ধর্মীয় বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতা এবং সরকারের দায়িত্ব

এস দেওয়ান
Published : 5 Nov 2016, 08:08 AM
Updated : 5 Nov 2016, 08:08 AM

বিভিন্ন প্রকারের বৈষম্য থেকে জনগণকে রক্ষা করতে বৈষম্য বিরোধী কঠোর আইন করা এবং তার প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি । আমাদের দেশের সমাজে নানা রকম বৈষম্য রয়েছে যা একটি মুর্খ তথা আনকালচার্ল সমাজেই থাকে । সমাজের নানান বৈষম্যের মধ্যে যেই বৈষম্যটি সব চেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে তা হলো "ধর্মীয় বৈষম্য" ।

ধর্মীয় বৈষম্য থেকে আমাদের সংখ্যালঘু নাগরিকদের রক্ষা করতে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ । যারা সংখ্যালঘুদের সম্পদ নষ্ট করে ও তাদেরকে শারিরক নির্যাতন করে তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা উচিৎ । এবং যারা অন্য অঞ্চলের মানুষ বা অন্য ধর্ম ও জাতি-গোষ্ঠীর মানুষদের উত্তপ্ত করে তাদের জন্যও কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা উচিৎ ।

বৈষম্য মানুষকে মানসিক চাপের মধ্যে ফেলে । এতে মানুষের জীবনে অশান্তি তথা হতাশা নেমে আসে, তাই সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে সরকারকে অনেক বেশি মনযোগী হতে হবে । আওয়ামী লীগ হলো দেশের সব চেয়ে বেশি উদার দল, এই দলের শাসনামলে যদি সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকতে না পারে তাহলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের আশ্রয় বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না ।

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার অনুরোধ- আপনি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আন্তরিক ভাবে কিছু করুন । অন লাইনে কিছু অসভ্য মানুষ একে অপরের ধর্মকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে । তার জন্য কোনো নির্দোষ ব্যাক্তির ওপর ও তার সম্পদের ওপর আক্রমণ করা জঘন্য কাজ । ধর্ম নিয়ে যে কটুক্তি করে শাস্তি শুধু তাকেই দেওয়া উচিৎ । এবং সেই শাস্তি অবশ্যই আদালতের মাধ্যমে হওয়া উচিৎ । আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কোনো ব্যাক্তির নেই ।