ঘুষ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, উদ্ধত আচরণ ইত্যাকার নানাবিধ অনাকাঙ্খিত আচরণের জন্য পুলিশ সৃষ্টির আদিকাল থেকেই সমালোচিত, আলোচিত এবং অনেক ক্ষেত্রে অপমানিত। যেহেতু খারাপ খবরই হল পত্রিকার জন্য ‘ভাল খবর’, তাই এই জাতীয় অসদাচরণ যে প্রত্রিকার শিরোনাম হবে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু কষ্ট হয়, অপমানিত বোধ করি, ক্রুদ্ধ হই, যখন কোন প্রকার বাছ বিচার ছাড়াই পুলিশের বিরুদ্ধে পত্রিকায় খবর প্রচারিত হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে অসত্য খবর প্রচার করে পুলিশের চরিত্র হণনেরর বিরুদ্ধে এটা আমার দ্বিতীয় নিবন্ধ। প্রথম নিবন্ধটি ছিল বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার এএসআই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একজন গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে। [পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগঃ বাছবিচার ছাড়াই পত্রিকায় খবর ছাপানো যায়]
আমরা বর্তমান নিবন্ধের বিষয়বস্তু খুলনা জেলার তেরখাদা থানার সাবেক অফিসার-ইন-চার্জ জনাব মামুনুর রসীদের বিরুদ্ধে জনৈক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে। গত ০৭ জুন দৈনিক মানব জমিন পত্রিতিকায় ‘ধর্ষক এবার তেরখাদা থানার ওসি’ শিরোনামে লেখা হয়েছিল,
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মঙ্গলবার বিকালে থানার পার্শ্ববর্তী সরকারি কোয়ার্টারে ওই ঘটনা ঘটে। গতকাল ওই গৃহবধূ ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থায় অভিযোগ করেন। উপজেলার কাটেংগা গ্রামের ওই গৃহবধূ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল সংক্রান্ত একটি অভিযোগ নিয়ে মামলা করার জন্য মঙ্গলবার বিকালে থানায় যান। ওই সময় ওসি মামুন তার কক্ষের বাইরে বসেছিল। গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে শহীদুল নামে এক ব্যক্তি তাকে ৩টি মাছ ও একটি মুরগি ঘুষ দিতে আসে। এ সময় ওসি ওই গৃহবধূকে ছোট বোন সম্বোধন করে মাছগুলো কেটে দিতে বলে। গৃহবধূ রুমের বাইরে বসে মাছ কাটতে চাইলেও মামুন তাকে ভিতরে যেতে অনুরোধ করে। মাছ কাটা শেষ হলে তাকে জোর করে বিছানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় অনেক ধস্তাধস্তি করেও তিনি রেহাই পাননি। এদিকে ওই গৃহবধূর থানায় এসে কক্ষে প্রবেশ এবং কোয়ার্টারে দীর্ঘ দু’ঘণ্টা অবস্থানের বিষয়টি থানার একাধিক স্টাফ ও বহিরাগতদের মধ্যে সন্দেহের জন্ম দেয়। পরে সন্ধ্যায় গৃহবধূ বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে উপস্থিত অনেকের কাছে ঘটনাটি বলে কেঁদে ফেলেন।
পত্রিকার খবরের ভিত্তিতে উক্ত অফিসারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। পরে একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার কর্তৃক বিষয়টি তদন্ত করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব ইমামুর রসীদ সরে জমিনে অনুসন্ধান করে বিষয়টির সপক্ষে কোন সত্যতা পান নাই। বরং তিনি এই ঘটনার মূলে থানার অফিসার ও স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীর যোগ সাজস খুঁজে পেয়েছেন।
যে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে তার নাম নারগিছ সুলতানা(২৫), স্বামীর নাম- রহমত বিশ্বাস। বাড়ি হল তেরখাদা থানার কুশলা গ্রামে। তার স্বামী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে হাজতে ছিল। এই সময় তার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য জনাব শহিদুল ইসলামকে( ৪৫)[ মোবাইল নং-০১৩৯৯৯০৩০৭] নিয়ে থানায় যান মামলা করতে। এই সময় তার সাথে রাজা মিয়া শেখ[ মোবাইল নং-০১৭৩৯৬৪৫১০২] নামে অন্য এক ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন। থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মানুন-অর-রশিদ এই সময় অফিসার-ইন-চার্জের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
থানা কোন গোপন প্রতিষ্ঠান নয়। থানা একটি উন্মুক্ত স্থান বা পাবলিক প্লেস। থানার কখনো একা থাকতে পারে না। নীরব থানা আমাদের কাম্য নয়। থানা থাকবে সরব। যদি মারামারি, কাটাকাটি বা জঘন্য ফৌজদারি অপরাধ থানা অধীক্ষেত্রে ঘটে, তবুও জনগণ থানায় আইনী পরামর্শ নিতে আসবেন এটাই কাম্য।
যাহোক এই সময় থানায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে সরদার আব্দুল মান্নান (৫২),[ মোবাইল নং-০১৭১৮৮৬৯২০২] ফকির মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (২৫) শেখ রাজা মিয়া (৪৫) অন্যতম ছিলেন। এদের উপস্থিতিতেই ভিকটিম নারগিছ সুলতানা থানার অফিসার-ইন-চার্জের নিকট তার দোকান চুরির অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, মামলার বাদী কে হবেন? ভিকটিম বললেন, তার স্বামী হাজতে আছে। কয়েকদিন পর জামিন পাবেন। তিনিই মামলার বাদী হবেন। এমতাবস্থায়, তিনি মামলা না করেই শহিদুল মেম্বারের সাথে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পত্রিকার প্রতিবেদনে বর্ণিত ওসির কোয়ার্টারে যাওয়া বা মাছ কাটার ছলে ধর্ষণ তো দূরের কথা ঐ দিন নার্গিছ শহিদুল মেম্বার কিংবা রাজা শেখের জানার বাইরে থানা ক্যাম্পাসের কোন স্থানেই যাননি।
পথিমধ্যে জনৈক জাহিদ, পিতা-ভনু মোল্লা, সাং- ইখড়ি, থানা-তেরখাদা এবং তার সহযোগী খুলনা ডিএসবি এর তালিকায় ১০ নম্বরে থাকা সন্ত্রাসী মশিকুল নারগিছকে ব্লাকমেইল করে বসে। এরা তার স্বামীকে প্রাণে মারাসহ অন্যান হুমকী দিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরু্ধে তাকে ধর্ষণ করেছে মর্মে মিথ্যা অভিযোগ করতে বাধ্য করে। তারা তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সম্বলিত অভিযোগ মোবাইলে রেকর্ড করে রাথে।
পরে মহিলা তার স্বামীর জামিনের জন্য খুলনায় গেলে উক্ত জাহিদুল ও মশিকুল মহিলাকে কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে নিয়ে যায় এবং ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের কাহিনী বর্ণনা করতে বাধ্য করে। পরে তাকে একটি মানবাধিকার অফিসে নিয়ে গিয়ে একটি কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।
এর পরদিন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে মহিলা হতভম্ব হয়ে যান এবং এর প্রতিবাদ করেন। তার লিখিত প্রতিবাদ ০৮-০৬-২০১২ তারিখে দৈনিক ডেস্টিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
