১৯৫০ থেকেই গনহত্যায় পারদর্শী জামায়াত-শিবির

সাকূর আনাম
Published : 1 March 2013, 05:18 PM
Updated : 1 March 2013, 05:18 PM

গনহত্যা ধর্ষণ হারাম নাজায়েজ জেনা জামাত-শিবিরের জন্য নতুন কোন অভিজ্ঞতা নয়। এই স্বভাব ওদের রক্তের উত্তরাধিকার। ওরা জন্মসূত্রেই রেপিস্ট গনহত্যাকারী। ওরা ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করছে ওদের ৮০ বছরের নানা পাপ লুকানোর জন্য। আসলে ওরা মুসলমানই নয়। ওদের দিলে ইসলাম নেই। ওদের দলগত প্রাকটিস ধর্ষনে , গনহত্যায়, অপপ্রচারে;মানুষের মধ্যে ধর্ম দাঙ্গা বাধানোর জন্য। অনেকে এই ইতিহাস জানেন না। আমি ইতিহাসের আশ্রয়ে ওদের দলীয় সি ভি- কারিকুলাম ভিটা নিয়ে কথা বলছি। চ্যালেঞ্জ থাকলে আমার ঐতিহাসিক তথ্যগুলো জামাতি পন্ডিতরা খন্ডন করুক। জামাতিদের মূলনেতা তাত্বিক নাটের গুরু হল সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি। অনেকে ভেবে থাকেন ৭১সালের ৩০ লাখ গনহত্যা, ৩ লাখ মাবোনকে ধর্ষণ জামাতের প্রথম নিষ্ঠুরতা-বিভৎসতা। আসলে তা নয়। আবুল কালাম আযাদ, কামুরুজজামান, গোলাম আযমই প্রথম ফাসির মুখে পড়তে যাচ্ছেন- তাও নয়। গোলাম আযমের গুরু মওদুদি ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে প্রথম গনহত্যা-দাঙ্গা-ধর্ষণের ভয়াবহ ঘটনা ঘটান। তারই নেতৃত্বে প্ররোচনায় তখন পাকিস্তানের পানজাবে ভয়ংকর গনহত্যা হয়। হাজার নিরীহ পানজাবি মুসলমানকে অন্য মাজহাবের বিধায় গনহত্যায় নেতৃত্ব দেন মওদুদি। মওদুদি সুন্নি মজহাবের লোক। জামাতিরা তাই। পানজাবে ওরা অন্য মজহাব শিয়া ও কথিত আহমদিয়াদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হিংস্র হায়েনার মত। নির্বিচারে খুন করে তাদের। আমি ব্যাকি্তগতভাবে সুন্নি মজহাবের অনুসারী। শিয়াদের নানা কালচার আমরা পালনীয় নয়। সেসব আমারও না-পছন্দ। আহমদী-কাদিয়ানীরা আদৌ মুসলসমান কিনা তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে। তাদের ধর্মকালচার আমার পালনীয় নয়। তাই বলে শিয়া ও আহমদী লাখো আদম সন্তানকে গনহারে খুন করতে হবে ; সেটা মানব জাতির ইতিহাসের কলঙ্ক। জামাত ও মওদুদির এই অপরাধ প্রমানিত। গোলাম আযম-জামাত-শিবির গং পরম আরাধ্য পাকিস্তান সরকার তখন মওদুদির বিচার করে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। মওদুদি পরে সদরে পাকিস্তানের হাতপা ধরে মাফ চেয়ে পার পায়।
তা থেকে জামাত-শিবিররা শিক্ষা নেয়নি। তারা ভাল হয় নি। মাফি ওদের জন্য নয়। ওরা ক্ষমার অযোগ্য। গনহত্যা করে কেউ মাফ পেলে এমনই হয়। ওরা বেপরোয়া হয়। তাই ৭১ এ আবার বিপুল উল্লাসে বাংলার লাখ লাখ মুসলমানসহ ৩০ মানুষকে হত্যায় মেতে ওঠে কাদের মোল্লা, গো আযম, কমরাজজামান নিজামী চক্র। ওদের ক্ষমা নেই। ওদের শাস্তি না দিলে আবার মেতে উঠবে গনহত্যায়। এখন যেমন ঘাতকদের ফাসির গনজাগরণকে ওরা নাস্তিক আন্দোলন বলছে।আবার আরেক গনহত্যা দাঙ্গা বাধিয়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ যুদ্ধাপরাধ বিরোধী মানুষকে হত্যার নীলনকশা করছে এই পেশাদার খুনি রগকাটা গনহত্যাচক্র।