রোহিঙ্গা: নো এন্ট্রি, জাতীয় স্বার্থ নাকি মানবতা!

শাহরিয়ান আহমেদ
Published : 17 June 2012, 12:57 PM
Updated : 17 June 2012, 12:57 PM

নো এন্ট্রি, আমি একমত। আমার সাথে যারা একমত তারা কী মানবতা বিসর্জন দিলেন? আর যারা আমার সাথে দ্বিমত তারা জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিতে চাচ্ছেন?

কোনটা বড় মানবতা নাকি জাতীয় স্বার্থ? জাতীয় স্বার্থ নাকি মানবতা? চিন্তায় পড়ে গেলাম ..। আপনিও নিশ্চয় ভাবছেন? আমি কোনও উত্তর খুঁজে পেলাম না! আপনি কী পেয়েছেন? আপনিও পাবেন না। কারণ এর কোনও উত্তর নাই। জাতীয় স্বার্থ এবং মানবতা এই দুইটাকে সামনে রেখে কী কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না? পোস্ট করা ছবিটার দিকে একটু তাকান, লোকটাকে দেখুন… একটু সাহায্যের জন্য তার কান্না। দুধের বাচ্চা, ছোট ছোট ছেলে মেয়েগুলোকে দেখুন..। চোখে পানি আসার মত দৃশ্য নয় কী ? কী অপরাধ ওদের?

আহত, ক্ষুধার্ত, আশ্রয়হীন মানুষদের সাহায্যের জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের সুযোগ দিন। বাস্তবতা থেকে বলছি ওদের কোনও একটা ব্যবস্থা করে দিক পৃথিবীর মানুষ। নানা সমস্যা জর্জরিত আমাদের দেশে ওদের জায়গা না হলে কী আর কোথাও করা যাবে না ? ওদের নিজ দেশে ওদের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা কী কেউ করে দিতে পারে না? জাতিসংঘ আমাদের অনুরোধ করেই কী দায় মুক্তি নিল? তারা কী পারে না শান্তি রক্ষী পাঠিয়ে মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে? কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অপরাধ করে বেড়ায় বলে কী আমরা সবাইকে ঘৃণা করব? কিছু লোক রাজাকার- আলবদর হয়ে গণহত্যা, গণধর্ষণ করেছিল বলে কী আমরা বাঙালি জাতিকে ঘৃণা করব?

আমরা শুধুই তাদের ঘৃণা করি যারা যারা অপরাধী, এটাই উচিত। জাতীয় স্বার্থে তাদের প্রবেশ ঠেকানো যথার্থ হলেও মানবিক কারণে তাদের পাশে না দাড়ানো অপরাধ। বাংলাদেশের উচিত বার্মার সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করা, বার্মা সরকারকে চাপ দেয়া এবং সীমান্তের ওপারেই কিভাবে তাদের সাহায্যের ব্যবস্থা করা যায় তা ভেবে দেখা। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন আমাদের স্বার্থে, তাই পদক্ষেপ আমদেরকেই নিতে হবে।

শাহরিয়ান আহমেদ
17.06.2012

ছবি- http://www.idahostatesman.com/2012/06/14/2154668/myanmar-conflict-spurs-hatred.html