কেন এই মিথ্যা খবর? কেনই বা ইন্সপেক্টর মামুনর রশীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী জাহিদুল ও মশিকুল লেখেছিল? মাশিকুল,পিং- নূরুল ইসলাম চৌধুরী,সাং-ইখড়ি,থানা-তেরখাদা ,জেলা-খুলনা ডিএসবি‘র তালিকাভূক্ত একজন সন্ত্রাসী যার নং- ১০ এবং তার বিরুদ্ধে তেরখাদা থানার ১৫ টি মামলা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। সম্প্রতি মাশিকুলের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানার মামলা নং-১৩ তাং-১৫-০৯-১১ সংক্রানে- অভিযোগ পত্র নং-৬৬ তাং-৩০-০৫-১২ ধারা ৩৪১/৩৯২/৪৬৯ দঃ বিঃ দাখিল করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী মশিকুলের রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে যা হয়তো কেউই অবিশ্বাস করবেন না। মশিকুল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানায় চাপ প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু একজন তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীকে মামলা থেকে ওসি অব্যহিত দিতে চায়নি। এটাই ছিল, ওসির চরিত্র হণনের পক্ষে তার বড় কারণ। অন্য দিকে থানার অফিসারদের মধ্যেও ছিল বেশ গ্রুপিং। একটি পক্ষ চাইছিল ইন্সপেক্টর মামুনুলকে থানা থেকে সরাতে।
পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ পত্রে যাচ্ছে তাই লেখা যায়। কারণ, এতে কিছুই হয় না। পুলিশের কোন পর্যায়েই প্রত্রিকার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না। অন্যদিকে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কোন জবাবদিহিতা নেই। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচারিত হলে কোন সাংবাদিক বা পত্রিকাকে প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা যেতে পারে। প্রেস কাউন্সিলের সর্বোচ্চ শাস্তি হল পত্রিকা কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি বা ফিরতি প্রতিবেদনের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু মিথ্যা বা অসত্য-অর্ধসত্য খবর প্রচারের ফলে কোন ব্যক্তির মান-সম্মান ও জীবন-জীবীকার যে ক্ষতি হয়, তা পূরণ করার কোন সুযোগ প্রেস কাউন্সিল আইনে নেই।
সাংবাদিকদের প্রতি দুর্ব্যবহার, তাদের গায়ে হাত তোলা বা মারপিট করার কারণে অনেক পুলিশ অফিসারের শাস্তি হয়েছে, অনেকের চাকরি চলে গেছে। কিন্তু মিথ্যা খবর প্রচারের দায়ে কোন সাংবাদিকের শাস্তি হয়েছে কিংবা কোন পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে, এমন কোন সংবাদ আমাদের জানা নেই। ‘জবাবদিহিতা’ নামক শব্দটি সম্ভবত সাংবাদিকতার ভূবনে অপ্রাসঙ্গিক।
পুলিশ যেন সমাজের উন্মুক্ত ডাস্টবিন। এখানে যে কেউ, যে কোন সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলতে পারে। তবে ডাস্টবিনের সাথে পুলিশের পার্থক্য হল, শহরের ডাস্টবিন খালি করে ময়লা আবর্জনা ভাগাড়ে নেওয়ার লোক থাকে। কিন্তু পুলিশকে আবর্জনামুক্ত করার কেউ নেই।
ছবি সূত্র- ইন্টার্নেট
সিনথিয়া বলেছেনঃ
দারুন !!!!!!!
পাগল মন বলেছেনঃ
পুলিশ-সাংবাদিক বিপরীতমুখী সম্পর্কের প্রতিফলন এটি। পুলিশের আবর্জনা পুলিশকেই পরিষ্কার করতে হবে ভাই, আপাততঃ কেউ নেই। বাস্তব একটি সমস্যা তুলে ধরেছেন যেটি হয়ত আরও যুগ ধরে বিরাজ করবে। ভাল থাকুন ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে আপনার অন্তর্দহন আমি টের পাই রাজ্জাক ভাই। কিন্তু আসলে এটার জন্য আমি সাধারণ মানুষকেও খুব একটা দোষ দেই না (সম্ভবত আপনিও দেবেন না) – এই পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি – দিনে দিনে, ধীরে ধীরে এটা হয়েছে – যার পেছনে অন্যান্য ফ্যাক্টরের সাথে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তিগত দায়ও অনেক।
আপনার শেষ দুইটি বাক্যে যা বলেছেন সেটাই মনে করি আসল কথা। যে আবর্জনা নিজের দোষে তৈরি হয় সাথে যে আবর্জনা অন্যরা ফেলে, সেই আবর্জনা তো পরিষ্কার করতে হবেই। সেটা তো আমাদের স্বার্থেই করতেই হবে। যত সমালোচনাই থাকুক না কেন এটা তো ‘আমাদেরই পুলিশ’।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
জিনিয়া আপা, পাগল মন, জাহেদ ভাই,
পুলিশের চরিত্র হণনের ক্ষেত্রে না হয় আপত্তি করবেন না।
কিন্তু যে মহিলাটির চরিত্র হণন করা হল তিনি কি তার হারানো সম্মান ফিরে পাবেন? তার পরিবার কি এটাকে সহজভাবে নিবে? আমাদের দেশে সততার মূল্য না হয় নেই, কিন্তু এখানের সতিত্বের এখনও মূল্য আছে। পুরুষের সততার দাম নেই, কিন্তু নারীর সতিত্ব এখানে অমূল্য।
শুধু পত্রিকার কাটতি বা একজন পুলিশ অফিসারের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একজন গিরস্থ ঘরের বউয়ের চরিত্র হণন কি অমানবিক নয়?
অসত্য, অর্ধসত্য এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানীমূলক খবর প্রকাশ করে পুলিশকে মানসিকভাবে দুর্বল করে যদি সমাজের উপকার হতো তা হলে তো কথাই ছিল না। কিন্তু, পুলিশকে ডিমরালাইজড করে কি জাতীর স্বার্থ সিদ্ধ হবে?
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
শাকিল বলেছেনঃ
ধন্যবাদ মি: আব্দুর রাজ্জাক| আমি আপনার ব্লগে পুলিশ বাহিনী ও তার বাস্তব চিত্র সম্পর্কে লিখব| আমি এমন একটি তথ্য নির্ভর ব্লগের আশা করছিলাম| একটু সময় নিয়ে উপযুক্ত তথ্য উপস্থাপন করেই লিখতে হবে|
বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর সংস্কার নিয়ে একটি ব্লগ উপস্থাপন করুন|
সেই সাথে পুলিশের বেতন কাঠামো, কর্তব্য, ঝুকি, দুর্নীতি- সব মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্লগ আশা করছি|
পুলিশ বাহিনীতে থেকেও পত্রিকায় ব্লগ উপস্থাপনে আপনার সদিচ্ছা ও সাহসের প্রশংসা না করে পারছি না|
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে|
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, জনাব শাকিল।
আশা করি আপনার আশা পূর্ণ হবে।
চেষ্টা করব যতটা পারি সত্য, বাস্তব ও পরিবর্তনধর্মী কিছু লিখতে।
জিনিয়া বলেছেনঃ
অফিসার, এই যে শুনি পুলিশের অনেক ক্ষমতা, এখন আবার এ কেমন অক্ষমতা দেখছি!!!তবে আমি বিশ্বাস করি, পুলিশে অবশ্যই ভাল লোক আছে, সবাই পচে যায় নি। আপনাকে যত জানছি আমার বিশ্বাস তত পোক্ত হচ্ছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
মুনিররহমান বলেছেনঃ
শ্রদ্ধেয় রাজ্জাক ভাইকে তাঁর আরেকটি চমৎকার নিবন্ধের জন্যে ধন্যবাদ।
একটা কথাই বলার আছে- সব মাছ গু খায়, নাম হয় বোয়ালের…।
ধন্যবাদ।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
মনির ভাই,
দুইয়ে দুইয়ে চার হয়।
দুইটি বিয়োগ গুণ করলে বীজ গণিতে একটা যোগের সমান হয়।
কিন্তু, দুইটি খারাপ কাজ একত্র করলে একটি ভাল কাজ হয় না, হতে পারে না।
খারাপকে খারাপই বলতে হবে।
অন্যরা ঘুষ খায় বলে পুলিশের ঘুষ খাওয়া বৈধ হয় না।
