বুক ফাটা কষ্ট, আর ক্ষোভ নিয়ে এখন লিখতে বসেছি। প্রতিবাদ করতেই এসেছি আমি। রাজপথে তো যেতে পারি না, চিত্কার করে গলা ফাটিয়ে বলতে পারি না অকর্মা- অপদার্থ সরকারী চাকরদের বিচার চাই। হত্যা কারীদের ফাঁসি চাই।
একের পর এক দুর্ঘটনা। একের পর এক। শত শত মানুষ মানুষ জ্বলে পুড়ে, পিষে, চাপা পড়ে, ডুবে মারা যাচ্ছে। এতিম হচ্ছে সন্তান, খালি হচ্ছে মায়ের কোল। চারিদিকে হাহাকার আর হাহাকার। লাশের পোড়া গন্ধ নয়ত পচা গলা গন্ধ। কী লিখব কাকে নিয়ে লিখব। ওদের কানে গজাল পুড়ে লাগিয়ে দিলেও কানে কথা ঢুকবে না। ওরা সরকারী লুটেরা ও হত্যাকারীদের সহয়তাকারী দালাল।
গতকাল দুইটি বড় দুর্ঘটনায় শত মানুষের প্রাণ গেল। গার্মেন্টস অগ্নিকান্ড আর ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ল। আমার সাথে যারা দ্বিমত তাদের কে বলছি- কেউ কেউ হয়ত বলবেন এটা দুর্ঘটনা। তাহলে শুনুন, একই ভুল যখন বার বার হয় তখন সেটা আর অনিচ্ছাকৃত নয়, সেটা ভুলও নয়। সেটা অপরাধ।
গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ড দুই দিন পর পরই ঘটে, কেন? এ বিষয়ে সরকার কী কী কর্ম সাধন করেছে শোক প্রকাশ ছাড়া। কেউ কেউ বলবেন অমুক করছে তমুক করছে, ঘোড়ার ডিম করছে। কিছু যদি করতই তাহলে দুর্ঘটনা কমতো। প্রাণহানি কমতো। আগুন লাগার পর কর্মীরা বেরিয়ে আসার পথ পেত। কোটি কোটি টাকা কমায় প্রতি মাসে কিন্তু অগ্নি নির্বাপনের জন্য কয় টাকা খরচ করছে ওই রক্ত চোষা গার্মেন্টস মালিক। এই প্রাণ হানির দায় তাকে মাথায় নিতেই হবে। যদি তার গফেলতি পাওয়া যায়। তবে একটাই চাওয়া- ফাসি। শত শত মানুষের প্রাণ নাশকারী রক্ত চোষাদের সতর্ক করা দরকার। আর সরকারের যে চাকরগুলার কাম এগুলা মনিটর করা, শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা তাদেরও বিচার হতে হবে।
কী কারণে আগুন লাগছে আর কোথায় তার উত্পত্তি তা আমরা জানতে চাই না। বিচার এবং শাস্তি চাই। অগ্নি নির্বাপনের যথাযথ ব্যবস্থা, লোকবল, বেরহওয়ার জরুরী রাস্তা এবং এই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত জিনিস যদি না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই গার্মেন্টস কতৃপক্ষের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে যারা মনিটরিং এ ব্যর্থ হয়েছে তাদের ও শাস্তি নিশ্চিত করতেহবে।
চট্রগ্রাম এর ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। এই ফ্লাইওভার এর আগে আরেকবার ভেঙে পড়েছে। কেন? সরকারের কী কোনও দ্বায়িত্ত নাই? কোনও নজরদারীর প্রয়োজন নাই? খাওয়ার তালে সবাই ব্যস্ত।
আগুনে পুড়ে শত শত মানুষ মারা যায়, লঞ্চ ডুবে শত শত মানুষ মারা যায়, পাহাড় ধসে শত শত মানুষ মারা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ মারা যায়….। প্রাণের মূল্য অবশ্যই আছে। ক্ষমতালোভী-মুনাফা খোর আর রক্ত চোষা ওই শয়তানগুলা যারা নিজ স্বার্থ ছাড়া কিছু বুঝে না, গরিবের রক্ত চুষে খায়, যাদের কাছে অন্যের জীবনের চেয়ে চাইর আনা পয়সার মূল্যও অনেক বেশি এবং সরকারী দপ্তরে কর্মরতওই লুটেরা হারামখোর গুলা যারা দ্বায়িত্তে অবহেলা করায় মানুষের জীবন মৃত্যুর মুখে ঢলে পরছে তাদের শাস্তি দাবি করছি। তাদের বিচার দাবি করছি। কঠিন বিচার যাতে আমার ভাই বোনের জীবন নিয়ে কেউ খেলা খেলতে না পারে।
ধন্যবাদ,
শাহরিয়ান আহমেদ।
ছবি – বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম