রেলের জনপ্রিয়তা হ্রাসের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন, রেলে ডাকাতি এবং বগিতে অগ্নিসংযোগ

সামীউল হাসান
Published : 8 Feb 2012, 01:49 PM
Updated : 8 Feb 2012, 01:49 PM

রেল রাষ্ট্রীয় সম্পদ, যার মালিক রাষ্ট্রের জনগণ। অথচ যে কোন ঘটনায় রেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর নিজেদের সম্পদের উপর আঘাত স্বরূপ। রেলকে ধ্বংস করার করার জন্য সাধারণ জনতার নামে কোন একটি স্বার্থন্বেষী মহল এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে অথবা মদদ দিয়ে থাকে। যাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে রেলকে রক্ষার দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের।

নিরাপদ ও আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যাতায়াতের জন্য বর্তমানে রেল একটি জনপ্রিয় যাতায়াতের মাধ্যম। নবগঠিত রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর রেলমন্ত্রী হারানো ঐতিহ্য ফিরে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জনসাধারণ যখন রেলের প্রতি পূর্ণ আস্থা পেতে শুরু করেছে

রেলের জনপ্রিয়তা হ্রাসে ইতিপূর্বে এরূপ বহু ঘটনার নজির রয়েছে এবং কথিত আছে সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তাদের স্বার্থ রক্ষায় রেলেকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করে আসছে। রেল সচল হলে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া সন্ত্রাস চালাতে পারবে না ।

নিত্য নতুন অজুহাতে সড়ক পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। এই ভাড়া বৃদ্ধির লাভ যায় গুটি কয়েক ব্যক্তি আর গোষ্ঠীর পকেটে। বাংলাদেশ রেলওয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বৃদ্ধি না করেই সেবা প্রদান করে চলেছে এটি একটি রাষ্টীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, একশ্রেণীর মানুষ নিজের স্বার্থে রাষ্টীয় এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করতে তপর।

যখন রেল তার হারানো গৌরব ফিরে পাচ্ছে তখন রেলের সুনাম নষ্ট করতে কিছু অসাধু লোক ডাকাতি এবং বগিতে অগ্নিসংযোগ করে থাকতে পারে।

1. সারাদেশে রেলে ডাকাতি ও বগিতে অগ্নিসংযোগ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা
2. অতিসত্বর রেলের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
3. রেলওয়ে পুলিশ, প্রশিক্ষন, কারিগরি এবং নিরাপত্তা উপকরণের ব্যবস্থা করা।
4. স্টেশন ব্যতীত রেলগাড়ি না থামানো এবং বগির দরজা না খোলা।
5. রাতের বেলায় বগিতে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা।
6. রাতের বেলায় প্রতিটি স্টেশনের নিরাপত্তা বাহিনির টহল/নজরদারি বৃদ্ধি করা।
7. দুর্ঘটনা প্রবন এলাকা চিহ্নিত এবং সেখানে নিরাপত্তা রক্ষির ব্যবস্থা করা।