কিন্তু, একজন পুলিশ সদস্যও তো একজন মানুষ। তারও তো মান সম্মান আছে। পত্রিকায় মিথ্যা খবর প্রচার করে, কিংবা দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিবেদন ছাপিয়ে একজন মানুষের চরিত্র হরণ কোন ভাবেই সমর্থনীয় নয়।
আপনাকে ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ পাগল মনকে।
পাগল মন বলেছেনঃ
@জিনিয়া, দেখবিনা বাড়িটা কোথায়!! আমার ঠিক সামনে।
মুনিররহমান বলেছেনঃ
অমার্জিত ভাষা ব্যাবহারের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী সবার নিকট।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
জিনিয়া আপা,
পুলিশকে ঘিরে রয়েছে একটি কাল্পনিক/পৌরাণিক আবহ। পুলিশ সর্বাংশেই মানুষ– অমানুষও নয়, অতিমানুষও বা অতিমানবও নয়। পুলিশের ক্ষমতা সীমাহীন নয়। আইন-বিধি ও প্রশাসনিক নজরদারির মধ্যে পুলিশের ক্ষমতা সীমীত।
পুলিশের ক্ষমতার হেঁয়ালী (paradoxes of police powers) নামে একটি পৃথক নিবন্ধে আমি আপনার এই জিজ্ঞাসার জবাব দিব।
ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ।
হাফিজ বলেছেনঃ
পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ পত্রে যখন কিছু ছাপানো হয়, তখন সেটা পত্রিকার ১ম অথবা শেষ পাতায় ছাপানো হয় (বেশিরভাগ সময়)। কিন্তু যখন খবরটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রমানিত হয়, তখন পত্রিকা কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি বা ফিরতি প্রতিবেদনের মাধ্যমে যে ক্ষমা চাওয়া (খুবই কম ক্ষেত্রে) হয় তখন সেটা পত্রিকার এমন জায়গায় ছাপানো হয় যেখানে কাহারো নজর না পরে।
১ম দিন যখন পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিশ্রান্তিকর খবর ছাপানো হয়, তখন নিয়মিত পত্রিকা পড়ে এমন লোকদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ৯৫% লোক বলিবে তাহারা খবরটি পড়িয়াছি, কিন্তু যখন খবরটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রমানিত হইয়া পত্রিকা কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি বা ফিরতি প্রতিবেদন ছাপানো হয় তখণ নিয়মিত পত্রিকা পড়ে এমন লোকদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ৫% লোক বলিবে জি! আমি এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি বা ফিরতি প্রতিবেদন পড়িয়াছি।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ আপনাকেও, হাফিজ সাহেব।
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছেপে কোন পত্রিকা ক্ষমা চেয়েছে বা ভুল স্বীকার করেছে, এমন নজির আছে কী?
হাফিজ বলেছেনঃ
স্যার’কে অনেক ধন্যবাদ।
জামান বাবু বলেছেনঃ
রাজ্জাক ভাই,
আমাদের দেশের একটি প্রধান সমস্যা হল সন্ত্রাস ও অনিয়ম সব সময়ই প্রভাবশালীদের পৃষ্টপোষকতা পায়। আর অন্যায়ের সাথে আপোষ না করলে তার মুল্য দিতে হয় নিজের জান মাল অথবা মান সন্মান দিয়ে। সগোত্রীয় শত্রুর মোকাবিলা সবচাইতে কঠিন। এসবের বাস্তব চিত্র পেলাম আপনার লিখায়। আর সাংবাদিকদের বিষয়ে আপনার লেখার সাথে সহমত জানাচ্ছি।
একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
অতি চমৎকার, বাস্তব ও সত্য কথা বলেছেন, বাবু ভাই। পুলিশ সংস্কৃতিতে এই কথাটি কত সত্য তা আপনাকে বলে বা লিখে বোঝাতে পারব না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশের সততার প্রতীক সার্জেন্ট সার্পিকোর গল্পটা এই প্রসংগে এসে যায়।
সহকর্মীদের সাথে দুর্নীতির ভাগ গ্রহণ না করে তা পত্রিকারয় ও মেয়রের কাছে প্রকাশ করার খেসারত তাকে কিভাবে দিতে হয়েছিল তা সার্পিকোর গল্প পড়লে বোঝা যাবে। এই নিয়ে আলপাচিনোর অভিনিত একটি ছায়াছবিও রয়েছে।
rashed বলেছেনঃ
no কমেন্টস…….।
arafat বলেছেনঃ
[ইংরেজি ও রোমান হরফে লেখা মন্তব্য প্রকাশ করা হয় না। বাংলায় মন্তব্য করুন। নাম বাংলায় লিখুন : ব্লগ টিম]
Rayan বলেছেনঃ
বাংলাদেশের কোন মানুষ বলতে পারবেনা তারা কোনদিন পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়নি। সে আপনি যেই হন না কেন, শিক্ষক, লেখক, ছাত্র, নারী, কৃষক, খুনি, চোর, ডাকাত..রেহাই নেই পুলিশের হাত থেকে।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
জনাব, রাইয়ান
বাস্তবতার সাথে জন-উপলব্ধির দারুণ গরমিল থাকে।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই যদি পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে বাংলাদেশের সব মানুষই নিয়মিত পুলিশের সংস্পর্শে আসে। কিন্তু, ধারণাগতভাবে সত্য হলেও এটা বাস্তবে সঠিক হতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্যাতি গৃহ বধুরা নির্যাতিত হলে বা কারো বাড়ির পোষা কুত্তাটা লাপাত্তা হলে পুলিশের কাছে যায়। তার পরও জরিপে বলে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার শতকরা ২১ জন কোন না কোনভাবে পুলিশের সংস্পর্শে আসে। এদের মধ্যে আবার ৫০% এর সংস্পর্শ হয় রাস্তায় ট্রাফিকের কারণে( আটক, মামলাদান, তল্লাশী)।
বাংলাদেশের গৃহ বধুরা খুন হলেও তার নির্যাতনের কথা কাউকে বলে না; এখানে কুকুরগুলো সবই বেওয়ারিস। মানুষের গাড়িও নাই বাড়িও নাই। তাই এই হার নিশ্চয় খুব বেশি হবে না।
তাই,
দাবীটি মনে হয় সঠিক নয়।
আরিফ জাস্টিস বলেছেনঃ
আমি অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে আসলেই শাক দিয়ে মাছ না শুধু হাতি ঢেকে ফেলেছেন ! ভাই কয়েকটি ভুল ( আপনার বক্তব্য মতে ) সংবাদ প্রকাশ করেই পুরো বাংলাদেশের পুলিশ জাতির চরিত্রটা পুনরউদ্ধার করে ফেলেছেন । দেখলাম মাঝখানে একজায়গায় দেখলাম আপনি বলেছেন পুলিশ কখন নাকি কোনও সংবাদের প্রতিবাদ করেনি !! তাহলে শুধু শুধুই সাংবাদিকদের পেটাল বরং আমি ভাব্লাম ওটাই বুঝি পুলিশের প্রতিবাদের ভাষা । শুরুতেই একটা লিঙ্ক দেব আর দয়া করে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাবেন।
১। http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Software&pub_no=942&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=2
এই খানে যা বলা আছে তা কিন্তু ভুয়া না, একেবারেই সত্যি আর বিশ্বাস না হলে যাচাই করতে পারেন একজন সাধারন মানুষ হয়ে থানায় সাহায্য চাইতে গিয়ে, পুলিশের র্যাঙ্ক নিয়ে নয়।
২। আপনি যে কটা ঘটনার কথা বলে পুলিশকে নিরপরাধ বানাতে চেয়েছেন সেই ঘটনার তদন্ত কিন্তু আরেক পুলিশই করেছে। সোজা ভাষায় হায়না কিন্তু কখনও হায়নার মাংস খায়না ।
৩। কোর্ট প্রাঙ্গনে মেয়েটির শ্লীলতাহানি কারা করেছিল ?
৪। কারা আসামি ধরবার পর টাকার বিনিময়ে আসামির প্রতিপক্ষের কাছে মেরে ফেলবার জন্য ছেড়ে দিয়েছিল ?
