গোলাম আযম একজন একজন যুদ্ধাপরাধী, দেশদ্রোহী, মানবতাবিরোধী সাজাপ্রাপ্ত আসামী একথা আমরা ভুলে যাই নি। বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশেরে মানুষ কোনো দিন ভুলে যাবে না। আজ মৃত্যু হয়েছে একজন ঐতিহাসিক মানুষের যে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিল। তাই গোলাম আযমকে নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতি আর তার আইনজীবীর কথা শোনা সেই সাথে ঘিরে থাকা মানবতাবিরোধীদের উত্তরাধিকারদের সমর্থন ধ্বনি শুনতে চাই না। শুনতে চাই ইতিহাস, ঐতিহাসিক বর্ণনা।
আমাদের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের ণত্বস্বত্ত্ব বা কাণ্ডজ্ঞান দেখে এবারও ক্ষুব্ধ হচ্ছি। একজন যুদ্ধাপরাধী, দেশদ্রোহী, মানবতাবিরোধী সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যুর পর এত গুরুত্ব দেওয়া সিটিজেন হিসেবে আমরা পছন্দ করি না। সাংবাদিকরা কি মাস-মিডিয়ার লোক হয়েও বিষয়গুলো বোঝেন না। অনেক বার এধরনের গণবিরোধী আচরণ যেমন মাইক্রোফোনটা অপরাধী-দেশদ্রোহীদের হাতে কিংবা তাদের পক্ষের লোকের কিংবা মুখপাত্রের হাতে তুলে দেওয়া- একি সঠিক সাংবাদিকতা?
আমরা চাই, মিডিয়া তুলে ধরুক, ইতিহাসে গোলাম আযম এর সত্যিকার অবস্থান। আমরা তাকে ভুলে থাকতে চাই না। তাকে মনে রাখতে চাই ইতিহাসের খল নায়কের মতো। তার ভাস্কর তৈরি হোক যেমন এধরনের কারো কারো মূর্তি বানিয়ে রাখা হয়েছে ঐতিহাসিক সাক্ষ্য ও শিক্ষার জন্য।