দেশি পন্য, কিনে হন ধন্য……সত্যিই কি দেশি…?

পথহারা সৈকত
Published : 7 Dec 2012, 07:46 AM
Updated : 7 Dec 2012, 07:46 AM

দেশি পন্য, কিনে হন ধন্য……ওয়ালটন। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে ওয়ালটন পন্য কতটা দেশি ? আসুন আজ আমরা জানি ওয়ালটন কিভাবে দেশি পন্য এবং এর ইতিহাস। স্বাধিনতার পরে বলা হত বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়ি। সেই তলা বিহীন ঝুড়ির দেশ আজ বিভিন্ন ক্ষেত্র ব্যাপক উন্নতি করেছে,শুধু উন্নতি করেছে বললে ভুল হবে বিশ্বের প্রথম সারিতে পৌছে গেছে। আমাদের অনেক ব্যর্থতা আছে কিন্তু তারপর ও আজ আমরা অনেক কিছু নিয়েই গর্ব করতে পারি। আমাদের পোষাক শিল্প, আমাদের সফ্ওয়ার শিল্প, আমাদের ক্রিকেট, আমাদের দেশি পন্য যা আমাদের মাথাকে বিশ্বর দরবারে উচু করেছ।

দেশের অর্থনীতির গতিকে চালু রাখার জন্য যে সব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তার মধ্য ওয়ালটন হাইটেক লিমিটেড অন্যতম।এটি মুলত আর.বি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। আর.বি গ্রুপ তার যাত্রা শুরু করে স্বাধিনতার ৬ বছর পরে ১৯৭৭ সালে। আর.বি গ্রুপের যে কয়টি প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্য ওয়ালটন হাইটেক লিমিটেড অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের পন্য গুলির মধ্যে রয়েছে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার,এয়ারকুরার,ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন,মটর সাইকেল, মোবাইল ফোন ও অন্যন্ন গৃহসামগ্রি। এখানে উল্লেখ্য যে সবগুলি পন্যই দেশে তৈরী এবং এগুলি তৈরীতে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
একটি পন্য তৈরী ও গ্রাহক পর্যায়ে পৌছানোর বিভিন্ন ধাপ থাকে যেমন,
০1. Product R &D.
০2. Test Product.
০3. Product Feasibility test.
০4. Spare Parts Production.
০5. Product Fabrication.
০6. Product Quality Cheek.
০7. Product Packaging.
০8. Product Distribution.
০9. Technical Support.
এই সবগুলি ধাপ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য রয়েছে এক ঝাক নিবেদিতপ্রান দক্ষ প্রকৌশলি ও কর্মী বাহিনী। পন্যর গবেষনার জন্য রয়েছে দেশি-বিদেশি দক্ষ প্রকৌশলিবৃন্দ যারা যার যার ক্ষেত্রে এক এক জন নক্ষেত্রের ন্যায় উজ্জল। তাছারাও উন্নত পরিকল্পনা, সঠিক সিদ্ধান্ত, বিশ্বমানের প্রযুক্তির ব্যবহার উৎপাদিত পন্যর মানকে করেছে বিশ্বমানের। বিক্রয় পরবর্তী সেবা এবং পন্যর মান দেশ বিদেশের ক্রেতাদের মন জয় করেছে। ওয়ালটন তার উন্নত পন্যের কল্যানে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান তো বটেই সেই সাথে এশিয়ার সেরা প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্য অন্যতম। বিশ্বর প্রায় ১৮ টা দেশে ওয়ালটন পন্য রফতানি হচ্ছে যা আমাদের রেমিটেন্সকে শক্তিশালী করছে তাছারাও দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাচ্ছে, যা আগে আমদানি ব্যয় হিসাবে বিদেশে যেত রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার,এয়ারকুরার,ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন,মটর সাইকেল, মোবাইল ফোন ও অন্যন্ন গৃহসামগ্রি আমদানি করাতে।

ওয়ালটন এই সাফল্যর পিছনে রয়েছে দেশবাসির ঐকান্তিক সহযোগিতা ও দেশপ্রেম। ওয়ালটন পন্য খাঁটি বাংলাদেশি পন্য। আসুন চেষ্ঠা করি দেশি পন্য ব্যাবহারের,এতে দুই ভাবে দেশের কল্যান হবে এক দেশি প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে সাহায্য করা আর দ্বিতীয়ত দেশের টাকা দেশে রাখা। স্বাধিনতার সঠিক স্বাদ পেতে হলে প্রয়োজন অর্থনৈতিক মুক্তি আর আর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য প্রয়োজন কতগুলি দেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যার আমাদের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দেশের বাহিরে ও পন্য রফতানি করবে। নিযেস্ব উৎপাদন ব্যাবস্থা ছারা আমাদের আর্থনৈতিক মুক্তি আসবে না। উন্নত উৎপাদন ব্যাবস্থার জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তির গবেষণা,প্রযুক্তির চর্চা এবং নিজেস্ব প্রযুক্তির উদ্ভাবন। আসুন আমরা দেশের জণ্য যার যা আছে তাই দিয়েই চেষ্ঠা করি। ভিয়েতনাম যারা আমাদের পরে স্বাধিনতা পেয়েও আমাদের চেয়ে আজ উন্নত, কারন তারা তাদের স্বাধিনতার যুদ্ধ এখন ও চালু রেখেছে। তারা যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করেছে অস্ত্র হতে আর এখন তারা যুদ্ধ করছে কলম, হাতুরি দিয়ে, আর ধিরে ধিরে জাতিক করছে স্বাবলম্বী। আমরা কি পারি না তাদের মত ? আবার একটা যুদ্ধে জরিয়ে যেতে, যে যুদ্ধ হবে অর্থনৈতিক মুক্তির। ওয়ালটন এগিয়ে যাও……..তোমার যুদ্ধ চালিয়ে যাও……তোমার মত প্রতিষ্ঠানের হাতেই আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ত্বরান্বিত হওক…

ধন্যবাদ
পথহারা সৈকত
গাজিপুর,বাংলাদেশ
[তথ্য সুত্র: www.waltonbd.com]