৫। শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দলনের মধ্য কারা লাঠিপেটা করেছিল?
৬। কারা ছাত্রলীগ এর কর্মী ছিল এটা প্রমান করতে গিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীর গলায় বুটের চাপা দিয়ে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছিল?
৭। কারা ফুটপাতে নিজেদের বাবার সম্পদ মনে করে হকারদের বসতে দিয়ে টাকা তোলে ?
৮। কয়েক দিন আগে পরলাম এক কনস্টেবল এক গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার সময় গনধোলাইয়ের স্বীকার হয় আবার ওই থানার কর্মকর্তা এই ব্যপারটি স্বীকারও করেছে।
৯। কারা নরসিংদিতে একজন জজ এর উপর নির্মম অত্যাছার করেছিল।
১০। রাজধানিতে ডিবি পুলিশ ফেন্সিডিলের ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা খায় ( ওসি আর এডিসি এর মধ্য টাকা ভাগের কোন্দল ছিল বলেই ধরা খেয়েছিল )।
এইরকম হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যাবে লিখতে গেলে। শেষে কয়েকটি কথা বলব টা হচ্ছে, দুরভাগ্য বসত আমার একটি মামলা করতে হয়ে ছিল বেশ কয়েকদিন আগে, তো মামলা করবার সময় আমাকে টাকা দিতে হয়েছিল, পরে মামলার তদন্ত ভার যে এস আই এর উপর পরে ষে আমাকে ফোন দেয় আর বলে , আসামি ধরতে যাব একটু আসেন ( মানে হাত-পা নিয়ে নয় শুধু, কিছু পাত্তি নিয়ে আসেন ) , যদিও আসামিকে পায়নি ওইবার তারপর আবার কল , আবার যাব আসামি ধরতে
একটু আসেন……। আসামি কোর্টে চালান দিব একটু আসেন, চার্জশীট দিব একটু আসেন…..। যদিও আমি চার্জশীট এর সময় টাকা না দেয়াতে আর আসামির কাছ থেকে টাকা খেয়ে পুরো উল্টো চার্জশীট দেয় পুলিশ !!
শেষ কথা ঃ পুলিশর চরিত্র উদ্ঘাতন কোর্টে হলে মাঠে যেতে হবে সাধারন মানুষের পরিচয় নিয়ে, কারন মানুষ পুলিশকে এখন এতই অবিশ্বাস করে যে পুলিশের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে বললে উল্টো বিপদে পরবে ভুয়া মামলা খেয়ে, আর বললেই বা কি হবে বড়জোর বদলি হবে কিংবা সাময়িক বরখাস্ত।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
জনাব জাস্টিস,
আমি পুলিশকে নিরপরাধ বানাবার চেষ্ট করিনি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি,
Give the devils his dues.
শয়তানকেও তার ন্যায্য পাওনা দাও।
একজন পুলিশ সদস্যের অপকর্ম সম্পর্কে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেই যেমন সব পুলিশ সদস্যদের অপরাধী ধরে নেওয়ার কোন কারণ নেই, তেমনি দুই একটি ঘটনায় পুলিশ নিরপরাধ প্রমাণিত হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগই মিথ্যা প্রতিপন্ন করা যায় না।
একজন ডাক্তার নিঃসন্দেহে একজন মানুষ। ডাক্তার পশুরও চিকিৎসা করেন, নাপিতেরও চিকিৎসা করে। তাই বলে কোন ডাক্তারের অসুখ হলে তিনি কোন নাপিতের কাছে যান বলে তো শুনিনি।
অথবা কোন পশু মানুষের চিকিৎসা করছে বলেও তো শুনিনি।
তাই পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের তদন্ত পুলিশই করে। ইয়াসমিন হত্যার তদন্ত, সীমা হত্যার তদন্ত, রুবেল হত্যার তদন্ত, আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নির্যাতনের তদন্ত পুলিশই করেছে। ওসি রফিক, হেলাল, মোতালেব, এসি আকরাম কত কত বাঘা বাঘা পুলিশ অফিসার পুলিশের তদন্ত সাপেক্ষেই কুপোকাত হয়েছে।
মানুষকে খুন করে মানুষই। মানুষকে ২৬ টুকরা করে মানুষই। তাই বলে মনুষ্য অপরাধের তদন্ত ফিরিস্তা দিয়ে করাতে হবে?
তা ছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুধু যে পুলিশই করছে তা নয়। এই তদন্ত আদালত নিজেও করতে পারেন । অন্যকে দিয়েও করাতে পারেন। যদি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য আর একটি সংস্থা তৈরি করতে চান । করতে পারেন। তবে, এটা লাভজনক হবে না। আমাদের মতো গরীব দেশেই শুধু নয়, উন্নত দেশ সমূহও তা পারে না। ফৌজদারি অপরাধের তদন্তের জন্য পুলিশ লাগবেই।
এই লেখাটির জন্য আমাকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি ইত্যাদি সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করেছি।
আমি আমার লেখায় কতিপয় ফোন নম্বর দিয়েছি। দরকার হলে পরীক্ষা করতে পারেন। অবশ্য আপনি যদি বিশ্বাস করতে চান। কেননা, অবিশ্বাসীকে বিশ্বাসী বানানোর কোন প্রচেষ্টা আমি কোন দিন গ্রহণ করব না। এখন পর্যন্ত আমার পোস্টটি প্রায় ৪৪৫ বার পঠিত হয়েছে। যারা পড়েছেন তাদের সবাই বিশ্বাস করেছে বলে আমি মনে করি না।
আমার ভাবতে ভাল লাগছে, আপনি এটা বিশ্বাস না করলেও পড়েছেন। যদি যুক্তিতে আসেন, বলব এটাই এই পোস্টের স্বার্থকতা। কারণ, পুলিশ সম্পর্কে সবাই শুধু বলতে চায়, পুলিশের কথা কেউ শুনতে চায় না। সবাই পুলিশকে তাদের বন্ধু হতে বলে, পুলিশের বন্ধু কেউ হয় না। ব্যক্তি, সরকার, জনপ্রতিনিধি, স্ত্রী-সন্তান, পিতামাতা এমনকি পুলিশও পুলিশের বন্ধু হতে চায় না।
পুলিশ সম্পর্কে নিচের উদ্ধৃতিটি পড়তে পারেন–
Police Brutality: Current Controversies
Edited by William Dudely
Greenhaven Press. Inc
ISBN- 0-89908-580-6
অসিত মিত্রা বলেছেনঃ
আপনার নিজের ফ্যামিলি এর দিকে তাকান, সব ভাই বোন কী মানুষ হয় ? সবাই কী ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার হয় ? এমন দেখা যাই, চার ভাই বোনের মাঝে এখন বখাটে হই, এইরকম এগজাম্পল অহরহ আছে। বিশাল এখ বাহিনী, তার মাঝে কিছু খারাপ এর অনুপ্রবেশ তো থাকবেই ? এটা একটা প্রতিষ্ঠান. তাদের মাঝে এর কিছু খারাপ এর জন্যে যদি একটা প্রতিষ্ঠান কে দোষারোপ দেই, তাহলে একটা সমাজের জন্যে আলর্মিং। খারাপ ধরা যাচ্ছে, সাথে সাথে বিচার o হচ্ছে। কথা হল এটার জন্যে সমাজ এর পরিবর্তন আনতে হবে। সচেতনেতা আস্তে হবে সবার মাঝে। সবার অসংগ্রহন দরকার এর জন্যে।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
