ধর্ষক নাকি ধর্ষণ প্রতিরোধ?

পথহারা সৈকত
Published : 2 August 2012, 12:09 PM
Updated : 2 August 2012, 12:09 PM

জাবিতে বিপুল আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে "খুনি ও ধর্ষক প্রতিরোধ দিবস" এই দিনে ১৯৯৯ সালে তথা কথিত ছাত্রলীগের ধর্ষক গ্রুপ ও খুনি গ্রুপকে জাবি ছাড়া করা হয়। এটি ছিল জাবির ছাত্র-শিক্ষকদের এক মিলিত আন্দোলনের ফসল। কিন্তু আজ ২২-২৩ বছর পরও আমরা কি দেখছি? সেই ১৯৯৯ সালের সেঞ্চুরি মানিকরা নাই…কিন্তু তাদের সেই কাজগুলি একই দলের অন্যরা করছে, থেমে নাই খুন-হত্যা-ধর্ষন… চলছেই। আগে তবু ছাত্ররা করত এখন শিক্ষকরাও করে। এই অবস্থা কি শুধুই জাবিতে..? না, বরং তা গোটা দশেই ছড়িয়ে পরেছ। আজ দেশের আনাছে-কানাছে ছড়িয়ে পরেছে মানিকরা… কিন্তু কেন….?

এই কেন? এর ব্যাখ্যা খুজতে গেলে আমাদেরকে সমস্যার মূলে যেতে হবে। রোগীর নয়, ডাক্তারি করতে হবে রোগের। একটা শিশু জন্মের পর পরই কিন্তু একজন খুনি বা ধর্ষক হয়না। এই সমাজেই বড় হতে হতে এক সময় খুনি বা ধর্ষক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। গ্রাম বা শহরের একজন সহজ-সরল ছাত্র যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তখন কিন্তু সে খুনি বা ধর্ষক হিসাবে প্রবেশ করে না কিন্তু এক সময় এই ছাত্রই খুনি বা ধর্ষকে রুপান্তরিত হচ্ছে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলি আমাদের শিক্ষিত করছে কিন্তু মানুষ করছে না। শিক্ষার প্রকৃত আলো আমাদের মধ্য প্রবেশ করছে না। নিশ্চয়ই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কোথাও গলদ আছে। তাছাড়াও পারিবারিক,সামাজিক এবং ধর্মীয় মুল্য বোধের অবক্ষয়… বিদেশীদের অনুকরণ… মাদকের সহজলভ্যতা…দলীয় প্রভাব ইত্যাদি বিষয়গুলিও অনেকাংশে দায়ী। রোড শো করে যেমন ভাল মানুষ পাওয়া যাবেনা তেমনি এভাবে ধর্ষক ও খুনি প্রতিরোধ দিবস পালন করে জাবি তথা দেশ থেকে মানিকদের সরানো যাবেনা। এর জন্য প্রয়োজন এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার যা ছাত্রদের অমানুষ না বানিয়ে মানুষ বানাবে, প্রয়োজন পারিবারিক,সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি, প্রয়োজন কঠিন আইন ও আইনের প্রয়োগ। তা না হলে, এভাবে দিবস পালন চলতে থাকবে…সেই সাথে ধর্ষন-খুন ও চলতে থাকবে…