরম ফর অ্যাকশন, সিডও সনদ এবং সংবিধানের ধারাগুলো ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল, এবার সেসব বিবেচনায ছিল না। ১৯৯৭ সালের নীতিতে সম্পত্তিতে নারীকে সমানাধিকার দেওয়ার জন্য আ্ইন প্রণয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ২০১১ সালের নীতিতে ওদিকে যাননি সরকার- শুধু বলা হয়েছে অর্জিত সম্পত্তিতে নারীর পূর্ণ অধিকারের কথা।

২০১১ সালের ৮ মার্চ গৃহীত বর্তমান নীতিমালা, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের নারীর জন্য এক বড় অর্জন। আমরা একে সাধুবাদ জানিয়েছি এ জন্য যে আমরা চেয়েছিলাম নারী উন্নয়নের জন্য দেশে একটি নীতিমালা থাকুক। মৌলবাদীরা এ নীতিমালার বিরোধিতা করেছে নানাভাবে, অপপ্রচারও চালিয়েছে। ফলে এর বাস্তবায়নের কাজ এখনও খুব বেশি এগোয়নি। নারী সংগঠনগুলো দিক খেকে নীতিমালা বাস্তবায়নের ব্যাপারে চাপ সবসমযই ছিল। কয়েক মাস আগে শুধুমাত্র একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু নীতিমালা বাস্তবায়নের ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো কর্মতৎপরতা নেই।

নারীনীতি বাস্তবায়নের দিক থেকে সরকার পিছিয়ে আছে কেন এর্ উত্তরে একটি কথা বলা যেতে পারে, প্রায়োরিটি হয়তো বড় বিষয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কিছু নির্বাচনকালীন ম্যান্ডেট থাকে। কখন কোন ম্যান্ডেটকে তারা সামনে নিয়ে আসবে সেটি সরকারই ঠিক করে এবং সে অনুযায়ী তাদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। কাজেই নারী উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারের প্রায়োরিটির জায়গাটি ঠিক করতে হবে।

আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন তারা অগ্রসর একটি নীতিমালা শুধু প্রণয়ন করেনি, ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ওই নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যক নারী অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় হাজার পাঁচেক। এটি আমাদের নারীদের জন্য নিঃসন্দেহে বড় একটি অগ্রগতি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এই নির্বাচিত নারীদের বড় একটি অংশ কাজ করতে পারছেন না, তারা ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের দ্বারাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরষ বা ক্ষমতাসীনরাই ঠিক করে নারীকে কতটুকু কী দেওয়া হবে। এখানে এমন একটি অ্যাটিচ্যুড কাজ করে যে, নারীকে আমি দেব, তবে কতটুকু দেব সেটা আমরাই ঠিক করব। এর ফরে নারীর সত্যিকার ক্ষমতায়ন অনেক পিছিয়ে যায়।

মৌলবাদীরা নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরোধিতা করে এসেছে শুরু থেকেই। হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক বিরোধিতা তো আছেই। ইদানিং বিভিন্ন টক শোতে এদের নেতাদের উপস্থিত হতে এবং কথা বলতে দেখছি। সেদিনও একজনের বক্তব্য শুনছিলাম। উপস্থাপক তার কাছে জানতে চাচ্ছিলেন, বাংলাদেশের নারীরা এখন গার্মেন্টসসহ সবধরনের কর্মক্ষেত্রে কাজ করছেন, সেক্ষেত্রে তাদের পিছিয়ে দিতে চাইলে দেশের অর্থনীতির কী হাল হবে? ওই নেতা উত্তর দিলেন, আমরা চাই নারী পর্দার মধ্যে থেকে সব কাজ করুক। কীভাবে গার্মেন্টসের মেয়েরা বোরকা পরে মেশিন চালাবে তা বোধগম্য নয়। হেফাজতের নেতাদের বক্তব্য হল, নারীরা পর্দা না করার ফলে দেশে ব্যাভিচার, সামাজিক অনাচার ইত্যাদি বেড়ে যাচ্ছে।

মৌলবাদীরা নারীনীতির বিরোধিতা করছে, করছে শিক্ষানীতিরও। নারীনীতি পুরোটাই বাতিল করতে চাচ্ছে ওরা। কারণ এরা নারীর অগ্রগতির বিরুদ্ধে। আর শিক্ষানীতিকে এরা ধর্মহীন বলে মনে করছে। তাদের দাবি এইচএসসি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ওরা মনে করে, নারী-পুরষের স্বাভাবিক মেলামেশায় সমাজে ব্যাভিচার বাড়বে। কিন্তু এটা যদি বেড়েই থাকে তবে নারী তো একা এর জন্য দায়ী নয়, পুরুষও করছে ব্যাভিচার। তাহলে পুরুষের জন্য কী শাস্তির বিধান? ব্যাভিচার বাড়ছে বলে নারীকেই পর্দা করতে হবে, পুরুষের জন্য কী ব্যবস্থা থাকবে?