জনাব অসিত মিত্র
আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাদের মতো সমঝদার নাগরিকগণ আছেন জন্যই তো পুলিশের বন্দুকের নল কখনো উল্টো দিকে ঘোরে না।
মিজান বলেছেনঃ
পুলিশ নিজেরাই নিজেদেরকে ডাস্টবিনে পরিনত করেছে, যারা সমালোচনা করে তারা নিশ্চয়ই পুলিশকে নষ্ট করেনি, সুতারাং ’পুলিশকেই তাদের হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে হবে আর সংবাদপত্রে প্রকাশিত সব সংবাদই যে সঠিক এটা ভাবারও কোন কারন নেই। অবশ্যই পুলিশের মধ্যে ভাল লোকও আছেন।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, মিজান সাহেব। ডাস্টবিনের পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের নিজস্ব কর্ম বহুলাংশে দায়ী। স্বাধীনতার পর থেকে একটি প্রত্যাশিত দিকে পুলিশের পথ চলার জন্য অনেক প্রচেষ্টাই চলছে।
স্বাধীকার আন্দোলনে পুলিশের উজ্জ্বল ভূমিকা সর্বজনবিদিত।
তবে সামগ্রিকভাবে ব্রিটিশদের তৈরি বঙ্গ-ভারতের পুলিশের কোন ইতিবাচক ইমেজ ছিল না। তাই, আমরা কিছুই হারাইনি। এই মূহুর্তে যেটুকু ভাল দেখছেন, তার সবই স্বাধীনতার পরেই আমাদের অর্জন করা।
শরীফ বলেছেনঃ
চমৎকার নিবন্ধের জন্যে ধন্যবাদ।
রৌশন azez বলেছেনঃ
ম্যাক্সিমাম পুলিশ ইজ করাপ্টেড ইন বাংলাদেশ
আরিফ জাস্টিস বলেছেনঃ
আপনি এত তারাতারি আমার রিপ্লাই দিবেন ভাবিনি, এজন্য ধন্যবাদ। আমার প্রথম কথা হচ্ছে আপনি কিন্তু আমার প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তরই দেননি ( যদিও আপনি দিতে বাধ্য নন )। আমি আপনার মত এত গুছিয়ে লিখতে পারি না কিন্তু যেটা বলতে চাই আপনি যেমন সংশয় প্রকাশ করেছেন যে আমি আপনার যুক্তি বিশ্বাস করব কি না ? কেই রকম আমিও সংশয় নয় বরং বিশ্বাস করি যে আপনি সব স্বীকার করবেন না । আপনি বলেছেন অপরাধ মানুষই করে কিন্তু আমার কথা হচ্ছে সেই অপরাধ দমনের জন্যই কিন্তু জনগণ তার রক্ত পানি করা অর্থ দিয়ে পুলিশ নামের একটি বাহিনী রেখেছে, আমার প্রশ্ন তাহলে চিত্র এমন কেন ঃ- http://www.police.gov.bd/index5.php?category=48
অপরাধ বাড়ছেই আর পুলিশ বেতন + ঘুষ নিচ্ছেই !!
আপনি তো একজন লেখক এবং পুলিশ, আপনি কয়জন পুলিশের নাম সহ অপরাধের কথা তুলে ধরেছেন এবং ব্যবস্থা নিয়েছেন । ব্যবস্থাই বা কি নেবেন, বড়জোর বদলী আর কি ?
আপনি আপনার কমেন্টে লিখেছেন ঃ
”Give the devils his dues.
শয়তানকেও তার ন্যায্য পাওনা দাও।”
সমস্যা হচ্ছে শয়তান কিন্তু শয়তানকে শাস্তি দিতে পারে না বা দেয় না । আর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য আর একটি সংস্থা তৈরি করার প্রশ্নই উঠে না কারন যাই ঘটুক পুলিশ কিন্তু ঠিক হবে না বাঁ এটা আশাও করি না আমাদের পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে ( ডাস্টবিন থেকে ফুলের গন্ধের মত ) ।
পুলিশের বন্ধু হবে মানুষ !! আমার জানামতে একটা খুব জনপ্রিয় ডায়ালগ আছে বাংলাদেশে বর্তমানে ঃ ” ছি ! আপনি কি মানুষ না পুলিশ ” । ভেবে দেখুন কি জনপ্রিয়তা আপনাদের । যারা কোথায় কোথায় নোংরা ভাষা ব্যবহার করে তাদের বন্ধু ভাল মানুষ হতে পারে না বরং হয় চোর, বাটপার, ডাকাত আর খুনিরা । আমার জানা মতে মানুষ পুলিশকে হায়নার মত ভয় পায় কারন এদের কাক্সহে সাহায্য ছাইতে গেলেই কোনও না কোন বিপদে ফেলবে আর হায়নার সাথে কখনও বন্ধুত্ত হতে পারে না। আপনি গিয়ে দেখেন প্রত্যেকটা থানা হকারদের কাছ থেকে টাকা তুলছে আজকেও । পুলিশেরা বর্তমানে ডিউটি করতে বাসা থেকে বের হয় না বরং ধান্দা করতে বের হয়। এগুলো বলে শেষ করা যাবে না , তবে একটি কথা আপনারা কিছু হলেই যুক্তরাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলার কথা বলেন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অধিক অপরাধ প্রবন একটি দেশ, আমার প্রশ্ন কেন আপনারা জাপানের উধাহরন দেন না? আমি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম তাই আমি জানি সেখানে পুলিশ বলে ” কি সাহায্য করতে পারি ‘ আর বাংলাদেশের সোনার পুলিশেরা গালি দিয়ে বলে টাকা আনছোস ?!
শেষ কথা ঃ আমি বলতে চেয়েছি বাংলাদেশের ৯৯.৯৯ % ই জঘন্য আর তাই ১০০ % পুলিশের কাছ হতে ডাস্টবিনের দুর্গন্ধ ছড়ায়। আপনার পোষ্টের উদ্দেশ্য যদি শুধু কাটতি বা কয়জন পোস্টটি দেখল এটাই থাকে তবে আমার এই কমেন্ট ” উলুবনে মুক্ত ছড়ান” কারন আমি এই ভেবে কমেন্ট করেছিলাম যে যাক অন্তত একজন পুলিশকে ও পোস্টকে পেয়েছি যার দ্বারা সবাইকে পুলিশদের কথা আর আমাদের কথা জানান যাবে । ধন্যবাদ।
আরিফ জাস্টিস বলেছেনঃ
আপনি এত তারাতারি আমার রিপ্লাই দিবেন ভাবিনি, এজন্য ধন্যবাদ। আমার প্রথম কথা হচ্ছে আপনি কিন্তু আমার প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তরই দেননি ( যদিও আপনি দিতে বাধ্য নন )। আমি আপনার মত এত গুছিয়ে লিখতে পারি না কিন্তু যেটা বলতে চাই আপনি যেমন সংশয় প্রকাশ করেছেন যে আমি আপনার যুক্তি বিশ্বাস করব কি না ? কেই রকম আমিও সংশয় নয় বরং বিশ্বাস করি যে আপনি সব স্বীকার করবেন না । আপনি বলেছেন অপরাধ মানুষই করে কিন্তু আমার কথা হচ্ছে সেই অপরাধ দমনের জন্যই কিন্তু জনগণ তার রক্ত পানি করা অর্থ দিয়ে পুলিশ নামের একটি বাহিনী রেখেছে, আমার প্রশ্ন তাহলে চিত্র এমন কেন ঃ- http://www.police.gov.bd/index5.php?category=48
অপরাধ বাড়ছেই আর পুলিশ বেতন + ঘুষ নিচ্ছেই !!
আপনি তো একজন লেখক এবং পুলিশ, আপনি কয়জন পুলিশের নাম সহ অপরাধের কথা তুলে ধরেছেন এবং ব্যবস্থা নিয়েছেন । ব্যবস্থাই বা কি নেবেন, বড়জোর বদলী আর কি ?
আপনি আপনার কমেন্টে লিখেছেন ঃ
”Give the devils his dues.
