বুয়েট চালাচ্ছে রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়ন! আজব…

পথহারা সৈকত
Published : 6 August 2012, 10:37 AM
Updated : 6 August 2012, 10:37 AM

আমি বুয়েটের ছাত্র না….বুয়েটে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তাই বুয়েট নিয়ে আমার আগ্রহ সব সময়ই ছিল বা আছে। আজ একটা অনলাইন পত্রিকাই এই খবরটা পেলাম এবং এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। বুয়েটের ভিসি এখন ও বহাল তবিয়তে স্বপদে বহাল, তাহলে কি আন্দোলনকারী শিক্ষক-ছাত্র-কর্মচারীরা পরাজিত? হয়ত বা ভবিষ্যতে আমরা জানতে পারব চুরান্ত জয়-পরাজয়ের খবর। আসা করব সত্য ও সুন্দরের জয় হবেই..। আর হা ! যে খবরটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি তা নিম্নরুপ

"ঢাকা, ৩ আগস্ট: আদালতের নির্দেশে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও কার্যত নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন বুয়েট ভিসি এস এম নজরুল ইসলাম। অধিকাংশ শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পাচ্ছেন না তিনি। ফলে বুয়েট এখন চলছে রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়ন আর ওয়েল্ডিং শপের ইনস্ট্রাক্টর দিয়ে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং বুয়েটে কর্মরত শিক্ষক-প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। টানা ২৪ ঘণ্টা পার হবার পরও বুয়েটের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট বন্ধ থাকার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক দৈন্যদশা প্রকট রূপে দেখা দিয়েছে এবং এর পরিচালনা নিয়ে এমন অভিযোগ মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞজনেরা।

ফেসবুকে একজন লিখেছেন, "আজ পর্যন্ত ২৫ হাজার গ্রাজুয়েট তৈরি করেছে বুয়েট। অথচ এখানে এমন কোনো ভিসিকে দেখিনি, যাকে চলতে হচ্ছে রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়ন, ওয়েল্ডিং শপের ইনস্ট্রাকটরের ওপর নির্ভর করে। পিয়ন সিদ্দিক, ইনস্ট্রাকটর আব্বাসের যে কথাবার্তা, চালচলন দেখলাম, তাতে বোঝা যায় এরা ভিসির খাস লোক। সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে তাদের যোগসূত্র নিবিড়। যথেষ্ট ক্ষমতাবান। তাদের চলনে, ভাষায় তা সুস্পষ্ট। অথচ এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি বুয়েটের বর্তমান ভিসি, প্রো-ভিসিকে চান না। অথচ ভিসি আছেন। থাকছেন।"

বুয়েট শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদ এক বৈঠকে আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। বৈঠকে আদালতের আদেশের বিষয়সমূহ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা গ্রহণের জন্য কাল শনিবার দুপুর দেড়টায় পুরকৌশল ভবনের ২য় তলায় সেমিনার কক্ষে সমিতির একটি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়াও আইনী লড়াই চালানোর জন্য শিক্ষক সমিতি ৫ জনের একটি কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে। তারা রুলিংয়ের কপি নিয়ে দেশের শীর্ষ আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করছেন বলে জানা গেছে।"