সামগ্রিকভাবে দেখলে, ২০১১ সালের নারীনীতিটি বাস্তবায়িত হতে হলে একে অনেক ধাপ পেরুতে হবে। প্রথমত, একে সংসদে অনুমোদন দিতে হবে। তারপর একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এরপর এর আলোকে আইন প্রণয়ন করা যাবে। নীতিমালায় উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো নারীকে এগিয়ে দেবে। যেমন, কর্মসংস্থানের ব্যাপারে। এখানে সশস্ত্র ও পুলিশবাহিনীতে নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির জন্য সরকার উদ্যোগ নেবে সেটা আছে। নারীশিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার রয়েছে। বহুবিবাহ এবং বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকার নতুন আইন করবে। তাছাড়া এটিও তো একটি বড় অগ্রগতি যে, নীতিমালা অনুযায়ী নারী তার অর্জিত ও উপার্জিত সম্পত্তিতে পূর্ণ অধিকার পাবে যদিও এ মুহূর্তে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষকে সমানাধিকার দেওয়া হয়নি।

নীতিমালায় এ সব কথা বলা হযেছে। সবই অঙ্গীকারনামা। বাস্তবায়নের জন্য আরও অনেক পদক্ষেপ দরকার। কিছু আইন তৈরি করা দরকার। প্তাছাড়া রয়োজনীয় অবকাঠামো করতে হবে। আমাদের অভিজ্ঞতায় বলে, শুধু আইন থাকলেই হয় না, এর বাস্তবায়ন দরকার। এ দেশে নারী নির্যাতন বন্ধে অনেক ভালো ভালো আইন রয়েছে। যৌতুকবিরোধী আইন থেকে শুরু করে পারিবারিক নির্যাতন বন্ধের আইন পর্যন্ত- কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগের সুযোগ অনেক ক্ষেত্রে তৈরি হয় না, প্রয়োগ হয় না।

নারী উন্নয়ন নীতিমালায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হল বাজেট বরাদ্দে নারীর উন্নয়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কত টাকা বরাদ্দ করছে তা নির্দেশ করা। গত বছরের বাজেটে বেশ কিছু মন্ত্রণালয় এটা দেখিয়েছে। এবার এর সংখ্যা বাড়বে। তবে আমরা বলব, শুধু এটা দেখালেই হবে না, বাজেটকে নারীবান্ধব হতে হবে।

নারী উন্নয়ন নীতিমালায় ছাড়াও কিছু কিছু আইন বা পদক্ষেপের দিক থেকে আমরা একটু এগিয়ে আছি। যেমন, পারিবারিক নির্যাতন থেকে সুরক্ষা আইন, কর্মস্থলে যৌননিপীড়নরোধী আইন ইত্যাদি। কিন্তু হিন্দু বিয়ের রেজিস্ট্রেশন আইন করেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ফলে হিন্দু নারী এথনও অধিকারবঞ্চিত রয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অভিন্ন পারিবারিক আইন। এ দাবি মানার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি নেই। ফতোয়া নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা এসেছে যেখানে বলা হয়েছে ফতোয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ফতোয়া দিতে পারবেন। কিন্তু কারা সে ধরনের ব্যক্তি তার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়নি। আমরা চাই ২০০১ সালে দুই বিচারপতি প্রদত্ত ফতোয়া-সংক্রান্ত রায়টিই বহাল থাকুক যেখানে ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক তাণ্ডব, সহিংসতা এবং নারীবিরোধী, নারীনীতিবিরোধী পদক্ষেপ ও ১৩ দফা প্রদান নিয়ে বলব, কোনো বিষয়কেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সরকার যদি সঠিক সময়ে এসব বিষযে পদক্ষেপ নিতেন তাহলে এরা এভাবে শক্তি প্রদর্শনের সাহস পেত না। যে ব্লগারকে কদিন আগে খুন করার চেষ্টা করা হল তার হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিটি সমস্যায় যথাযথ গুরত্ব দিয়েই একে মোকাবেলা করতে হবে। এটা ঠিক এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, কখনওই আমাদের মানুষ ধর্মভিত্তিক কোনো দলকে ভোট দেবে না। ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার এদেশের মানুষ পছন্দ করেন না। মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে যথেষ্ট পরিমাণে আপত্তি রয়েছে। একে কাজে লাগিয়ে যারা এ দেশে সংঘাত ও হানাহানি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ।

না হলে হিংস্র কোনো দলের দ্বারা নারীর অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়া যাবে না।

ডা. ফওজিয়া মোসলেম : মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সহসভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।