শয়তানকেও তার ন্যায্য পাওনা দাও।”
সমস্যা হচ্ছে শয়তান কিন্তু শয়তানকে শাস্তি দিতে পারে না বা দেয় না । আর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য আর একটি সংস্থা তৈরি করার প্রশ্নই উঠে না কারন যাই ঘটুক পুলিশ কিন্তু ঠিক হবে না বাঁ এটা আশাও করি না আমাদের পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে ( ডাস্টবিন থেকে ফুলের গন্ধের মত ) ।
পুলিশের বন্ধু হবে মানুষ !! আমার জানামতে একটা খুব জনপ্রিয় ডায়ালগ আছে বাংলাদেশে বর্তমানে ঃ ” ছি ! আপনি কি মানুষ না পুলিশ ” । ভেবে দেখুন কি জনপ্রিয়তা আপনাদের । যারা কোথায় কোথায় নোংরা ভাষা ব্যবহার করে তাদের বন্ধু ভাল মানুষ হতে পারে না বরং হয় চোর, বাটপার, ডাকাত আর খুনিরা । আমার জানা মতে মানুষ পুলিশকে হায়নার মত ভয় পায় কারন এদের কাক্সহে সাহায্য ছাইতে গেলেই কোনও না কোন বিপদে ফেলবে আর হায়নার সাথে কখনও বন্ধুত্ত হতে পারে না। আপনি গিয়ে দেখেন প্রত্যেকটা থানা হকারদের কাছ থেকে টাকা তুলছে আজকেও । পুলিশেরা বর্তমানে ডিউটি করতে বাসা থেকে বের হয় না বরং ধান্দা করতে বের হয়। এগুলো বলে শেষ করা যাবে না , তবে একটি কথা আপনারা কিছু হলেই যুক্তরাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলার কথা বলেন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অধিক অপরাধ প্রবন একটি দেশ, আমার প্রশ্ন কেন আপনারা জাপানের উধাহরন দেন না? আমি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম তাই আমি জানি সেখানে পুলিশ বলে ” কি সাহায্য করতে পারি ‘ আর বাংলাদেশের সোনার পুলিশেরা গালি দিয়ে বলে টাকা আনছোস ?!
শেষ কথা ঃ আমি বলতে চেয়েছি বাংলাদেশের ৯৯.৯৯ % ই জঘন্য আর তাই ১০০ % পুলিশের কাছ হতে ডাস্টবিনের দুর্গন্ধ ছড়ায়। আপনার পোষ্টের উদ্দেশ্য যদি শুধু কাটতি বা কয়জন পোস্টটি দেখল এটাই থাকে তবে আমার এই কমেন্ট ” উলুবনে মুক্ত ছড়ান” কারন আমি এই ভেবে কমেন্ট করেছিলাম যে যাক অন্তত একজন পুলিশকে ও পোস্টকে পেয়েছি যার দ্বারা সবাইকে পুলিশদের কথা আর আমাদের কথা জানান যাবে । ধন্যবাদ।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
জনাব জাস্টিস সাহেব,
আপনার সব কথার উত্তর হয়তো দিতে পারব না। কিন্তু যা দিয়েছি তা বস্তুনিষ্ঠ বলেই মনে করি। আপনার বর্তমান মন্তব্যতে প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর নিচে ৮টি অনুচ্ছেদে দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রথমে আমার মন্তব্যগুলোকে শিরোনাম হিসেবে নিয়ে এগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। উদ্ধিতিগুলোর সবগুলোর সূত্র আমার কাছে আছে। তবে, এই গুলোকে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা বিদ্যার ফসল বলেই ধরে নিবেন।
১।
আরিফ সাহেব, বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারি আছে। এরা সবাই সরকারের কাছ থেকে বেতন পায়। এই বেতন নাগরিকদের প্রদেয় কর থেকেই আসে। যদি আপনি বলেন, নাগরিকদের করের অর্থে যাদের বেতন হয় ,তাদের মধ্যে পুলিশ ভিন্ন অন্য সবাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেছে কিংবা জনগণ তাদের প্রতি বড়ই সন্তুষ্ট তাহলে আমার কোন কথা নেই। কিন্তু আপনি যদি স্বীকার করেন, তাহলে বলব, অন্যদের তিমিরে রেখে শুধু পুলিশকেই আলোকিত করতে চান সে প্রচেষ্টা সফল হবে না। আপনি পুলিশ ছাড়া অন্যদের সেবায় কি সন্তুষ্ট? বাড়তি দাম দিয়েও কি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবার উপায় আছে? আপনি কি ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, ব্যাংকার, পরিবহন, ভূমি, কর, কাস্টমস, যোগাযোগ সব ব্যবস্থাই সন্তুষ্ট? সরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়েও বলল, আপনি বেসরকারি সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সেবাই সন্তুষ্ট?
২।
প্রায় এক যুগের কর্মজীবনে বহু পুলিশ অফিসারের অসদাচরণের দায়ে বিভাগীয় মামলার তদন্ত করেছি। এদের মধ্যে অনেকেরই চাকুচ্যূতি ঘটেছে। অনেক অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান করেছি। এমনকি আমার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সরসরি হত্যা মামলা পর্যন্ত রুজু করে তাকে সাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই সব কিছুর তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।।
আর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলী বা সাময়িক বরখাস্ত নেজে কোন শাস্তি নয়। তবে এটা শাস্তির পথ তৈরি করে। বদলী সরকারি কর্মচারিদের জন্য একটি প্রত্যাশিত প্রক্রিয়া। তবে অসময়ে বদলী তাদের জন্য ভোগান্তি সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে কোন ঘটনা বা অপরাধের ভিত্তিতে বদলী সরকারি কর্মচারিদের জন্য অপমানজনক। পুলিশ কর্মচারিদের কোন অভিযোগের ভিত্তিতে অকাল বদলী বা প্রত্যাহার করা হলে এটা তার জন্য বেদনার, কষ্টের এবং সর্বোপরি অপমানের।
সাধারণত তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় অনুসন্ধান চালান হয়। অভিযুক্ত কর্মচারির সম পদের নিচে নয় (সাধারণভাবে অন্তত এক ধাপ উপরে) এমন একজন সরকারি কর্মচারি বা অফিসারে অভিযোগের অনুসন্ধান করেন। যদি প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা বা ফোজদারি মামলা রুজু করা হয়।
গত ১৩ জুন, ২০১২ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে গত এক বছরে সারা দেশে প্রায় ১৩ হাজার ৭৪৫ জন পুলিশ সদস্যের বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় শাস্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৩ শতাধিক পুলিশ সদস্যকে নিয়মিতভাবে গ্রেফতারও করা হয়েছিল ।
এমতাবস্থায়, পুলিশ অপরাধ করে পার পেয়ে যায় বলে সাধারণ্যের যে বিশ্বাস তার ভিত্তি নেই।
3.
শুধু আশা করেই যদি সব শেষ করেন তা হলে চলবে কেন? পুলিশকে ভাল করার কোন প্রচেষ্টাটা আপনারা করেছন? পুলিশের উন্নয়নের জন্য গৃহীত কোন পদক্ষেপের কথা আপনার জানা আছে? বরং পুলিশকে তিমিরে রাখার প্রচেষ্টা সার্বজনিন। কারণ, গ্রামের মোড়ল থেকে শুরু করে উচ্চতরও ক্ষমতায় অধিষ্ঠীত ব্যক্তিরাও পুলিশকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়। এ সম্পর্কে ভারতের একজন আইপিএস অফিসারের মন্তব্য উল্লেখ করতে চাই। মাহমুদ বিন মোহাম্মদ নামের এই উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ বিভাগ ছাড়াও ভারত সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেছেন। সবশেষে সৌদি আরবে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন। তার পর্যবেক্ষণ হল:
In the post-Independent era, most other departments have undergone a sea change, but the status quo has been deliberately perpetuated in the police because it has suited vested interests, bureaucratic as well as political.
এটা সত্য যে পুলিশের আচরণ নিয়ে আমাদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তবে এটাও সার্বজনিন। উন্নত দেশগুলোর পুলিশ অফিসারগণও দুর্ব্যবহার, কর্তৃত্ববাদিতা, ক্ষমতার বাড়াবাড়ি ইত্যাদি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। তবে সেই সব দেশে পুলিশের মার্জিত ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলার জন্য নানামুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
নোংরামীর কথা বলছেন? এখানে আরো একটি উদ্ধিতি দিচ্ছি:
We need the police to do their work fairly and equitably, but officers are drawn from a society that is neither fair nor equitable.
পুলিশ গবেষক ডেভিড বেইলির মন্তব্য পড়ুন:
—— I don’t believe the defects of the police are unique or personal. Police are no worse than many other institutions in our society, and certainly no worse than American universities, which is where I work and for which I bear some responsibility. In several respects, universities may be even less rational than the police, despite their pretensions about intellectual superiority, idealism, and selfless service.
নায়ক নামের একটি হিন্দি ছবির কথা মনে পড়ে। হয়তো আপনিও দেখে থাকবেন। গল্পের নায়ক একজন সাংবাদিক তিনি রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর একটি লাইভ সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান চলার এক পর্যায়ে মন্ত্রী সাংবাদিকের বেকায়দা প্রশ্নে বিব্রত হন। তখন লাইভ শো বন্ধের সহিংস প্রচেষ্টা চলে। মন্ত্রীর চামচারা সাংবাদিক ও টিভি কলাকৌশলীদের মারপিট করতে শুরু করে। এক চামচা জুতা খুলে মারামারিতে উদ্যত হয়। একজন সরকারী কর্মকর্তা চামচাকে জুতা নামাতে অনুরোধ করে। সে শোনে না। শেষ পর্যন্ত জুতা উত্তোলনকারীকে বলা হয়:
জুতা নিচে! জুতা নিচে!! ইঁহা তোমহারা পার্লামেন্ট নঁহি। ইঁহা লাইভ শো।
এবার আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপট অনুমান করে নিন। আর একজন পুলিশ সদস্যকে তার মাঝে স্থাপনের চেষ্টা করুন। আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
৪।
অস্বীকার করি না। তবে থানার সাথে অন্যদের কথাও বলুন। শুধু থানার জন্যই কারো খানা বন্ধ হয় না। অবৈধ কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ পুলিশের আইন অনুসারে কাজ করা পছন্দ করে না। সমাজে বহু অপরাধ রয়েছে যেগুলোর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগকারী পাওয়া যায় না। এগুলোকে বলে ভিকটিমলেস অফেন্স। এখানে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। অবৈধকর্মের শৃঙ্খলে জড়িত হয়ে বাদী-বিবাদী, আইন প্রয়োগকারী সবাই দুই পয়সা রোজগার করে। তবে এতে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ফুট পাতের ব্যবসা অবৈধ। তাই হকারগণ অভিযোগ করেন না। এরা চাঁদা দিতে পারলেই খুশি। শুনেছি এবং পত্রিকায় পড়েছি, ঢাকা শহরে সরকারও ফুটপাত ভাড়া দেয়। ঢাকার রাস্তায় মানুষ চলাচলের স্থান নেই; কিন্তু গাড়ি পার্কিং এর জন্য ইজারা দেওয়া হয়। অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার সীমাহীন শৃঙ্খলের পুলিশ একটি অংশ মাত্র।
৫।
হ্যাঁ আমাদের জাপানের উদাহরণ দেওয়া উচিৎ। অপরাধ বিজ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, পুলিশ বিজ্ঞানী সবার থিওরি হল, শিল্পোন্নয়নের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে কোন সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ব্রিটেন, ইউরোপ আমেরিকা এমনকি রাশিয়াতেও এটা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু, সমাজ বিজ্ঞানের চিরায়ত তত্ত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে জাপানে শিল্পোন্নয়ের সাথে সাথে অপরাধ প্রবণতা কমেছে।
জাপানের পুলিশ-ব্যবস্থা আমাদের থেকে পৃথক। তাদের প্রশিক্ষণ, সামাজিকীকরণ, কর্ম পদ্ধতি অত্যন্ত উন্নত। তাদের মানুষ পুলিশের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তারপরও পুলিশ সেখানে ফেরেস্তা নয়। একজন জাপানী নাগরিকের মন্তব্য পড়ুন:
I feel a bit fearful of the police even though I have committed no offence.
সাড়ে বারকোটি মানুষের দেশ জাপানের পুলিশ সদস্য সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। সেখানে প্রায় ৪৩৭ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তারপরও তাদের কোবান ব্যবস্থায় পুলিশকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাপান পুলিশের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ঈর্ষা করার মতো। এখানে কোবান ব্যবস্থায় আবাসিক কোবান-ইন-চার্জের স্ত্রীগণও ভাতা পেয়ে থাকেন। নিচের উদ্ধৃতিটি পড়ুন:
In recent years, due to the fact that wives often have to cover for their husbands when they are out in the community, they are now financially compensated for their work; This amounts to approximately 1 million yen ( $ 9,615) annually. In 1996 the starting salary was approximately 200,000 yen per month ( $ 2,000). As mentioned earlier, a chuzai-san’s wife receives around $ 800 per month to pay her part-time work.
জাপানের পুলিশ প্রধান সরকারের কোন মন্ত্রীর কাছে সরাসরি দায়বদ্ধ নয়। জননিরাপত্তা কমিশন নামের একটি সর্বদলীয় (এবং নির্দলীয়) সংস্থা জাপান পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে। এবার জাপান পুলিশের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের তুলনা করুন।
৬।
যু্ক্তরাষ্ট্রের পুলিশ জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য নিবেদিতপ্রাণ।তবে এই সম্পর্কে আপনার জানাশোনা সুগভীর নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ প্রতিনিয়তই ক্ষমতার অপব্যবহার, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, দুর্নীতি ইত্যাদির অভিযোগে অভিযুক্ত। ১৯৯১ সালে আমেরিকার লজ এন্সেলস পুলিশের ডজন খানেক অফিসার মিলে রোডনি কিং নামের একজন কৃঞ্চাঙ্গ টেক্সিচালকে কিভাবে পিটিয়েছিল তা সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছে। ইউটিউবে গিয়ে Rodney King, LAPD লিখে অনুসন্ধান দিয়ে ভিডিওটি দেখে নিজের ধারণাকে শুধরিয়ে নিতে পারেন। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িচালকদের মাত্র ০৫% হল কৃঞ্চাঙ্গ। কিন্তু প্রতিদিন সেই দেশের পুলিশ যে সব ড্রাইভারকে তল্লাশী করে তাদের ৭৫% হল কৃঞ্চাঙ্গ। এবার বুঝুন সেই দেশের পুলিশ কতটা বর্ণবিদ্বেষী? তবে, এসবের বিরুদ্ধে তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি আছে যা আমাদের দেশে নেই। তারপরও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে গেলেই যে মানুষকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় — এমনটি নিশ্চয় নয়?
৭।
আপনার সাথে তো একমত হতে পারি না। ০.০০১% ভাল লোক নিয়ে তো আর পুলিশ চলছে না। শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক পুলিশ সদস্য বিভাগীয় বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে ডাকাতীর অপরাধে পর্যন্ত জড়িযে পড়ে। কিন্তু তাই বলে পুলিশকে ডাকাতের দল বলে তো কেউই চালিয়ে দিবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক পুলিশের ৭৭ তম বিভাগের Buddy Boys দের গল্পটা ইন্টারনেট থেকে পড়ে নিতে পারেন। তারপরেও কিছু উদ্ধিতি দেই:
The police force is the best reflection of a society. If society is violent, so are the police, if society is corrupt, so are the police; but if society is tolerant, literate and humane, police will act accordingly.
হাজার হলেও পুলিশ সদস্যরা তো আপনারই ভাই, ভাতিজা, সহপাঠী, প্রতিবেশী। তাই, এরা আপনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করবে কিভাবে?
৮।
আপনাদের কথা তো পত্রপত্রিকা, প্রচারমাধ্যম, মানবাধিকারকর্মী, মুরুব্বি, নেতা-পাতি নেতা সবাই বলছে। তাই আমার কাছ থেকে না হয় শুধু পুলিশের কথাই শুনুন।
আমার দীর্ঘ মন্তব্য ধৈর্য্যসহ পড়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
জীবন পথিক বলেছেনঃ
রাজ্জাক ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনার মননে লালিত সুন্দর সব স্বপ্ন, চাওয়া, প্রচেষ্টা, উক্ত পোষ্ট, সর্বোপরি অসাধারণ ধৈর্য্য সহকারে মন্তব্যগুলোর জবাব দেয়ার জন্য।
সত্যি বলতে কি মানব আর দানবের লড়াইয়ে দানবের ভয়ঙ্করতার ছবিটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় সবসময়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে কারণে আমাদের দরকার, সে জায়গাটায় হয়তো খুব তারাতারি ফিরে যাওয়া যাবে না তবে ফিরতে কিন্তু আমাদের হবেই। মুখে বা লেখনিতে বলে বলে হয়তো সাধারণ নাগরিকদের মনে পজেটিভ মনোভাব তৈরী করা সম্ভব তবে সেটা খুবই ধীর এবং ক্ষনস্থায়ী একটা প্রক্রিয়া। আমরা উদাহরণ দেখতে চাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি কেবল তাদের আত্নমর্যাদার জায়গাটাতে, নিজেদের আত্মসম্মানবোধ টাকে একটু প্রধান্য দেন তাহলে মনেহয় সম্ভব।
আসলে পচনটা ধরেছে মাথায়, সেখান থেকেই প্রতিষেধক টা শুরু করতে হবে। আপনি চেষ্টা চালিয়ে যান কাউকে না কাউকে পাবেনই আপনার পথিক হিসেবে। তারপর আর একজন তারপর আর এক…।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক, জীবন পথিক। আপনাকে ধন্যবাদ।
শিমুলঢাবি বলেছেনঃ
অসাধারণ একটি লেখা।আমাদের দেশে যেখানে সিংহভাগ নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা মামলা হিসেবে পর্যবসিত হয়। সেখানে যে কোন পর্যায়ের কোন নারী যদি পুলিশের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্তও জমা দেন আমাদের মফসসালের কিছু বুবুক্ষু সাংবাদিক তাকে মনে করেন সতি সীতার উপর হাত দিয়েছে স্লেচ্ছ পুলিশ। তাঁরা পুলিশের চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোেগর কোন অনুসন্ধান করার বা যাচাই করার তাগিদ ও অনুভব করেন না। ক্ষেত্রবিশেষ এ- তাঁরা পুলিশি মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে যোগসাজশে পুলিশ এর বিরুদ্ধে ভাড়ােট নারী দিয়ে শায়েস্তা করার চেষ্টা করেন। যে দেশ দুর্নীতিতে টপ টেন এ থাকে সে দেশের যেকোনো পর্যায়ের লোকের মধ্যে দুর্নীতি থাকা স্বাভাবিক। তবু সত্যের জয় হোক।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
কঠিন সত্যের এক চমৎকার প্রকাশ, শিমুল। ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা পাচ্ছি না।
সুমিত চৌধুরী বলেছেনঃ
রাজ্জাক ভাই সেইরকম একখান কথাঃ-
আবার দেখবেন ডাকাত/সন্ত্রাসী এদের ক্রসফায়ার করলে মানবতাবাদীদের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে,কিন্তু পুলিশ মরলে ১ মিনিট নীরবতা(অনেক ক্ষেত্রে তাও না)।
আর যারাই থানা পুলিশ দূর্নীতি নিয়া এতোই মাতোয়ারা তাদেরকেই বলছি আপনারা যদি নিয়ম মাফিক কাজ করেন তাহলে দেখি কে ঠেকায় আপনাদের।ও আপনারা থানায় বন্দী থাকা আত্মীয়ের সাথে দেখা করবেন সেটা দূর্নীতি হবে না কিন্তু পুলিশ টাকা নিলেই দূর্নীতি,কোর্টে চালান যাতে না দেয়,রিমান্ডে নিয়ে যাতে জামাই ষষ্ঠী করায় সেসবের জন্য যখন টেবিলের তলে উপরি দেন সেটা দূর্নীতি না আর ওরা নিলেই দূর্নীতি তাই না?আপনারা এসকল বাড়তি সুবিধা না নিলে আর উপরি না দিলেই হলো পুলিশ দূর্নীতি ক্যামনে করে?আর যদি এসব ছাড়াই বেহুদা দূর্নীতি করতে চায় তাহলে হাতের ঐ ক্যামেরা মোবাইলরে কাজে লাগাইলেই পারেন।
খুব বেশী না হলেও কম যাওয়া আসা হয় না থানা/কোর্টে কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি বাড়তি সুবিধা নেই নাই,উপরিও দেই নাই।নিয়ম মাফিক কাজ চালায়া গেসি আশা করি সামনের দিনেও পারবো,বহু ত্যাড়া ওসিও ছিলো কিন্তু আমি আমার জায়গায় ছিলাম।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, জনাব সুমিত চৌধুরী।
আপনার মন্তব্য অত্যন্ত সঠিক। দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের একক অংশীদার পুলিশ নয়। পুলিশের দুর্নীতির একটি বিরাট অংশের সূচনা ঘটায় সাধারণ মানুষ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পুলিশি সেবার কঠিন দিকগুলোকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করার জন্য মাঠের ছাপোষা চাষী থেকে শুরু কোটিপতি ব্যবসায়ীটি পর্যন্ত মরিয়া হয়ে ওঠে। । মানুষ দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের অবৈধ সুবিধাটুকু আদায় করতে পুলিশকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করতে চায়।
অনেক মানুষ বিভি্ন্ন কায়দায় পুলিশের ঘুষগ্রহণের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। কিন্তু তাদের যখন কোন অভিযোগ দিতে বলা হয়, কেউ রাজি হয় না। বলতে কী আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেরই পুলিশের ক্ষমতা, অক্ষমতা সম্পর্কে বাস্তব কোন অভিজ্ঞতা নেই। টিআইবি এর একটি জরিপে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের শতকরা মাত্র ২৬ ভাগ মানুষ পুলিশের সেবা প্রার্থী হয়। (এই হার যদিও সন্দেহ পোষণ করার মতো বেশি। কারণ, মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে এটা ১৯ থেকে ২১ এর মধ্যেই উঠানামা করে।) অথচ দোষারোপ করার ব্যাপারে দেশের সবাই একাট্টা।
এ সম্পর্কে আমেরিকার মেডিসন অংগ রাজ্যের উনসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার ও পুলিশ গবেষক হারমাইন গোল্ডস্টাইনের একটি উক্তি উল্লেখ করার মতো। তার Policing a Free Society বইটিতে পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন,
আমার মনে আছে , জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সচিব বদিউর রহমান চট্টগ্রাম বন্দরে দুর্নীতির ব্যাপারে একবার আমদানিকারকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘দোহাই আপনাদের, অন্তত কয়েকটা দিন ঘুষ দিবেন না। ধৈর্য্য ধরুণ’। কিন্তু, আমদানীকারকগণ তার কথায় কর্ণপাত করেনি।
আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকই থানা পুলিশের কাছ থেকে আইনী কাজটি আইনগতভাবে নয়, তাদের মনের মতো করে আদায় করতে চান। আর এ জন্য যা হবার তাই হয়। তারা পুলিশকে ঘুষগ্রহণে অনুরোধ, উপরোধ ও প্রলুব্ধ করেন; অনেক ক্ষেত্রে বাধ্যও করে। কিন্তু দোষ দেওয়ার ব্যাপারে তারা নিজেরা একদম ধোয়া তুলশির পাতা। দোষ যদি কিছু হয়েই থাকে, তা পুলিশের; তাদের নয়।